• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

শীতে শখের ঘরটি পরিষ্কার রাখছেন তো?

অনলাইন ডেস্ক
  ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫১
শীতে শখের ঘরটি পরিষ্কার রাখছেন তো?
ফাইল ছবি

শীতের সময় বায়ুদূষণ বেশি হওয়ায় অল্পতেই ধুলাবালিতে শখের ঘরের প্রতিটি আসবাবপত্র নোংরা হয়ে যায়। বায়ুদূষণের এই প্রভাব বাইরে যেমন আছে তেমনি আছে ভেতরেও। প্রতিদিনই বাইরে থেকে ফেরার সময় আপনি কিছু ধুলাবালি সঙ্গে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করছেন। আবার ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মাধ্যমেই ভেতরের বাতাস দূষিত হচ্ছে।

এমনকি ত্বকের ঝরে পড়া কোষও ঘরের ভেতরের বাতাস দূষিত করে। ঘরে যদি ছোট কোনও শিশু থাকে তাহলে খেয়াল রাখতে হয় আরও বেশি। ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা সময়সাপেক্ষ এবং এতে অনেক খাটুনিও হয়। তাই বলে কী ঘরবাড়ি অপরিষ্কার থাকবে? অবশ্যই না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। তাই ঘর ধুলাবালি মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। চাইলে সহজেই বাসস্থান ধুলাবালি মুক্ত রাখা যায়।

রান্না, বাসনকোসন ও কাপড় ধোয়া, গোসল এসব কাজের সময়ে এডজাস্ট ফ্যান চালু রাখা বা জানালা খোলা রাখা উচিত।

ঘরের জানালা খোলা রাখলে ভেতরে জমা হওয়া বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বেরিয়ে যেতে পারে। স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হয়ে ঘরে সতেজতা ফিরে আসে। তাই ঘরের জানালা খোলা রেখে ভেতরে আলো-বাতাস চলাচল করতে দেয়া উচিত।

ঘরে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা ঠেকানোর জন্য ময়লা ফেলার ঝুড়ি সব সময় ঢেকে রাখলেই হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ রান্নাঘর ধুলাবালিমুক্ত রাখা। গ্যাসের চুলার সঙ্গে কিচেন হুড ব্যবহার করতে পারলে ভালো। অবশ্যই চুলার আশপাশে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।

বাইরে থেকে ফিরে জুতা রাখার বাক্সে জুতা রাখার অভ্যাস করুন। এতে জুতার ময়লা ছড়াবে না। ঘরের পাপোস নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। আসবাবপত্রের উপরিভাগ নিয়মিত ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার রাখুন। বিছানা, বালিশ, তোশক প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করতে হবে।

ঘর সাজাতে আনতে পারেন গাছ। মানিপ্ল্যান্ট, পিস লিলি, ব্যাম্বু পাম, ইংলিশ আইভি, ফার্ন, স্পাইডার প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী এসব গাছ সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি বাতাসও পরিশুদ্ধ করে।

ঘরের ভিতর আর্দ্রতা বেশি হলে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক জন্মাতে পারে, এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কারণ কার্পেটেই সবচেয়ে বেশি ময়লা আটকায়। তাই বাড়ি পুরোনো হলে নতুন করে রং করিয়ে নিন।

বাড়িতে কারো অসুখ হলে বিশেষত সংক্রামক অসুখ হলে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। রোগীকে আলাদা ঘরে, এমনকি প্রয়োজনে মশারির ভেতর রাখতে হবে। রোগীর ঘর খোলামেলা রাখতে হবে। রোগীর ঘরের দরজা-জানালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে দিতে হবে।

নিজের পরিধেয় কাপড়-চোপড় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অন্যের পরিধেয় কাপড় না ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে না। চিরুনি, চুলের ব্রাশ, তোয়ালে একাধিকজন ব্যবহার করলে খুশকি, জীবাণু ও চর্মরোগ সংক্রমিত হতে পারে। ঘর পরিষ্কারের পরপরই ঘর মোছার কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।

এস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে দ্বিতীয় ঢাকা
বায়ুদূষণে ২০২৩ সালে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ 
‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে দ্বিতীয় ঢাকা
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
X
Fresh