বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ , ১২:৫৩ পিএম


বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমকে আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিনেত্রী ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশের বৈধতা  চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মেঘনা আলমের বাবার পক্ষে ব্যারিস্টার সারা হোসেন এ রিট দায়ের করেছেন।

গত ১০ এপ্রিল অভিনেত্রী ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে রাখার আদেশ দেন আদালত।
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ধারায় জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মেঘনা আলমকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, ডিএমপি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

মেঘনা আলম ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তিনি মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, সৌদি ও বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, রাষ্ট্রদূত ঈসা বাংলাদেশে তার দায়িত্বের মেয়াদ প্রায় শেষ করে চলতি এপ্রিলে ঢাকা ত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানান, একজন নারী ‘আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য’ তার সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করছেন। তাকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। রাষ্ট্রদূতের অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের যোগাযোগ থাকার বিষয়টি জানতে পারে। পুলিশ মেঘনা আলমের পরিবারের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করে। তবে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

একপর্যায়ে মেঘনা এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, কয়েকজন লোককে রাষ্ট্রদূত ঈসা পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়েছেন। তাকে হুমকি দেওয়া হয়, সরকার রাষ্ট্রদূতের পক্ষে থাকবে। তিনি যেন রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে ফেসবুকে কিছু পোস্ট না করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সৌদি রাষ্ট্রদূত বুধবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতেই রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার আগে মেঘনা ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ তার বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। প্রায় ১২ মিনিট ধরে চলা সেই লাইভে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং একাধিকবার সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা উল্লেখ করেন। তবে তাকে আটকের পরপরই ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। ভিডিওটি পরে তার আইডিতে পাওয়া যায়নি। 

আরটিভি/এএ/এআর

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission