ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সারওয়ার্দী-আরেফীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ডিবি

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৩ , ০১:৩৬ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিয়া আরেফীর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী ও মিয়া আরেফীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ডিবি। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুন অর রশীদ। 

তিনি বলেন, জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফীকে আজ পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। সেদিনকার ঘটনা সম্পর্কে তাদের তথ্যে গরমিল থাকায় রিমান্ডে এনে তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দেশের বাইরে বসে কেউ ষড়যন্ত্র করেছিল কি না, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ডিবিপ্রধান। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে, জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী কাণ্ডে রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার ২ নম্বর আসামি সারওয়ার্দী।

এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তারা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা এবং সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে মিয়ান আরেফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সেখানে মিয়ান আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, হাসান সারওয়ার্দী এবং ইশরাক হোসেন তাকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে উসকানি দেন। আরেফী তাদের সহায়তায় সরকারের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সারাদেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে একপর্যায়ে মিয়া আরেফীর বক্তব্য শুনে এবং ভিডিও দেখে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়াতে আসামিরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন।

এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) বিমানবন্দর থেকে আটক গ্রেপ্তার দেখানো হয় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরাফিকে। আমেরিকার পাসপোর্টধারী মিয়ান আরেফীর প্রকৃত নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |