বাংলাদেশ তিন শূন্যের বিশ্ব গড়তে চায়: প্রধান উপদেষ্টা

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫ , ১১:১১ এএম


বাংলাদেশ তিন শূন্যের বিশ্ব গড়তে চায়: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য কার্বন নির্গমন -এ তিনটি শূন্যের বিশ্ব গড়তে চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চল বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। অনেকেই এ বিশাল জনসংখ্যাকে ‘সমস্যা’ হিসেবে দেখলেও সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এ জনসংখ্যাই সবচেয়ে বড় সম্পদে পরিণত হতে পারে। নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সঠিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এ অঞ্চল বিশাল সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় উন্মুক্ত আঞ্চলিক সহযোগিতার পক্ষে। আমরা এমন একটি অঞ্চল গঠনের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সব দেশ সমতার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থ ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কাজ করবে।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা বিআইএমএসটিইসি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্য এবং জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে হবে । ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত বিআইএমএসটিইসি গ্রিড সংযোগ চুক্তি জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিআইএমএসটিইসি অঞ্চলকে আরও কার্যকর করতে হলে ২০০৪ সালে স্বাক্ষরিত বিআইএমএসটিইসি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিমসটেক এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, বিআইএমএসটিইসি প্রায় ২৮ বছর ধরে কাজ করছে। কিন্তু এর প্রকৃত প্রভাব এখনও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যথেষ্ট অনুভূত হয়নি। আমরা এই সংগঠনের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করবো।

বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।

ড. ইউনূস বলেন, দুঃখজনকভাবে গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ, ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে।

আরটিভি/একে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission