ঢাকাবুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

মিনি পাকিস্তানের বাসিন্দারা ইমরান খানের ওপর ক্ষুব্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৬:০৭ পিএম


loading/img
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তানের মিনি পাকিস্তান হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় পরিষদের সিন্ধি সদস্য সরদার মোহাম্মদ খান। সিন্ধু পাকিস্তানের প্রদেশ হওয়ার পরেও বিভিন্ন সময়ে এ প্রদেশের বাসিন্দারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য সিন্ধুকে মিনি পাকিস্তান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন  সরদার মোহাম্মদ খান। সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে অবহেলিত। ইমরান খান সিন্ধু প্রদেশের স্বৈরশাসক ছিলেন কিনা সে বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

এদিকে জাতীয় পরিষদের সিন্ধি সদস্য সরদার মোহাম্মদ খান সরকারের সিদ্ধান্ত সংবিধানের নীতি লঙ্ঘন করে বলেন, ‘সিন্ধু হচ্ছে মিনি পাকিস্তান। এখানে পাকিস্তানের সমস্ত প্রদেশের লোকেরা কর্মসংস্থানের জন্য আসেন এবং প্রদেশটি সীমিত সংস্থান থাকা সত্ত্বেও তাদের সকলকে সংযুক্ত করে। তবে ইমরান খান সরকার প্রতিটি দিন সিন্ধুর জন্য সমস্যা তৈরি করে চলেছে। কারণ সিন্ধু প্রদেশের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ এড়িয়ে চলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য সিঙ্গাপুর পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এসব খবর জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : ইরাকে আরও ৩৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে নেটো

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিন্ধু প্রদেশের লোকেরা মনে করেন, কখনও কখনও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিন্ধুতে হাসপাতালের দায়িত্ব নেওয়ার আদেশ দেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফেডারেল সরকার সিন্ধু মেডিকেল কলেজগুলোকে প্রদেশের বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে, প্রদেশের বাইরের কলেজগুলোতে সিন্ধু মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য কোনো ছাড় দেওয়ার বিষয়গুলোকে সরকার অস্বীকার করেছে বলেও প্রদশেটির বাসিন্দারা বলছেন। এছাড়া ফেডারেল সরকার সিন্ধুতে আর্থিক বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে যা ইমরান খান সরকার কর্তৃক সিন্ধু জনগণের প্রতি অন্যায়ের বহিঃপ্রকাশ। এই পদক্ষেপ ফেডারেল সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ এবং বিভেদকে আরও গভীর করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দ্য ইন্সটিটিউট অফ সোশ্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্সের (আইএসএপিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচিসহ সিন্ধু জুড়ে প্রায় মিলিয়ন শিশু পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া প্রদেশে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি বিদ্যালয় ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন : গালওয়ানে সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার চীনের

প্রসঙ্গত, সিন্ধুতে দারিদ্র্যের অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো গ্রামীণ অঞ্চলে বেকারত্বের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে বছরের পর বছর ধরে কৃষিকাজ অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। প্রদেশে শিল্প ও সেবার অভাবে আরও বেশি সংখ্যক পরিবার দারিদ্র হয়েছে।

এফএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |