অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২ আগস্ট রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের দুজনেরই ১২ বছরের সাজা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২)/২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২৬(২) ধারায় সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি রয়েছে। সহযোগী হিসেবে ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। সেক্ষেত্রে সহযোগী হিসেবে একই পরিমাণ অর্থাৎ ১৩ বছরের সাজা হতে পারে জোবায়দা রহমানের।
এ বিষয়ে দুদকের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ ১৩ বছরের সাজাই হবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। মামলাটিতে মোট ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিনই যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৭ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।