• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাবা হতে না পেরেও আক্ষেপ নেই অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জির
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জি। কমেডিয়ান হিসেবে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শক সারিতে হাসির ঢেউ বয়ে যায়। রুপালি জগতের এই রঙিন মানুষের হৃদয়েও জমে আছে একরাশ বিষণ্নতা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনকে সাক্ষাৎকার দেন শুভাশিস। এ আলাপচারিতায় বিষণ্নতা বা পূর্ণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে নিজের দুঃখটাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন এই অভিনেতা। শুভাশিস মুখার্জি বলেন, আমি সন্তানের বাবা হতে পারিনি তো কী হয়েছে! এই নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। দিব্যি আছি আমি আর ঈশিতা। শুভাশিস মনে করেন একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী থাকা খুব দরকার। তার সেই আদর্শজীবন সঙ্গী হলেন তার স্ত্রী ঈশিতা। শুভাশিস মুখার্জি ১৯৮৬ সালে ঈশিতা মুখার্জিকে বিয়ে করেন। পরিচয় এবং প্রেমপর্ব মিলিয়ে প্রায় ৪ দশকের সম্পর্ক এ দম্পতির। প্রথম পরিচয়ের স্মৃতিচারণ করে শুভাশিস বলেন, কলকাতার ম্যাক্সমুলার ভবনে একটি নাটক করতে গিয়ে ঈশিতার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ। তারপর বন্ধুত্ব এবং প্রেম। পরে আমরা বিয়েটাও করলাম। স্ত্রীর প্রশংসা করে শুভাশিস মুখার্জি বলেন, ওর মতো মেয়ে হয় না। আমি ওকে পেয়ে সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৯

অভিনেতা পার্থসারথি দেব আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পার্থসারথি দেব। শুক্রবার (২২ মার্চ) কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৮।    দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডির সমস্যায় ভুগছিলেন পার্থসারথি। ফুসফুসে সংক্রমণ ছিল তার। পাশাপাশি নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছিল। অভিনেতার বুকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। গত ৪৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঙুর হাসপাতালের ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন পার্থসারথি। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। ‘পশ্চিমবঙ্গ মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম’র তরফে শুক্রবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পার্থসারথির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা ফোরামটির সহসভাপতি ছিলেন তিনি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রখ্যাত অভিনেতা এবং আমাদের ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি পার্থসারথি দেব ২২ মার্চ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার অকালপ্রয়াণে গভীর শোক জ্ঞাপন করছে ফোরাম। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে পার্থসারথির দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। অভিনেতার সহকর্মী, ভক্ত, প্রিয়জনেরা চাইলে সেখানে গিয়ে মাল্যদান এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘লাঠি’, ‘প্রেম আমার’-সহ একাধিক জনপ্রিয় বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন পার্থসারথি। সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টালিপাড়ায়। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পার্থসারথি।  সূত্র : আনন্দবাজার   
২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৫১

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত 'স্কুইড গেম' অভিনেতা
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন ৭৯ বছর বয়সী ‘স্কুইড গেম’ অভিনেতা ও ইয়াং সু। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জনপ্রিয় সিরিজ হলো ‘স্কুইড গেম’। এই সিরিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় ইয়াং সু-কে। ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সিউলের সেওংনাম আদালত ও ইয়াং সু-কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। অভিনেতাকে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে যৌন হয়রানির বিষয়ে ৪০ ঘণ্টার বিশেষ ক্লাসে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রবীণ এ অভিনেতাকে। তবে আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও ইয়াং-সু। উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে ও ইয়াং সু’র বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। তার অভিযোগ ছিল, ও ইয়াং-সু তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন, তার হাত ধরেন ও গালে চুমু খান। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে প্রচারিত ‘স্কুইড গেম’ সিরিজে ও ইল-নাম চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ও ইয়াং-সু। এই সিরিজের জন্য ২০২২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা। প্রায় তিন বছর পর ‘স্কুইড গেম’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৬

অস্কার আসরে তালি দিয়ে ভাইরাল অভিনেতা কুকুর
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অস্কারের ৯৬তম আসরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে এবারের অস্কার আসরের সেরা সিনেমা হিসেবে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। এদিকে দর্শক সারিতে বসা অতিথিরা। তাদের পাশের চেয়ারে বসা একটি কুকুর। ‘বার্বি’ তারকা রায়ান গসলিংসহ অতিথিরা যখন হাততালি দিচ্ছেন, তখন কুকুরটিও সামনের দু-পা দিয়ে সমভাবে তালি দিচ্ছে। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যা রীতিমতো নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।  ডেইলি মেইলের তথ্য অনুসারে, ৯৬তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার লাভ করেছে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’ সিনেমা। এতে স্নুপ চরিত্রে অভিনয় করে কুকুরটি। প্রতিভাবান এ কুকুরের নাম মেসি। মেসি নামে কুকুরটির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন লারা নামে এক নারী। কুকুরটি নিয়ে গত বছর মুখ খুলেছিলেন তিনি। ওই সময়ে লারা জানিয়েছিলেন, কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে নজর কাড়তে শুরু করে মেসি।   রহস্যজনকভাবে একজন মারা যান। ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। প্রশ্ন উঠে, এটা কি হত্যাকাণ্ড? ঘটনার বেশ কিছু সূত্র পাওয়া যায়। সেই সূত্রগুলো নিহত ব্যক্তির লেখিকা স্ত্রীর দিকে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। এমন গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’ সিনেমা। এটি নির্মাণ করেছেন জাস্টিন ট্রিট। সিনেমাটি মুক্তির পর সমালোচকদের অনেকে দাবি করেছিলেন, কুকুরটি অস্কার পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। যদিও তা হয়নি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:১২

বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদের ৭৬তম জন্মদিন আজ
দেশের জনপ্রিয় বরেণ্য অভিনেতা মামুনুর রশীদের জন্মদিন বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছেন তিনি। জীবনের ৭৫ বসন্ত পেরিয়ে ৭৬ পা রাখলেন এই অভিনেতা। তবে এখনও নিজকে ১৯ বছরের তরুণ বলেই মনে করেন মামুনুর রশীদ। অন্যান্যদের থেকে তার জন্মদিনের বিশেষত্ব হচ্ছে প্রতি বছর নয়, চার বছর পর পর আসে অভিনেতার এই বিশেষ দিন।    মামুনুর রশীদ একাধারে নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। মঞ্চ,  টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সমান তালে কাজ করে দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ইতোমধ্যে পাঁচ দশকের বেশি সময় অভিনয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা। মামুনুর রশীদ তার নাটকে শ্রেণিসংগ্রাম, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু তুলে ধরেন। লেখা ও নির্দেশনার মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন নাট্যজগতে অপরিহার্য একজন।    ১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি টাংগাইল জেলার কালিহাতির পাইকড়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ নেন মামুনুর রশীদ। অভিনেতার বাবা হারুনুর রশীদ ডাক বিভাগের একজন সরকারি চাকরিজীবী। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলার স্কুল-কলেজে লেখাপড়া করেছেন। ঢাকা পলিটেকনিক থেকে পুরকৌশল বিভাগে ডিপ্লোমা করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ ও এমএ ডিগ্রি নিয়ে পড়াশুনা সম্পন্ন করেন মামুনুর রশীদ।  স্কুলজীবনে অভিনয় করতেন মামুনুর রশীদ। অভিনয়ের নেশা তখনই তৈরি হয় এই অভিনেতার। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়ার সময়ই মামুনুর রশীদ তার প্রথম নাটক লেখেন। নাটকটির নাম— ‘মহানগরীতে একদিন’। তবে অভিনয় পেশা হবে, এমনটা কোনো দিন ভাবেননি তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভাবলেন, অভিনয়টাই জীবিকা হবে তার।  ১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন মামুনুর রশীদ। তবে তার নাটকের বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। সেসময় কমেডি নাটকও লিখতেন এই অভিনেতা। নাট্যশিল্পের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাংগাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে অভিনেতার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে।  মুক্তিযুদ্ধকালীন তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় নাটকটি আর তখন মঞ্চায়িত হয়নি।   পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। সেই সময়টাও তার নাট্যচর্চায় প্রতিফলিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তার আরেক নাট্যসংগ্রাম ‘মুক্ত নাটক আন্দোলন’। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেই মামুনুর রশীদ তৈরি করেন ‘আরণ্যক নাট্যদল’।  মামুনুর রশীদের উল্লেখিত মঞ্চ ও টিভি নাটকগুলো হলো—  মঞ্চ- ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’, ‘গন্ধর্ব নগরী’, ‘ওরা কদম আলী’, ‘অববাহিকা’, ‘জয় জয়ন্তী’, ‘সংক্রান্তি’, ‘বনাম রাঢ়াং’, ‘ভঙ্গবঙ্গ’।      ধারাবাহিক টিভি নাটক- ‘অলসপুর’, ‘সুন্দরী’ ও ‘মুর্দা ফরেশ’।  নাট্যকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে একুশে পদকে ভুষিত হন মামুনুর রশীদের। এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী সম্মাননা, মাওলানা ভাসানী পুরস্কার, অনীক থিয়েটার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।   
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর ছেলেকে হুমকি
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। ছোট পর্দা, বড় পর্দা সর্বত্র অনবদ্য অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের নিখাদ বিনোদন দিয়ে থাকেন। মন ভালো রাখেন সকলের। এবার বিশ্বনাথের নিজেরই মন খারাপ। সম্প্রতি প্রতিবেশী দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার ছোট পুত্র। একরত্তি সন্তানকে চেটে প্রস্রাব পান করতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার দুই ছেলে হিমায়ন ও বিশ্বায়ন। একজনের বয়স ৮ বছর, অন্য জনের বয়স ১৩ বছর। রোববার সন্ধ্যায় দুই ভাই গিয়েছিল মাঠে খেলতে। খেলার সময় হঠাৎ শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে অভিনেতার ছোট ছেলের। তাদের ফ্ল্যাটের উল্টো দিকের একটি বাড়ির সামনে নালার সামনে প্রস্রাব করে সে। দেখা মাত্রই বাড়ির মালিক বেরিয়ে এসে প্রথমেই হাত মুচড়ে দেন বছর আটেকের হিমায়নের। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বনাথের স্ত্রী দেবিকা বসুর বলেন, ভদ্রলোক আচমকা এসে ওর হাতটা মুচড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দে’। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে আমার বড় ছেলে এগিয়ে গিয়ে বলে, কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে’। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে, ‘আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেব, আমায় ছেড়ে দাও’। তখন ওই ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলেন, ‘তা হলে তুই চেটে পরিষ্কার করে দিয়ে যা’। এদিকে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্বনাথ। তবে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে হট্টগোল পাকাতে চান না তিনি। শুধু বলেছেন, ‘গোটা ঘটনাটা কল্পনাতীত। এই ঘটনায় ও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে ছোট তো, ভুলতে সময় লাগবে। যদিও সো‌মবার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধেই গিয়েছে পরীক্ষা দিতে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ১৩ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে অভিনেতা গ্রেপ্তার
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েন ১৩ বছর ধরে এক নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ভারতীয় অভিনেতা-নির্মাতা-প্রযোজক মনোজ রাজপুত। এমন অভিযোগে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করে ছত্রিশগড়ের ভিলাই থানা পুলিশ।   ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারী মনোজের আত্মীয়। গত ১৩ বছর ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।    রেলওয়ে থানার এসএইচও (স্টেশন হাউজ অফিসার) রাজকুমার বোর্ঝ বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি পুরোনো ভিলাই রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সাল থেকে ওই নারীর সঙ্গে শারীরি সম্পর্ক স্থাপন করে আসছেন মনোজ। কিন্তু সে তার প্রতিশ্রুতি না রাখায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নারী। জানা গেছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৭ এবং পকসো ধারায় মনোজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। কারণ প্রথমবার যখন অভিনেতা শারীরিক সম্পর্ক করেন তখন ভুক্তভোগী ওই নারী নাবালিকা ছিলেন। এজন্য পকসো ধারা মামলায় যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ অফিসার রাজকুমার বোর্ঝ। কিন্তু আদালত পকসো ধারার মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের যুক্তি— ২০১১ সালে পকসো ধারার আইন তৈরিই হয়নি। তাই এই ধারায় অভিযোগ করা যায় না। তবে ধর্ষণ-সহ অন্যান্য ধারা এখনও বহাল আছে।   প্রসঙ্গত, ‘গাঁও কে জিরো’, ‘শহর মে হিরো’সহ একাধিক সিনেমার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনোজ। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা ও পরিচালনা সঙ্গেও যুক্ত তিনি। এছাড়া অভিনেতার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও রয়েছে।    সূত্র : আনন্দবাজার   
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

ফের বিয়ের পিঁড়িতে অভিনেতা তামিম
ছোট পর্দার অভিনেতা ও ইউটিউবার তামিম মৃধা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে নিজের দ্বিতীয়  বিয়ের খবর ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি। তার স্ত্রীর নাম রাইসা ইসলাম। পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। সবার কাছে নিজেদের জন্য দোয়া চেয়েছেন এ নবদম্পতি। এদিকে তামিমের বিয়ের খবর বেশ অবাক করেছে ভক্তদের। কারণ ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ফাইরোজ ইয়াসমিনকে বিয়ে করেছিলেন এ অভিনেতা। সেই বিয়ে বিচ্ছেদের খবর গোপন থাকতেই নতুন বিয়ের খবর জানালেন তামিম। এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট না করলেও ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, আমি অতীতে যেই সম্পর্কে ছিলাম সেটা অনেক আগেই ভেঙে গেছে। আমি কখনোই চাইনি আমার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো ঘটনা নিয়ে জনসম্মুখে আলোচনা হোক। কারণ এগুলো খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।রাইসার সঙ্গে আমার নতুন পথচলার শুরু। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। প্রসঙ্গত, তামিম মৃধা অভিনয়ের পাশাপাশি টেক্সটাইল কোম্পানিতেও চাকরি করেছেন। এ ছাড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তার গান প্রকাশ পেয়েছে। বেশ কিছু নাটকেও অভিনয় করতে দেখা গেছে এ অভিনেতাকে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৭

হজ করার ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে গেল এ টি এম শামসুজ্জামানের
বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) । ২০২১ সালের এই দিনে ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত হোন তিনি। সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন খুবই ধার্মিক। ১১ বার হজ করেছেন এটি এম শামসুজ্জামান। তবে আরেকবার হজে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল জনপ্রিয় এই অভিনেতার। প্রয়াত হওয়ার  মাস খানেক আগে সমকালের সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছিলেন, মক্কা ও মদিনার প্রেমে পাগল তিনি। সুস্থ থাকলে আরেকবার হজে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি তার। চিরবিদায় জানিয়েছেন পৃথিবীকে। এটিএম শামসুজ্জামান বলেছিলেন, ১১ বার হজ করেছি। আরো অন্তত একবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাহল ১২ বার হজ হবে। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। অভিনয়ের জন্য একাধিকবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক। এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন পুরান ঢাকার দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। তাঁর বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। মা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে এ টি এম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্রজীবনের শুরু ১৯৬১ সালে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। ওই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন এ টি এম শামসুজ্জামান।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

অভিনেতা ঋতুরাজ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতুরাজ সিং। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৯।  ঋতুরাজের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন অভিনেতার বন্ধু অমিত বহল। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ঋতুরাজ ভালো ছিল না। কয়েক দিন আগেই অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে সে।  কিন্তু গতকাল হঠাৎ ঋতুরাজের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ফের তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই হার্ট অ্যাটাক হয় তার।  ১৯৬৪ সালের ২৩ মে রাজস্থানের কোটায় সিসোদিয়া রাজপুত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ঋতুরাজ। খুব ছোটবেলায় পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে পাড়ি জমান এই অভিনেতা। এরপর সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখান থেকে ১২ বছর বয়সে আবারও ভারতে ফিরে আসেন তিনি।     ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আসা বিশিষ্ট নাট্যকার ব্যারি জনের নাট্য শিক্ষার সংস্থা থিয়েটার অ্যাকশন গ্রুপ বা ‘ট্যাগ’-এ অভিনয় শিক্ষা শুরু করেন ঋতুরাজ। স্টার প্লাসের ‘অনুপমা’, ‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহেলাতা হ্যায়’, ‘দিয়া অউর বাতি হাম’, ‘বানেগি আপনি বাত’, ‘শপথ’, ‘আহাত’, ‘লাডু’সহ সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন ঋতুরাজ। একসময় মঞ্চে কাজ করেছেন। পরে নাম লেখান টিভি ধারাবাহিকে। এছাড়া ‘বান্দিশ ব্যান্ডিট’, ‘মেড ইন হেভেন’র মতো ওয়েব সিরিজ এবং ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’, ‘সত্যমেব জয়তে টু’ এবং ‘ইয়ারিয়ান ২’র মতো সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন ঋতুরাজ। বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিনেমাপাড়ায়।   সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়