• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মসজিদে জামাত চলবে তবে সংক্ষিপ্তাকারে: ইফা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ মার্চ ২০২০, ১৮:০৬

দেশের সব মসজিদে নিয়মিত আজান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে তা হবে সংক্ষিত আকারে।বিশিষ্ট আলেম ও মুফতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আজ সোমবার (৩০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের খ্যাতনামা আলেমদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিরাজমান পরিস্থিতিতে বৈঠক করে। সেই বৈঠকেও আলেমরা মসজিদগুলোতে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের সংখ্যা সীমিত রাখার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে বলা হয়, মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে গমন করবেন না। আলেমদের পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করে ইফা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোববার (২৯ মার্চ) আলেমদের নিয়ে বৈঠক করে ইফা। বৈঠকে আরব দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ বন্ধের বিষয়গুলো সামনে রেখে বাংলাদেশেও পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মতামত চায় ইফা।

এক্ষেত্রে কোনও কোনও আলেম পরামর্শ দেন, মসজিদ খোলা থাকবে তবে শুধু ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা জামাতে নামাজ আদায় করবেন। তবে বেশিরভাগ আলেম এর বিরোধিতা করেন।

ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মসজিদে নিয়মিত আজান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমা ও জামাতে মুসল্লিগণের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে। ৮ ধরনের মুসল্লিদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইফা। সেগুলো হলো:

১. যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

২. যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে।

৩. যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন।

৪. যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন।

৫. যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,।

৬. বয়োবৃদ্ধ, দুর্বল, মহিলা ও শিশু।

৭. যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত।

৮. যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন

তাদেরও মসজিদে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ইফার পক্ষ থেকে আরও বলেছে, যারা জুমা ও জামাতে যাবেন তারা সকলেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ওজু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন।

মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটিকেও করণীয় সম্পর্কে ৮টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরামর্শগুলো হলো:

১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলা।

২. জামাত সংক্ষিপ্ত করা।

৩. জুমার বয়ান, খুতবা ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা।

৪. বর্তমান সংকটকালে দরসে হাদিস, তাফসির ও তা’লীম স্থগিত রাখা।

৫. ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখা।

৬. বর্তমান পরিস্থিতিতে জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানো।

৭. ইশরাক, তিলাওয়াত, জিকির ও অন্যান্য আমল ঘরে করা।

৮. ঢাকাসহ দেশের কোনও মসজিদে যদি কোনও বিদেশি অবস্থান করেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে সত্ত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • ধর্ম এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মসজিদের বারান্দায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
১০০ বছর পর খুলল মসজিদ, ঈদের নামাজ পড়লেন মুসলিমরা
মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজ পড়াবেন যারা
ঢাকার ১৮৪ ঈদগাহ ও ১৪৮৮ মসজিদে নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
X
Fresh