• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যে কোনও রোগ থেকে মুক্তির পর কী করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ৩১ মার্চ ২০২০, ২১:০০
যে কোনও রোগ থেকে মুক্তির পর কী করবেন?

সুস্থতা অনেক বড় নেয়ামত যা অসুস্থ হলেই বুঝা যায়। যদিও সুস্থতা, অসুস্থতা, বিপদ-আপদ সব মিলিয়েই জীবনযাপন করতে সবাইকে। প্রতিনিয়তই সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্ট করে যাচ্ছি সবাই। তারপরও কিন্তু অসুস্থতা পিছু ছাড়ে না।

সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য যে কোনও রোগ থেকে মুক্তির পর জীবাণু যেন পুনরায় আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্য সচেতন থাকতে হবে। অসুস্থ অবস্থায় আপনি যেমন নিজের প্রতি যত্নশীল ছিলেন, তেমনি সুস্থ হওয়ার পরও আপনাকে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রোগ মুক্তির পর ঘর জীবণুমুক্ত করার বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাহলে জেনে নিন যে কোনও রোগ থেকে মুক্তির পর করণীয়-

১. টয়লেট পরিষ্কার রাখা
টয়লেট সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখা প্রয়োজন। যে কোনো রোগ থেকে মুক্তির পর অবশ্যই টয়লেট পরিষ্কার করতে হবে।

২. রান্নাঘর পরিষ্কার
অসুস্থ থাকাবস্থায় অনেক ময়লাসামগ্রী রান্নাঘরের ডাস্টবিনে ফেলা হয়েছে। আর রোগীর ব্যবহৃত বাসনও সেখানে রাখা হয়। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার পর রান্নাঘর ও ব্যবহৃত সামগ্রী ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৩. দরজার হাতল পরিস্কার
হাত জীবাণুমুক্ত করতে বারবার ধোয়া উচিত। আর জীবাণু যেন না ছড়ায় তাই দরজার হাতলের ভেতরের ও বাইরের দুপাশের অংশই জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৪. তোয়ালে পরিস্কার
সুস্থ হওয়ার পর ব্যবহার করা তোয়ালে পরে ঠিকমতো ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুনাশক- বোরক্স বা ব্লিচ দিয়ে তোয়ালে পরিষ্কার করে নিন।

. বিছানা জীবাণুমুক্ত করা
অসুস্থ থাকাবস্থায় বেশিরভাগ সময়ই আপনি বিছানায় কাটিয়েছেন। তাই বিছানা জীবাণুমুক্ত করা উচিত। ধরন অনুযায়ী তা ধোয়া বা ভ্যাকুয়াম করা ও প্রয়োজনে এতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হবে।

৬. কাপড়-চোপড় ধুয়ে নেয়া
রোগীর কাপড়-চোপড় সুস্থ হওয়ার পর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় শুকাতে কড়া রোদ দিন।

৭. মেঝে পরিস্কার
ঘর ও রান্নাঘরের মেঝে এবং এখানে ব্যবহৃত আসবাব ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। এ ছাড়া লাইটের সুইচ, সিঁড়ির হাতল, কেবিনেটের হাতল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

৮. রিমোট পরিষ্কার
অসুস্থ অবস্থায় আপনি রিমোট ব্যবহার করেছেন। ফলে এতে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তাই সবসময় তা পরিষ্কার করা উচিত।

৯. মোবাইল জীবাণুমুক্ত করা
ব্যবহৃত মোবাইল জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটারের কি-বোর্ড ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকসামগ্রী জীবাণুনাশক ওয়াইপ্স দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

১০. পুরনো ব্রাশ বাদ দিন
সুস্থ হওয়ার পর ব্যবহৃত পুরনো ব্রাশ বাদ দিন। পাশাপাশি ব্রাশ রাখার হোল্ডারও পরিষ্কার করার কথা মনে রাখতে হবে।

১১. ময়লা পাত্র ও ক্যান পরিষ্কার করা
ময়লা পাত্র ও ক্যান পরিষ্কার করতে হবে। তাই ব্যবহারের পর তা সরিয়ে ফেলা ও যথাস্থানে ফেলে দেয়া উচিত।

১২. খেলনা জীবাণুমুক্ত করা
শিশুদের খেলনা জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। যেন তা পুনরায় আর সংক্রমণ ছড়াতে না পারে। বড় জিনিস জীবাণুনাশক ওয়াইপ্স দিয়ে পরিষ্কার করা গেলেও ছোট খাট খেলার জিনিস যেমন- লেগো, ব্রিকস ইত্যাদি বাসন মাজার সামগ্রী দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গরমে শিশুর যত্নে যা করবেন
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
কালিয়াকৈরে তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, ওষুধের তীব্র সংকট
X
Fresh