পুঞ্জীভূত ক্ষোভের ফল ছাত্রজনতার আন্দোলন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে ১৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ভাবনা ও প্রত্যাশা নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আরটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান।
আরটিভি: গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সরকার প্রধান, পতন হয় চরম কর্তৃত্ববাদী সরকারের। এমন একটি আন্দোলন থেকে আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষাটা কী?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: এই আন্দোলনকে আমি বলব দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে আসা। এই আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে অবশ্যই ছাত্ররা ছিল, এটা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে এই অংশগ্রহণ ছিল এ দেশের সর্বশ্রেণির মানুষের। ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা, গার্মেন্টস শ্রমিক, কৃষকরা সামিল হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম। তখন যেরকম শুনেছি যে সব শ্রেণির লোকজন যুদ্ধে যেভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। আমার মনে হয় এখানেও তেমন হলো। আমি মিছিলে গর্ভবতী নারীদের দেখে অভিভূত হয়ে গেছি, কীভাবে গর্ভবতী নারীরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে ভেবে। এতটাই ব্যাপক ছিল এই আন্দোলন। গণতন্ত্রের যে মূল শিক্ষা, বাকস্বাধীনতা বা যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তার সে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি থাকার কথা, দীর্ঘ ১২-১৪ বছর আস্তে আস্তে এগুলোর চরমভাবে অনুপস্থিতি দেখা গেল, একগুঁয়েমি কর্তৃত্ববাদী আচরণ দেখা গেল। যার ফল এই সরকারের বিদায়, তাদেরকে বিদায় নিতে হয়েছে।
এখানে রাজনৈতিক শিক্ষা হলো, যে সরকার পরবর্তীতে আসবে তারা যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে ফল পেতে হবে। কখনও সেটা এরকম দৃশ্যমান পরিণতি হতে পারে, আবার তারা না বুঝতে পারলেও এর একটা ছাপ আস্তে আস্তে পড়ে যাবে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক তার ওপরে। এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। এই আন্দোলন থেকে এটাই আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষা।
আরটিভি: ছাত্র জনতার এক দফার দাবিতে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে এই সরকারের 'সংস্কার' কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী ধরনের ‘সংস্কার’ কল্যাণমূলক হতে পারে।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: সবচেয়ে সময়ের দাবি যে এখন সর্বক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। সবগুলো জায়গায় সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এখানেও এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলকেন্দ্রীক অনেক ইস্যু আছে। যা এতদিন চলে এসেছে। অনেকে ছাত্র নয় কিন্তু বছরের পর বছর হল গুলোতে দখল করে রেখেছে। যেখানে মেধাবী ছাত্ররা থাকলেও তারা তাদের শিক্ষা-কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেনাই। এই বিষয়গুলো প্রশাসন নতুন সংস্কারের মাধ্যমে বৈধ, মেধাবী ছাত্র যারা আছে তারা যেন লেখাপড়ার পরিবেশ পায় সে ব্যবস্থা করতে পারবে। এক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন, বৈধ ছাত্রদের সিট বণ্টন করতে পারবে। অছাত্র যারা বছরের পর বছর হলগুলো দখল করে রেখেছে, এখানে যে কিছু ব্যবসায়িক বিষয় আছে হল কেন্দ্রিক, ক্যান্টিন কেন্দ্রিক, টেন্ডার কেন্দ্রিক এগুলো প্রশাসন সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে বন্ধ করে দিতে পারবে। আমি এ কারণেই এই কথা বলব, এখন যেহেতু একটা রাজনৈতিক সরকার নেই, অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পক্ষে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষে এই বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে ভালোভাবে করা সম্ভব।
আরেকটা জিনিস, আমি শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত আমি জানি, বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়েছে, সব আমলেই হয়েছে এমন। এখন এই সরকার যে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চায়, সেই জায়গায় নিরপেক্ষভাবে এবং শক্তভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন করে অথবা যে নীতিমালা আছে সেগুলো যথোপযুক্ত প্রয়োগ করে শিক্ষার পরিবেশ আরও সুনিশ্চিত করা যাবে। কোনো ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে এই কাজগুলো করা সম্ভব। আমি যেখানে আছি আমার পক্ষেও সম্ভব। অন্য যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে তারা সেগুলো তাদের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে সরাসরি হোক বা পরোক্ষভাবে হোক নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সে কাজগুলো তারা করতে পারে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ, মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, শিক্ষার সু-পরিবেশ বজায় রাখা এবং এখানেও যেন একটা জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, বাকস্বাধীনতার মতো পরিবেশ নিশ্চিত থাকে।
আরটিভি: অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য আপনি। এখানে আসার পর এখন পর্যন্ত একাডেমিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন রয়েছে।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: সার্বিকভাবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি ভালো বলব। সেখানে গিয়ে আমি দেখেছি ক্লাস ও পরীক্ষা চলছিল। এটা আমাকে খুবই আশান্বিত করেছে। সেসময়ও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিল। একাডেমিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে যদি বলি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ১৮ পেরিয়েছে। বেশ কিছু পুরনো ডিপার্টমেন্ট মারাত্মক শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে। আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি চার সপ্তাহ হলো। এসব ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক নিয়োগ করে তাদেরকে একাডেমিক্যালি স্ট্রং অবস্থায় কীভাবে নেওয়া যায় যায়, এই বিষয়টা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এক্ষেত্রে প্রধান স্টেকহোন্ডার ইউজিসির ভালো সমর্থন লাগবে এ কারণে যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক ঘাটতির সমস্যা সমাধান করতে ইউজিসির একটা বড় সমর্থন প্রয়োজন। এই বিষয়টা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছি। আশাকরি যত স্বল্প সময়ের মধ্যে হোক আমি একাডেমিক বিষয়টা যাতে দ্রুত উন্নত করতে পারি। এছাড়া বাইরের সাথে যাতে কোলাবোরেশান করতে পারি ও শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করতে পারি, এই চেষ্টাটা আমি চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসনিক দিক নিয়ে বলব, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। আমার মনে হচ্ছে যেভাবে আছে সময়ের পরিক্রমায় জটিল নাকি আরও ভালো হবে বুঝা যাবে। প্রশাসন রিফর্মে কিছু কাজ ইতোমধ্যে করেছি এবং সামনে আরও কিছু কাজ করব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোর জন্য। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলতে চাই, আমার কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ ভালোভাবে পরিচালনার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার সে অবস্থা আছে বলে মনে হয়। জটিল বা ভাবার মতো বা চিন্তিত হবার মতো এখনও সেই অবস্থায় নেই।
আমি আশ্চর্য হয়েছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ এর অধিক এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস করা সংগঠন আছে, এটা নিশ্চিতভাবে আশান্বিত হবার বিষয়। যে কাজগুলো মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক প্রভাব বোধহয় দূর করে রাখে। যতবেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন, ডিবেটিং সংগঠন থাকবে, খেলাধুলা হবে তত বেশি ভালো হবে।
আরটিভি: বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার দীর্ঘ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা ও নতুন বাস্তবতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার কী কী পরিকল্পনা রয়েছে।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: আমি নতুন কিছু চিন্তা করছি। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার একান্ত সহযোগিতা লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে নিয়ে যেতে হয় তাহলে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এখনও অনলাইন সিস্টেমে অনেকটা পিছিয়ে। অটোমেশন সিস্টেমে পিছিয়ে আছি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষকদের জন্য ফান্ড পাবার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। শিক্ষকদের মান বৃদ্ধির জন্য ভালো জায়গা থেকে পাবলিকেশন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানকে বাড়াবে। একটা আর্টিকেল যদি দেশের মধ্যে পাবলিশড করি আরেকটা যদি বাইরে পাবলিশড করি তাহলে কিন্তু ডেফিনেটলি ওই বাইরের পাবলিকেশনটাই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই বিষয়গুলোর জন্য আমার সবদিক থেকে সহযোগিতা লাগবে। এই পরিকল্পনা আমার রয়েছে যেন এই কাজগুলো করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক খুব ভালো গবেষণা করেন এবং তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ২ শতাংশ সেরা গবেষক তালিকায় আছেন। আমরা কোলাবোরেশান করার চেষ্টা করছি এআইটির সঙ্গে, ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোলাবোরেশান করার আলোচনা চলছে। যদি এই কাজগুলো করা যায় তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যান্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আস্তে আস্তে ওপরের দিকে যাচ্ছে সেদিকে যেতে পারব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যদিও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নয় তবুও আমাদের প্রযুক্তির বিষয়গুলো আছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি প্রযুক্তি জ্ঞান বৃদ্ধিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা নেব। এ ব্যাপারে একটি কমিটি করে দিয়েছি। এসব জায়গা থেকে অর্জিত জ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানকে উপরের দিকে নিয়ে যাব।
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে কনফারেন্স ও সেমিনার আয়োজনের। সেখানে দেশে ও বিদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গদের আনার চেষ্টা করব ও তাদের পরামর্শ আমরা গ্রহণ করব সামনের দিকে এগিয়ে চলার জন্য। আমাদের লাইব্রেরিকে উন্নত করার চেষ্টা করব। অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে শিক্ষার্থীদের গবেষণার দিকটা উন্নত করার চেষ্টা করব। যারা জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে জয়েন করবে তাদের স্কিল বাড়াতে ক্যাম্পাসে বা বাইরে নিয়ে বেসিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং করানো যায় কিনা আমরা এ আলোচনা করছি। এতে ছাত্রছাত্রীরা অনেক উপকৃত হবে। আমাদের অল্প জায়গা অনেকগুলো মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং হয়ে গিয়েছে। মুক্ত পরিবেশটা কম।
আমি বারবার বলি, মানুষের মন বড় হয় না যদি ঘর ছোট হয়, দরজা ছোট হয়, জানালা ছোট হয়, স্পেস কম থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া যত বড় হবে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনটাও বড় হবে। এটা তাদের উৎকর্ষতা বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। এই দিকটা আমার মাথায় এসেছে ও পদক্ষেপ নিচ্ছি। ফলাফল হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় এট্রাক্টেড হবে ছাত্রছাত্রীদের জন্যে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আরটিভি: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কার্যকরী ও দক্ষপ্রশাসন নিশ্চিতকরণসহ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কেমন ভূমিকা রাখতে চান।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: আমি জাস্টিস ইনসিওর করতে চাই উইথ ইকুয়ালিটি এন্ড ইকুইটি। আমার এক নম্বর মোটো স্বচ্ছতা। কোনো ধরনের নিয়মের ব্যত্যয় যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করব। আর যদি নিয়মের ব্যত্যয় না হয়, আমি মনে করি সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত থাকবে, স্বচ্ছতাও থাকবে এবং এই পরিবেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহায়তা করবে।
আরটিভি: এই বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন দিক থেকে ব্যতিক্রম বলে ধরা হয়। সাধারণ ও বিশেষ বিষয় যেমন পড়ানো হয় পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তৈরির একটি ক্ষেত্রও বলা হয়। এসব বিষয়ে আপনি কীভাবে দেখেন।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: কবি নজরুলের স্মৃতির সম্মানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান ও কারিগরিসহ অন্যান্য খাতে দক্ষ মানবসম্পদ যেমন তৈরি হবে পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি হবে। মূলকথা, কবি নজরুলের আদর্শ 'লিগ্যাসি' হিসেবে ধারণ করে নজরুল গবেষণাসহ বিভিন্ন সেক্টরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা দেশে ও বিশ্বময় দ্যুতি ছড়াবে বলে মনে করি।
আরটিভি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দিতে চান।
ড. জাহাঙ্গীর আলম: সবাই যেন ভালো চিন্তা করেন। ভালোভাবে সহযোগিতা করেন। যার যার জায়গা থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য তেমন কারিগর তৈরি হন ও তৈরি করেন। দেশের কল্যাণে, সমাজের কল্যাণে কাজ করার মতো উন্নত মানসিকতার কারিগর হিসেবে সবাই যেন তাদের সহযোগিতার হাতটা প্রসারিত করেন।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়া এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি), ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে ১৯৯৯ সালে এম এস সি ও ২০১১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার ২০টিরও অধিক রিসার্চ ও আর্টিকেল দেশ-বিদেশের স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এআর
মন্তব্য করুন