আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ ট্রেন আটকে গেছে

ডয়চে ভেলে

শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ , ১০:৫৮ এএম


আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ ট্রেন আটকে গেছে
ভারতের দিকের শেষ স্টেশন নিশ্চিন্তপুর

আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা রেলপথ কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে কার্যত কোনো ধারণা নেই ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের। তারা তাকিয়ে সরকারের দিকে।

বিজ্ঞাপন

কথা ছিল আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা, মাত্র ৮ ঘণ্টাতেই পৌঁছানো যাবে। দুই দেশের মধ্যে রেলপথ চালু হবে, যা শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই করবে না, হবে অর্থনৈতিক উন্নয়নও। কিন্তু সেই রেলপথ এখন বিশ বাঁও জলে।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু ভারতের তরফে এখনও সেই কাজ শুরু হয়নি। তারই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আগরতলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে কলকাতা যাওয়ার ট্রেন চালুর বিষয়ে। দীর্ঘদিন আগে কাজ সম্পন্ন হওয়া এই রেলপথ কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর ৫ অগাস্ট, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানো এবং আওয়ামী লিগ সরকার পতনের পর নতুন এই রেলপথ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ফের ভিসা পরিষেবা শুরু করায় আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটকেরা। যদিও এই নিয়ে এখনই কোনো আশার বাণী শোনাতে পারলেন না নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।

তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু বলা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট করে কোনো দিনের কথা উল্লেখ না করলেও এই রেলপথ চালুর বিষয়ে আশাবাদী তিনি। এই রেলপথ চালু হয়ে গেলে মাত্র আট ঘণ্টাতেই আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে।

আগরতলা থেকে পদ্মাপারের দেশে প্রবেশের সময় ভারতের দিকের শেষ স্টেশন নিশ্চিন্তপুর, বর্তমানে খাঁ খাঁ করছে। ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের সুবিধাযুক্ত এই স্টেশনে প্রতি ১২ ঘণ্টায় দুজন করে নিরাপত্তারক্ষী দেখাশোনা করেন।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মাঝেমধ্যেই জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে স্টেশন থেকে। পানীয় জলের ট্যাপ, লোহার রড খুলে নিয়ে পালাচ্ছে কেউ কেউ। এতো বড় স্টেশন, দুজন মিলে সামলানো কঠিন। তবে নিরাপত্তারক্ষী চুরির অভিযোগ আনলেও, এই বিষয়ে তার কাছে কোনো খবর নেই বলে জানিয়েছেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।

এই রেলপথ নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ত্রিপুরার বর্তমান প্রজন্ম। কারণ, এই রেললাইন প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরি করে দেবে বলেই জানিয়েছিল সরকার।

স্থানীয় এক যুবক বলেন, আমরা অনেক আশা নিয়ে ছিলাম রেলপথটি চালুর বিষয়ে। এটা চালু হলে আমরা অনেকেই কিছু করে খেতে পারতাম। কিন্তু এখন এই আশা ছেড়ে আমাদের অন্য কাজ খুঁজতে হচ্ছে।

আরটিভি/এএইচ/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission