• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাঁদে অভিযানের পঞ্চাশ বছর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৮:২০
চন্দ্রাভিযান চাঁদে ভ্রমণ
সংগৃহীত ছবি

পঞ্চাশ বছর আগে ১৬ জুলাই মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার জন্ম হয়েছিল। ১৯৬৯ সালের এদিন প্রথমবারের মতো চাঁদে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল অ্যাপোলো ১১। এর কয়েকদিন পর ২০ জুলাই প্রথমবারের মতো কোনও মানুষ চাঁদের বুকে পা রাখে।

১৯৬৯ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ৪৫ মিনিটে তিন জন তাঁদের নাশতা সারেন। এরপর নভোচারীর পোশাক পরে পেছনে ফিরে সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে ধীরে ধীরে রকেটের ভেতর প্রবেশ করেন।

সারা বিশ্বের মানুষ টেলিভিশনে এই দৃশ্য সরাসরি দেখে। সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ৭৬ লাখ পাউন্ড জ্বালানি ভরা নাসার ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটের ইঞ্জিন চালু হয়। এরপর উড়াল দেয় মহাকাশের দিকে। চাঁদের মাটিতে পৌঁছাতে তাঁদের সময় লেগেছিল ৪ দিন।

২০ জুলাই চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণের পর এই উপগ্রহের মাটিতে নামেন দুই নভোচারী। প্রথম পা রাখেন মার্কিন মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। তারপর নামেন অলড্রিন। আর মাইকেল কলিন্স চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন কলাম্বিয়া নভোযানে।

ফেরার সময় একটি ব্যাগে নমুনা হিসেবে সাড়ে ২১ কিলোগ্রাম চাঁদের মাটি এবং পাথর ভরে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। পরে জানা যায় সেই ব্যাগটি হারিয়ে ফেলেছিল নাসা। তবে ২০১৩ সালে সেটির খোঁজ মেলে।

তবে এই অভিযান বিতর্কমুক্ত থাকেনি। এই অভিযান ও চাঁদে পা রাখার বিষয়টাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে অনেকেই। তবে ওই চন্দ্রাভিযান নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, এ বছর সারা বিশ্বই সফল অভিযানটির ৫০ বছর উদযাপন করছে।

চাঁদে অভিযানের চেষ্টা এখনও থেমে নেই। চলতি বছরের প্রথম মাসেই চীনের একটি মহাকাশযান চাঁদ ঘুরে এসেছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের সবচেয়ে দূরবর্তী স্থানে মহাকাশযানটি অবতরণ করেছে বলেও দাবি করেছে চীন।

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে উঠেপড়ে লেগেছে পরাশক্তিগুলো। চন্দ্রাভিযানের চেষ্টায় আছে ভারত। চলতি সপ্তাহে একবার চাঁদের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতের চন্দ্রযান-২। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি স্থগিত হয়েছে। এ মাসে আবার চেষ্টা চালাবে ভারত।

ডি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিজ্ঞান এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অর্ধশতাব্দী পর চন্দ্রাভিযানে সাফল্য এলো যুক্তরাষ্ট্রের
X
Fresh