ঢাকাসোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিবৃতি

শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্র করে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৬ জুলাই ২০২৩ , ০৭:১৩ পিএম


loading/img

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১/১১-এর সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক  এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কথা জানান।

দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করার একটি কলংকিত দিন হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে অতি প্রত্যুষে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ফজরের নামাজ পড়ছিলেন তখন তাঁর কৃত কোনোও অপরাধ ছাড়াই হাজার খানেক পুলিশ ও র‌্যাব তাঁর ধানমন্ডিস্থ সুধা সদনের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং অত্যন্ত অসে․জন্যমূলকভাবে নেত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সেই কাকডাকা ভোরেও তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আশেপাশের দলীয় কর্মীরা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে র‌্যাব ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে এই অন্যায় গ্রেফতারে দীর্ঘক্ষণ বাধা দেয়। সেই সংঘর্ষে অনেকেই আহত হয়। কিন্তু র‌্যাব ও পুলিশ আরো জনরোষের ভয়ে দ্রুত নেত্রীকে নিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করে সেই ভোরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এরপর আদালত শুরুর দুই ঘন্টা বাকি থাকতেই আদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমাফিক তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হয়। গণতন্ত্রের প্রতীক জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণের একটি খালি ভবনকে ক্সস্বরতান্ত্রিকভাবে সাব-জেল ঘোষণা করে দৈনন্দিন অতি প্রয়োজনীয় উপকরণাদি ছাড়াই তাঁকে সেখানে কড়া পাহাড়ায় নির্জন ভবনে রাখা হয়। দেশের অন্যান্য গণতন্ত্রকামী সংগঠনগুলোর সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদও সেই সময়ে জননেত্রীর সাথে এই ধরনের অসম্মানজনক আচরণের ও অকষ্মাৎ নাটকীয় ও অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৪ সালের নৃশংস গ্রেনেড হামলায় দৈবাৎ বেঁচে যাওয়া শেখ হাসিনা অসুস্থ ছিলেন, বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত কানের জন্য তিনি নিবিড় চিকিৎসাধীন ছিলেন। অসুস্থ জননেত্রীকে অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে ও আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে চট্জ লদি কারাগারে পাঠানোর মতো নিষ্ঠুর আচরণে তাঁর স্বামী প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এদিকে কারাগারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে দিনকে দিন নেত্রীর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যেতে থাকে।

এতে বলা হয়, দেশব্যাপী এবং বিদেশেও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই নেত্রীর শর্তহীন মুক্তি দাবি করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৫ লক্ষ প্রতিবাদী মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি ক্সস্বরাচারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের কাছে পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কমিটি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অধ্যাপকবৃন্দ এই ব্যাপক স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে সহযোগিতা করেন।  দীর্ঘ ১১ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন স্বৈরাচারী সরকার তাঁকে জনগণের চাপে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আজকের দিনটি তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করার একটি কলংকিত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।  বাংলাদেশের জন্য দিনটি তাই ইতিহাসের শুধু একটি বেদনাদায়ক ঘটনাই নয়, একই সাথে গভীর ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রও অত্যাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হয় তা শেখার দিন এবং মনে রাখার দিন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |