করোনাভাইরাস: দুইদিন পর ১১ বছরের জার্মান শিশু জানলো তার মা জীবিত
১১ বছরের এক শিশুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় যে, তার একমাত্র অভিভাবক তার মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কিন্তু দুদিন পর তারা জানায়, আসলে তার মায়ের মৃত্যু হয়নি। খবর দ্য সানের।
এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে জার্মানির মিউনিখের দক্ষিণে উন্টারহাচিংয়ে। ওই নারীর বোন অ্যান্ড্রেয়া বলেন, আমার বোন একটি বৃদ্ধাশ্রমে কাজ করা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়।
গত মাসের প্রথম সপ্তাহে তার বোনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার জীবন বাঁচাতে তাকে ভেন্টিলেটরে রাখেন ডাক্তাররা।
অ্যান্ড্রেয়া বলেন, তারা আমার বোনকে দেখতে দেয়নি। তবে সে ‘ভালো’ আছে বলে আমাদের নিশ্চয়তা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আমি কাজ করছিলাম এমন সময় হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে বলা হয় যে আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা আমার বোনের জিনিসপত্র নিয়ে যেতে বলে।
অ্যান্ড্রেয়া বলেন, আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে যাই। আমি দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে পড়ি। আমি বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবারকে এই খবর দেই। আমি আমার ১১ বছরের ভাতিজাকে বলি যে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। আপনি আর কিভাবে ১১ বছরের একজনের কাছে এ খবর বলতে পারেন? একটি শিশুর জন্য এর চেয়ে খারাপ খবর আর কী হতে পারে।
দুদিন পর অ্যান্ড্রেয়া হাসপাতাল থেকে তার বোনের জিনিসপত্র নিয়ে আসে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর তিনি আবারও হাসপাতাল থেকে ফোন পান।
তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়- দয়া করে আপসেট হবেন না, আপনি বসে পড়ুন। একটু ভুল হয়ে গেছে। আপনার বোনের মৃত্যু হয়নি। সে ভালো আছে। এমন খবরে আমি আনন্দিত হলেও হাসপাতালের কর্মীরা কিভাবে এ ধরনের ভুল করতে পারে।
এ/পি
মন্তব্য করুন