• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গরমে আরাম দেবে আম পান্না
প্রচণ্ড গরমে সারাদিন রোদে ঘুরে ঠান্ডা কোনও পানীয় খেতে আমাদের সকলেরই ইচ্ছে করে। শুধু গরমকাল কেন, যেকোনও সময়েই বাইরে থেকে ঘুরে এসে আমরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও পানীয় খেয়ে থাকি। আর যারা বাহিরে ঘোরাঘুরি করেন, তাদের সব সময় সঙ্গে পানীয় রাখা প্রয়োজন। এ সময় শরীরে পানির অভাব হতে পারে। সেই কারণে সব সময় প্রস্তুত থাকা দরকার।   চিকিৎসকরা বলেন, দোকান থেকে কেনা ঠান্ডা কোমল পানীয় এই সময় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বরং কিছু প্রাকৃতিক পানীয় পান করা যেতে পারে। আর এখন যেহেতু গরমকাল, তাহলে কেন অন্য কোনও পাণীয় খাবেন? যখন আপনার হাতের কাছে রয়েছে কাঁচা আম। বাজারে পুরো দমে এখন আম পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা পাকা দুপ্রকারের আমই পাওয়া যাচ্ছে। এবার সেই কাঁচা আম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন আম পান্না। গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে, সঙ্গে রসনারও তৃপ্তি মেটাতে এর জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও এ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় শুধু স্বস্তিই পাওয়া যাবে তাই নয়, বরং স্বাস্থ্যেরও উন্নতিও হতে পারে। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধেও এটি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। জেনে নিন এই উপকারী পানীয় তৈরির রেসিপি। উপকরণ-  কাঁচা আম ২টি, গোলমরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ প্রয়োজন মতো, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, গুড় ২ টেবিল চামচ, পানি ৪ কাপ, বরফ প্রয়োজন মতো। প্রণালি- মৃদু আঁচে আম পুড়িয়ে নিন। আমের খোসা কালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করুন। যখন আম পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন আম খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার আম টুকরা করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারে নিয়ে জিরা গুঁড়া, বিট লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিন। গুড় যোগ করুন। ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হলে দুই টেবিল চামচ পাল্প নিয়ে বরফের কিউব দিন। ঠান্ডা পানি যোগ করুন। জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩১

ছাগলে আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়ার জেরে রাজশাহীতে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন (৪২) ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।     জানা গেছে, ঘুন্টিঘর এলাকার সাদেকুল ইসলামের একটি ছাগল মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন সাদেকুলকে ডেকে ছাগল ছাড়তে বারণ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মসজিদ কমিটির সভাপতি নেজাম উদ্দীন মেম্বারের পক্ষের লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এত রুহুল আমিনকে নামের এক ব্যক্তি নিহতসহ আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। রুহুল আমিন ও নাজিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক রুহুলকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় রাতেই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় সাদেকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও জামাল উদ্দিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

আম বাগানে পড়ে ছিল নারীর গলাকাটা লাশ
গাজীপুরের মেম্বারবাড়ী (পাঁচপীর মাজার) সংলগ্ন আম বাগান থেকে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আনুমানিক ৩৭ বছর বয়সের ওই নারীর পরিচয় পাওয়া যায় নি।  শনিবার (৬ এপ্রিল) সদর উপজেলার পাচপীর মাজার এলাকার ওই বাগান থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল জানান, শনিবার সকালে সদর উপজেলার পাঁচপীর মাজার সংলগ্ন আম ও কাঁঠাল বাগানে অজ্ঞাত এক নারীর গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার পরনে হলুদের মধ্যে সবুজ রংয়ের প্রিন্টের ম্যাক্সি ও সবুজ রংয়ের ছায়া রয়েছে। লাশের পাশ থেকে একটি রক্তমাখা চাকু, কালো রংয়ের একটি বোরকা, বাদামী রংয়ের ভ্যানিটি ব্যাগ ও একজোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।  ওসি ইব্রাহিম খলিল আরও জানান, নিহতের গলায় দু’টি গভীর ক্ষত এবং গোপনাঙ্গে রুমাল ঢুকানো রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শনিবার সকালের আগে যেকোনো সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে কি কারণে কারা তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের নাম পরিচয় সনাক্তের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৩

আম বয়ান দিয়েছেন সাদের ছোট ছেলে, জুমা পড়াবেন বড় ছেলে
এবারের ইজতেমার আনুষ্ঠানিক শুরুতে আম বয়ান দিয়েছেন ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভি। শুক্রবার বাদ ফজর তিনি বয়ান শুরু করেন। এ বয়ানের বাংলা তরজমা করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। এদিকে মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি তুরাগতীরে বৃহৎ জুমার জামাতের ইমামতি করবেন। এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভি না এলেও এসেছেন তার তিন ছেলে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম। তিনি বলেন, গত বুধবার নিজামউদ্দিন মারকাজের ১৪ জনের একটি দল নিয়ে মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ সাদ, মেজ ছেলে মাওলানা সাঈদ সাদ এবং ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস সাদ ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান। আশা করা হচ্ছে শুক্রবারের জুমার জামাতে ময়দান ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ছয় লাখ লোক সমবেত হবেন। সকালে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভির পর ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু বয়ান করেছেন। পরে জুমার ফাজায়েলের ওপর বয়ান করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বাদ জুমা বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি)। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ মনসুর। বাদ আসর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভি ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। এসব বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম। ইজতেমার মুসল্লির যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। ২. অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনসমূহ কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ৩. ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। ৪. ৩০০ ফিট দিয়ে আগত যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। ৫. ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ৬. উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন। ৭. ঢাকা মহানগর থেকে যে সকল মুসল্লি হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন। ৮. বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা প্রদান করা হবে। ৯. নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীগণ ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে। গাড়ি পার্কিংসংক্রান্ত তথ্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ। সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ। রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : ১০নং ব্রিজ, ১১নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬নং সেক্টরের ভিতরে ও বউবাজার মাঠ। বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন। ঢাকা মহানগরী পার্কিং : ৩০০ ফিট রাস্তা-সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা। পার্কিং করা যাবে না খিলক্ষেত হতে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে। ডাইভারশনসংক্রান্ত তথ্য আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা হতে ডাইভারশন স্থান– ধউর ব্রিজ, ১৮নং সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নং সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব ও মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে মুসল্লিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আগামী রোববার সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার শেষ পর্ব।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৬

আম বয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব 
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ আম বয়ান করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলা তরজমা করে মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। সকাল ১০টায় ভারতের মাওলানা ইলিয়াস তালিমের মৌজু, জুমার আগে জুমার ফাজায়েলের ওপর ১০ মিনিট বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। জুমার পরে বয়ান করবেন শেখ মোফলে (আরবি), তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ্ মনসুর, আসরের পর বয়ান করবেন মাওলানা মোশাররফ, মাগরিবের পর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ, তাৎক্ষণিক ভাবে তা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার এবারের দ্বিতীয় পর্বে ১২ থেকে ১৪ হাজার বিদেশি মেহমান যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজারের বেশি বিদেশি মেহমান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের মতো একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এ পর্বেও বলবৎ রয়েছে। 
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৬

আম বয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমা, লাখো মুসল্লির ঢল 
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকা।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা। আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা সাহেবের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিব উল্ল্যাহ্ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাওলানা আহমদ বাটলা সাহেবের বয়ানের পর সকাল ১০টায় তালিম করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক সাহেব। তার তালিমের পরই দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজের প্রস্তুতি শুরু করা হবে। জুমার নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের সাহেব। বাদ জুমা বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা খতিব সাহেব, বাদ আছর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের সাহেব ও বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা আহমদ লাট সাহেব বয়ান করবেন। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র‌্যাব, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।  
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

শুক্রবার আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ইজ‌তেমার প্রথম পর্ব
শুক্রবার থে‌কে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হচ্ছে ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিন ফজর নামা‌জের পর থে‌কে আনুষ্ঠা‌নিকভা‌বে শুরু হ‌বে ইজ‌তেমা। মাওলানা আহ‌ম্মেদ বাটলার বয়ান শুরু করবেন। জুমার নামাজ পড়া‌বেন মাওলানা যোবা‌য়ের। তিনি আছরের পর বয়ান করবেন। তবে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হয়ে‌ছে আঞ্চলিক বয়ান। আয়োজকদের পক্ষে জহির ইব‌নে মুস‌লিম জানান, আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা বয়ান করবেন। সকালের বয়ান শেষে ১০টায় তা‌লিম কর‌বেন মাওলানা জিয়াউল হক, জুমার নামাজের পর বয়ান কর‌বেন জর্ডা‌নের খ‌তিব ওমর ও মাগ‌রিবের পর মাওলানা আহ‌ম্মেদ লাট বয়ান কর‌বেন। তুরাগ তীরে বিদেশ থেকে আগতদের জন্য রয়েছে আলাদা থাকার ব্যবস্থা। বিদেশি ছাউনির পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে মূল বয়ান মঞ্চ। এ মঞ্চ থেকেই উর্দুতে বয়ান করা হবে এবং এখান থেকেই বয়ানের বাংলা অনুবাদ করা হবে। তবে অন্যান্য ভাষাভাষীদের জন্য বয়ানের অনুবাদ করা হবে তাদের জন্য নির্ধারিত ছাউনিতে। প্রত্যেক ছাউনিতে মূল বয়ান অনুবাদ করার জন্য একজন করে দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা হয় ইজতেমায়। বিদেশি খিত্তায় দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা জানান, তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ এ আয়োজনে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩৬ দেশের ৭৫৯ জন বিদেশি অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। ৩৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে- ভারত পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্ডান ও যুক্তরাজ্য। ইজতেমায় অংশ নিতে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) থেকেই বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের যানবাহনগুলো ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠে পার্কিং করতে হবে। সিলেট ও খুলনা বিভাগ থেকে আসা যানবাহনগুলো পার্কিং করতে হবে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠে। এ ছাড়া রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারিত হয়েছে ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পাশে, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভেতরে ও বউবাজার মাঠ। বরিশাল বিভাগ থেকে আসা গাড়িগুলো রাখতে হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং-সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশনে। এবং ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গায় পার্কিং করা হবে ঢাকা মহানগরীর গাড়িগুলো। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহন নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে পার্কিং করতে বলেছে ডিএমপি। এ ছাড়া খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে পার্কিং করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনায়। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষ নির্দেশনা আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। একইভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যানবাহনগুলো কামারপাড়া ও আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ কেচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে। আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহন সমূহ কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবেন। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না। আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা ও এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ হতে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক ও হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং চালক ও যাত্রীরা একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে। ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ পর্ব। পরবর্তী চারদিনের বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়া‌রি মোনাজা‌তের মাধ‌্যমে শেষ হ‌বে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়