যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিক নির্যাতন নিয়ে ঢাকাস্থ দূতাবাসকে প্রশ্ন করা উচিত: জয়
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে চলমান বিক্ষোভ ও আন্দোলনের ভেতর সাংবাদিকদের ওপর প্রায় ৯০ বার হামলা চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। অনেক সময় ক্যামেরাম্যানদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ।
গণমাধ্যমের প্রতি সহিংসতা এমন ঘটনার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
মঙ্গলবার নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির একটি খবর শেয়ার করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মে মাসের ২৫ তারিখে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ভিডিও প্রকাশ পায়। এরপর থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। বিক্ষোভ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই তাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বার্তা প্রেরণ করে আসছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেয়ার করা বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের বহু সাংবাদিক বিক্ষোভের খবর কভার করছে। এদের অনেকেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং মরিচ গুঁড়া নিক্ষেপের শিকার হন। পেশার পরিচয়পত্র দেখানোর পরও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটি বলছে, সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা ভয় দেখানো একটি অগ্রহণযোগ্য অপচেষ্টা।
দেশটির প্রেস ফ্রিডম ট্রাকার নামে বেসরকারি একটি সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত তিন দিনে সাংবাদিকদের ওপর এমন ৯০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৯ মে লাইভ কভারেজ চলাকালে মিনেসোটা পুলিশ সিএনএন-এর সাংবাদিক ও ক্রুদের আটক করে। এ সময় তিনি বারবার জিজ্ঞাসা করেন যে কী কারণে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে? কিন্তু পুলিশ কোনো উত্তর দেয়নি। বরং তখন লাইভে দেখা যাচ্ছিল- একে একে সাংবাদিক ও তার ক্রু সদস্যদের হাতকড়া পড়িয়ে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এসব হামলার মধ্যেও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ঘৃণা আর নৈরাজ্য উসকে দিতে ক্ষমতায় থাকা সবকিছুই করছে প্রথাগত সংবাদমাধ্যম। সাংবাদিকদের তিনি ‘অসুস্থ এজেন্ডা বয়ে বেড়ানো সত্যিকার খারাপ মানুষ’আখ্যা দেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। রিপোর্টার্স কমিটি ফর ফ্রিডম অব দ্য প্রেস বলছে, এ ধরনের ঘটনা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর পরিষ্কার লঙ্ঘন।
এছাড়া সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে পুলিশকে বিরত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের উপদেষ্টা পরিচালক কোর্টনি রাডিশ।
সি
মন্তব্য করুন