দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই বিউটিশিয়ানকে বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিউটিশিয়ান ওই নারীর ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাও করা হবে, তারপর রিপোর্ট দেখে বোঝা যাবে পেটের বাচ্চার কী অবস্থা।
বিলকিস বেগম বলেন, ওই নারী খুব কান্নাকাটি করছেন। তাই তাকে কাউন্সিলিং করার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, ফেসবুকে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের বিউটি পার্লারের কাজ করেন ওই নারী। মঙ্গলবার রাতে এক নারীর অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছ যান তিনি। সেখানে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে তাকে রিসিভ করান। সেখান থেকে শুক্রাবাদের একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। ওখানেই তিনজন পুরুষ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। গর্ভাবস্থার কথা জানিয়ে অনুনয় করেও রক্ষা পাননি তিনি। পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। সেখানে এক ব্যক্তির মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে ফোন দিলে তিনি গাবতলী থেকে তাকে সাভারে নিয়ে যান।
পারলার কর্মীর স্বামী বলেন, তার স্ত্রী পারলারে কাজ শিখেছেন। তিনি বাসায় গিয়ে রূপচর্চা সেবা দেন। অনলাইনে এমন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।
শেরে-বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, এ ঘটনায় ওই নারী মামলা করেছেন। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।