• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
গুলি-মর্টার শেলের শব্দে টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
গুলি-মর্টার শেলের শব্দে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং সীমান্তের মানুষের মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) মধ্যরাত থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে রাতভর গোলাগুলি চলেছে। ফলে এ পাড়ের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান, টানা কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংস ঘটনায়  মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। জানা গেছে, টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং,  চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, ফুলের ডেইল এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যায়। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের ওপারের মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে সংঘর্ষ চলছে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ১২টার পর থেকে উনছিপ্রাং সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ হয়। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হলেও মনে হচ্ছে এগুলো আমাদের ঘরে পড়ছে। রাত থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়। হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে টহল বৃদ্ধি করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩১

একটি পোস্টার ঘিরে ময়মনসিংহে আতঙ্ক
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এতদিন মাঠ গরম করে রেখেছেন প্রার্থীরা। শনিবার (৯ মার্চ) ভোটের মাধ্যমে মাঠের এ লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে। এরই মাঝে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে বেনামে সাঁটানো পোস্টার নিয়ে এক নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।  নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন আগে এমন পোস্টার কে বা কারা টানালো তা নিয়ে নগরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকলে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের আঁকা এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে পোস্টারটির আদলে ময়মনসিংহ নগরীতে সাঁটানো হয়েছে পোস্টারটি।  তবে পোস্টারে একটি নতুন কথা যুক্ত করা হয়েছে, ‘এই রক্তখেকো জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’।  কাকে উদ্দেশ্য করে কারা এ পোস্টার সাঁটিয়েছে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে। পোস্টার দেখে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সাঁটানো হয়েছে এই পোস্টার। তবে এ ধরনের লেখা সম্বলিত পোস্টার দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। পুলিশ বলছে, যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, কারা কী উদ্দেশ্যে এসব পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪১

মিয়ানমারে রাতভর গোলার শব্দ, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তে থেমে থেমে রাতভর গোলার শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।  শনিবার (২ মার্চ) রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  সীমান্তের লোকজন জানায়, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিদের সঙ্গে চলছে সংঘর্ষ। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং,কাঞ্জর পাড়া, হ্নীলা মোলভী পাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরী পাড়া, জালিয়া পাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমার কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা এই গ্রামগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছেন। টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফনদ দিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা থেকে আমরা (কোস্ট গার্ড) নাফনদে টহল জোরদার রেখেছি। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা ইতিমধ্যে দুইশতাধিকের বেশি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১

রাখাইনে মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে সীমান্তে ফের মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। ফলে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদ সীমান্তের লোকজন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে ভারী মর্টার শেলের শব্দ পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭টার পর থেকে ফের মিয়ানমারের ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ওপার থেকে কয়েকটি গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকালেও ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যায় বলে জানান শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা। টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওর্য়াডের সদস্য আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেলেও সকালে শব্দ কিছুটা কমেছে। এদিকে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৯ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নাফ নদ শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থেকে নাফ নদে টহল জোরদার রেখেছি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

মিয়ানমারে আবার গোলাগুলি, বিকট শব্দে শাহপরীর দ্বীপে আতঙ্ক
টেকনাফের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।    শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেল পাঁচটার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার পূর্ব পাশে মিয়ানমার থেকে তিনটি মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসে।      হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্তে জুমার নামাজের আগপর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ সময় সীমান্তের কাছাকাছি চিংড়ির খামারে থাকা বাংলাদেশি লোকজন ভয়ে পালিয়ে এসেছেন। হোয়াইক্যংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, খারাংখালী সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি আমাকে জানান। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তাদের নিকটবর্তী নাফ নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের মংড়ু শহরের নলবন্ন্যা গ্রামে পরপর তিনটি মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়।  সীমান্তবর্তী সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, বিকট শব্দে শাহপরীর দ্বীপও কেঁপে উঠলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।  
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

ফের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার হোয়াইক্যংয়ে খারাংখালী সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম। তিনি জানান, সীমান্তের খারাংখালী এলাকার ৪ নম্বর বেড়িবাঁধের ওপার থেকে ব্যাপক ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আতঙ্কে সীমান্তের কাছে চিংড়ি প্রজেক্টের লোকজন নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছে। তিনি আরও জানান, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। সীমান্তের চিংড়ি প্রজেক্টের পাহারাদার দলিল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, হঠাৎ করে সীমান্তের ওপার থেকে বিকট গোলার শব্দ পাওয়া যায়। গোলার শব্দে চিংড়ির ঘের কেঁপে ওঠে। মনে হচ্ছিল গোলা এপারে এসে পড়েছে। ভয়ে চিংড়ির ঘের ছেড়ে নিরাপদে চলে এসেছি। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী গণমাধ্যমকে জানান, খারাংখালী সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্য চলমান সংঘাত বন্ধ না হওয়ায় অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় নাফ নদে টহল অব্যাহত রেখেছেন বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। কোস্ট গার্ড চট্রগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ওপারের চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে নাফ নদ ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সম্ভবনা থাকায় টহল জোরদার রেখেছি। ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ শতাধিক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশকালে প্রতিহত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৫

কুড়িগ্রামে আগুন আতঙ্কে গ্রামবাসী 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার একটি গ্রামে হঠাৎ করে বেড়েছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গেল দেড় মাসে গ্রামটিতে ১০-১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আগুন আতঙ্কে রাত পার করছে গ্রামটির মানুষ। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর দাবি গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ শোনার পরেই ঘটছে আগুন লাগার ঘটনা।  আগুন লাগার আগে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ ছাড়া আর কিছুই মিলছে না আলামত হিসেবে। এমন আগুন লাগার ঘটনায় রাতে গ্রামের লোকজন পথহারা দিলেও মিলছে না সুরাহা। ফায়ার সার্ভিস কয়েক-দফা আগুন নিভালেও আগুন লাগার উৎস খুঁজে পাচ্ছে না। গ্রামের কেউ কেউ জিন-ভূতের কারবার বলে গালগল্প ছড়ালেও প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের দাবি গ্রামবাসীর।  এসব আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাঘডাঙ্গা গ্রামে। সর্বশেষ ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে আগুন লাগে আব্দুর রহিমের বাড়ির রান্নাঘরের চালে। এর আগে ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি একই ঘরের চালে আগুন লাগে। রহিম মিয়ার দাবি হঠাৎ গভীর রাতে মোটরসাইকেল যাওয়ার শব্দ পাওয়া যায় তার পরেই এরকম আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তার রান্না ঘরে এক সপ্তাহের মধ্যে ৩ বার আগুন লাগে। একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক। গেল ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে তার বাড়িতে খড়ের গাদায় আগুন লেগে পুড়ে যায়। গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।   এছাড়া গতমাস জুড়ে একই গ্রামের ইউসুফ আলী, ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আলী, মজিদ মিয়াসহ দেড় মাসে প্রায় ১০-১২টি খড়ের গাদায় আগুন লাগে। ফলে আগুন আতঙ্কে রাত-দিন পাড় করতে হচ্ছে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির মানুষকে। কে বা কারা আগুন দিচ্ছে রাত জেগে পাহারা দিয়েও তাদের ধরতে পারছেন গ্রামবাসী। রহস্য উৎঘাটন হচ্ছে না মোটরসাইকেল যাওয়া শব্দের। গ্রামবাসীর অনেকে ধরেই নিয়েছে এগুলো জ্বীন-ভূতের কাজ। গ্রামের সচেতন মানুষের দাবি গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে এমন আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে এদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিবেশী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও আগুন লাগার উৎস থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। রহস্য ঘেরা এসব আগুনের ঘটনা ঠেকাতে রাত জেগে গ্রামের মানুষ পাহারা দিলেও প্রতিকার মিলছে না। ফলে আগুন আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামের মানুষের।  আব্দুর রহিম বলেন, প্রায় দেড় মাসে আমাদের এখানে ১০-১২টি বাড়ি আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। আমরা এখন গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজন রাত জেগে পাহারা দিয়েও কাউকে ধরতে পারছি না। গহুরন বেগম বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় খড়ের গাদায় রাত ৩-৪টার দিকে আগুন লাগে। বাড়ির লোকজন, গ্রামবাসী এবং ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভেয়েছে। এখন আমরা পরিবার নিয়ে প্রতি রাত দুশ্চিন্তা আর ভয়ে কাটাচ্ছি।  নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামের কোন পরিবারের সাথে কারও কোনো বিবাদ নেই। গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেলের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর কিছুক্ষণ পরেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটতেছে। গ্রামের প্রতিটি মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।  মজিদ মিয়া বলেন, গ্রামের শান্তি ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নষ্ট করতে কে বা কারা আতঙ্ক ছড়ানো উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।  নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিলি ডিফেন্স স্টেশনের অফিসার ইমন মিয়া বলেন, বেশির ভাগ আগুন লাগার ঘটনায় আগুনের উৎস পাওয়া গেলেও গভীর রাতে খড়ের গাদায় আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। জানুয়ারি হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫টি অগ্নিসংযোগের ঘটনার মধ্যে ২৪টি বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা খড়ের গাদায় লেগেছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৯

ভারী অস্ত্র লুট, ক্যাম্পে আতঙ্ক
মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলিতে টিকে থাকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ভারী অস্ত্র কেড়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সীমান্তের ওপারে গিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবা লুটের অভিযোগও উঠেছে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে।  সম্প্রতি ভারী অস্ত্র হাতে তাদের কয়েকজনের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রসহ পালিয়ে আসার সময় ২৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। আরও কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একে-৪৭ রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, প্রচুর গুলি লুট করেন স্থানীয় রোহিঙ্গারা। পরে দুটি একে-৪৭ রাইফেল বিজিবির কাছে তুলে দেওয়া হলেও বাকি অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা অপরাধীদের কাছে রয়ে গেছে। সূত্রের বরাতে জানা যায়, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর থেকে হেলাল পালংখালী ইউনিয়নের পুঠিবনিয়া ও সফিউল্লাহ কাটা এলাকায় রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন গ্রুপের সহযোগী হিসেবেও কাজ করছেন। পালিয়ে আসা নবী হোসেন গ্রুপের সদস্যদের নিরাপদে ক্যাম্পে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছেন হেলাল।  এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আমার কাছেও অস্ত্র লুটের খবর এসেছে। সেদিন ২৩ জনকে আটক করা হলেও অনেকে বিভিন্নভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য না পেলে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। অস্ত্র মজুতের তথ্য সঠিক হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কিছু রোহিঙ্গার কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ অস্ত্র বা গুলি জমা রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো ব্যক্তির কাছে যদি একটি গুলির খোসাও পাওয়া যায় তারপরও ছাড় দেওয়া হবে না।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৮

মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ল সিএনজিতে, সীমান্তে আতঙ্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম-তুমর্রু সীমান্তে এবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে সিএনজির উপর। এতে সিএনজির গ্লাস ভেঙে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তুমর্রু এলাকার উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সিএনজিচালক মো. আবু তাহের জানান, বিকেলে তুমর্রু উত্তর পাড়ায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সেই সময় সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়। কিছু বোঝার আগে সিএনজিতে একটি গুলি এসে পড়ে। তবে বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও গুলি লেগে সিএনজির সামনের লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়। ঘুমধুম ইউনিয়নপরিষদ ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্রো সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে দিকে আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা য়ায়। বিকেলে এক সিএনজি ড্রাইভার আবু তাহেরের গাড়িতে গুলি এসে পড়ে। এতে সিএনজির সামনের গ্লাস ফেটে গেছে, তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান, বিকেলে সীমান্তের তুমর্রু এলাকায় গুলির আওয়াজ শোনা গেছে। তবে সিএনজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না নিশ্চিত নয়। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩

তুমব্রু সীমান্তে নেই গোলাগুলির শব্দ, তবুও জনমনে আতঙ্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে আজ কোনো মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ না শোনা গেলেও স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে এক অজানা আতঙ্ক। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত তুমব্রু সীমান্তে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।  তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয়রা অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকার তুমব্রু সীমান্ত নদীর পূর্ব পার থেকে কিছুটা দূরে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ঢেঁকুবুনিয়া সীমান্তচৌকি অবস্থিত। ওই সীমান্তচৌকি এলাকায় গতকাল রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত টানা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় সীমান্তসংলগ্ন তুমব্রু, কোণারপাড়া এলাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। আজ সকাল থেকে কোনো গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি, তবে মানুষের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও তুমব্রু সীমান্তে গত বছর থেকে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, হালকা ও ভারি অস্ত্র বিস্ফোরণের শব্দে কম্পিত হচ্ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, বাইশফারি, ফাত্রাঝিরি, রেজু আমতলি, গর্জবনিয়াসহ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফাটল ধরেছে মাটি দিয়ে তৈরি অনেক ঘরের দেয়াল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। ৩১ জানুয়ারি বুধবার সেই সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে আসেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন   পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছে। আজ বিকেল পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তের কোথাও তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়নি। সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়