• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ৩১ মার্চ ২০২০, ১৮:৫০

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন বলবৎ রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সে চার্চের পাঁচদিনের এক প্রার্থনাসভা দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্রিশ্চিয়ান ওপেন ডোর চার্চে শত শত লোকের এক জমায়েতের আয়োজন করে। আর সেখান থেকেই ফ্রান্সে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।

ফ্রান্সের মুলহাউজে পাঁচদিনের ওই প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে কেউ কেউ হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছে। এক লাখ বাসিন্দার এই শহরটি জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের সীমান্ত লাগোয়া। ওই প্রার্থনাসভায় যোগ দেয়া এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ছিল। আর তার মাধ্যমেই ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে সংক্রমণের ঘটনা।

স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, প্রার্থনাসভার কারণে উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত হয়েছে ফ্রান্সে। ওই প্রার্থনাসভার সঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। ওই প্রার্থনাসভায় যোগ দেয়াদের অনেকেই নিজেদের অজান্তে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো, ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ কোরসিকা, লাতিন আমেরিকার গায়েনা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্সের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ইউরোপের অন্যতম বড় অটোমেকারের কারখানায় নিয়ে গেছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।

কয়েক সপ্তাহ পর ফ্রান্সের সঙ্গে নিজেদের সীমান্ত আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয় জার্মানি। জার্মানির ওই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবগত আছেন এমন দুজন ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেছেন, ওই চার্চ ক্লাস্টার এর পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। এদিকে চার্চ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই জমায়েতে যোগ দেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে তাদের অন্তত ১৭ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও চার্চের মাধ্যমে ব্যাপক হারে এই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরনের এক জমায়েতের মাধ্যমে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়্।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কঠিন গ্রুপে আর্জেন্টিনা, সহজ গ্রুপে ফ্রান্স
ফ্রান্সে গুগলের ২৫০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা
ক্রাইস্টচার্চে শেষ রোমাঞ্চের অপেক্ষা
ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ
X
Fresh