বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুুপুর ২টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ব্যানারে রাজনীতি করেন এমন শিক্ষার্থীরা লাঠি, রড, পাইপ নিয়ে এই হামলা চালান। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল শাখার সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। কিন্তু কিছু পত্রিকায় উল্টো সংবাদ আসে। এ নিয়ে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এ কে আরাফাতের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বেধড়ক পিটিয়ে অন্তত ১৫ জনকে আহত করে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে মাহামুদুল হাসান, সুজন মাহামুদ, শর্মিলা জাহান ও সিরাজুল ইসলামের আঘাত কিছুটা গুরুতর।
অভিযোগের বিষয়ে এ কে আরাফাতকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান জানান, হামলার খবর শুনে তারা উপস্থিত হয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। যত দূর শুনেছেন, আন্দোলনের পক্ষের ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম, খুনের প্রতিবাদে সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ এলাকায় গেলে সেখানে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। তখন সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যতদিন গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম, খুন চলবে ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।