ব্রেক্সিট ভোট দিতে সন্তানের জন্মদান পেছালেন টিউলিপ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ , ০১:১১ পিএম


ব্রেক্সিট ভোট দিতে সন্তানের জন্মদান পেছালেন টিউলিপ

ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর আজকের ভোটের কারণে সন্তান জন্মদানের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সন্তান জন্ম দিতে চলেছেন।

যুক্তরাজ্যের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়ার তারিখ দুইদিন পিছিয়ে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার তার স্বামী ক্রিস পার্সি হুইলচেয়ারে করে তাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যাবেন।

৩৬ বছর বয়সী টিউলিপ বলেন, আমার ছেলে একদিন পর পৃথিবীতে আসলেও যদি এ বিশ্বে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার ভালো সুযোগ আসে, তবে তাই হোক।

টিউলিপের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ে জন্ম দেয়ার সময় তার গর্ভকালীন জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

টিউলিপের এবার সিজার হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু ডায়াবেটিসসহ কিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় হ্যাম্পস্টেডের রয়েল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসকরা সিজারিয়ানের তারিখ এগিয়ে ১৪ বা ১৫ জানুয়ারিতে করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সিজারিয়ানের তারিখ দুই দিন পিছিয়ে ১৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) করার অনুরোধ জানান টিউলিপ।

চিকিৎসকরা তাকে এমনটা করতে নিষেধ করেছিলেন জানিয়ে টিউলিপ বলেন, রয়েল ফ্রি হাসপাতাল তাদের নিয়মকানুন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আমার গর্ভাবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমি চিকিৎসকদের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনও এমপি’র সন্তান জন্ম দেয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনও ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকেন, যাকে ‘পেয়ার’ বলা হয়। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই এই প্রথা।

কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রান্ডন লুইস ওই প্রথা লঙ্ঘন করে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও লুইস পরে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘দুর্ঘটনাবশত’ ভোট দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

তবে অতীত ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপ সিদ্দিক ওই ব্যবস্থায় তার আর আস্থা নেই বলে জানান।

টিউলিপ বলেন, তাকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য কেউ চাপ দেয়নি। কিন্তু এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভোট।

তিনি বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন এবং আমার সিদ্ধান্তের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি আমার বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যদি কোনও জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে অবশ্যই আমি সবার আগে আমার সন্তানের সুস্থতার কথা ভাববো।

আরো পড়ুন:

এ/জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission