একটি ক্ষেতে মা ও বোনের সঙ্গে সারাদিন কাজ করার পর তৃষ্ণা পেয়েছিল ১৪ বছর কিশোরীর। তৃষ্ণা মেটাতে ক্ষেতের পাশেই এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়েছিল সে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় ধর্ষক।
আরও পড়ুনঃ এবার হাইকোর্টে রিট করলেন ক্রিকেটার নাসিরের স্ত্রীর আগের স্বামী
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। ওই কিশোরী পরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশের পর তাকে ধর্ষণ করে ২২ বছর বয়সী হরেন্দ্র। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেয় সে। পুলিশ পরে হরেন্দ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ওই কিশোরীর মাটিচাপা নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ওই কিশোরীর তোতলামির সমস্যা ছিল। গত বৃহস্পতিবার মা ও বোনের সঙ্গে কাজ পরার পর ক্ষেতের পাশেই পরিচিতের বাড়িতে প্রবেশ করে সে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তার দেখে মেলেনি। পরে মেয়েকে খুঁজতে হরেন্দ্রের বাসায় যান তার মা। কিন্তু সেখানে গিয়ে হরেন্দ্রকে শুয়ে থাকতে দেখেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বোমাতঙ্কে তাজমহল বন্ধ
পরে রোববার আবারও হরেন্দ্রের বাসায় যায় ওই কিশোরীর পরিবার। কিন্তু সেখানে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ দেখতে পায় তারা। পরে অনুপশহর থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরীর বাবা। মঙ্গলবার কিশোরীর বাবাকে নিয়ে হরেন্দ্রের বাসায় যায় পুলিশ।
অনুপশহরের এসএইচও রাম সেন সিং জানিয়েছেন, দিল্লিতে লেবার হিসেবে কাজ করে হরেন্দ্র। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে এসেছিল। আমরা গিয়ে তার বাড়িতে কাউকে খুঁজে পাইনি। একজন পুলিশ দেয়াল বেয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। কিন্তু ততক্ষণে হরেন্দ্র পালিয়ে গেছে।
রাম সেন আরও বলেন, আমরা হরেন্দ্রের বাবাকে আটক করি এবং হরেন্দ্রের ফোন নাম্বার নজরদারিতে রাখি। আমরা তার অবস্থান সিমলায় শনাক্ত করি। পরে একটি পুলিশ টিম সিমলা গিয়ে হরেন্দ্রকে বুধবার গ্রেপ্তার করে।
এ