• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দায়িত্ব নিয়েই যে চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই সাকিব-মিরাজদের দায়িত্ব নিতে ঢাকায় পা রেখে দায়িত্ব নিয়েছেন এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি। আর দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশের স্পিন বোলিংয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন মুশতাক। এদিন তার হাতে বাংলাদেশের অনুশীলন কিট তুলে দেন ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস। ড্রেসিংরুমে প্রথমদিনই পেয়ে যান তাইজুল ইসলামকে। নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হকদের সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন। কাজে যোগ দিয়েই স্পিনারদের উন্নতি আর ব্যবধান তৈরি করার চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে কোচ হিসেবে আমি এখানে এসেছি ব্যবধান গড়ে দিতে। এতদিনের অভিজ্ঞতা ও ক্রিকেট জ্ঞান শেয়ার করতে চাই ক্রিকেটারদের সঙ্গে।  টাইগার স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, শুধু জাতীয় দল নয়, লেগ স্পিনার তুলে আনতেও ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান লেগ স্পিনারের।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অংশ হতে পারা আমার জন্য বিরাট সম্মানের। যতটুকু মনে করতে পারি ৯২’র বিশ্বকাপ জয়ের পর ৯৩ বা ৯৪ সালে খেলতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ ভ্রমণ সবসময় উপভোগ করি। লোকজন অতিথিপরায়ণ, পাকিস্তান ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের অনেক সমর্থক আছে এখানে।  মুশতাক আহমেদ বলেন, কেন নয়, এশিয়ায় লেগ স্পিনার, রহস্য স্পিনার, চায়নাম্যান সব বৈচিত্র্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে লোকাল কোচদের ভূমিকা বেশি। আমি চেষ্টা করব রহস্য স্পিনার তুলে আনার কাজ করতে। সাদা বলে এখন রিস্ট স্পিনাররা খুব গুরুত্বপূর্ণ।   
১ ঘণ্টা আগে

টাইগ্রেসদের সামনে সিরিজ রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জ
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টিতেও এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি টাইগ্রেসদের জন্য সিরিজ রক্ষার। এই ম্যাচে জিততে না পারলে আরও একটি সিরিজ হাত ছাড়া হবে স্বাগতিকদের। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল। মিরপুরে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দুপুর ১২টায়। প্রথম ম্যাচে অজিদের কাছে দশ উইকেট হেরেছিল টাইগ্রেসরা। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১২৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিলেন জ্যোতি-মারুফারা। জবাবে সফরকারীরা কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।   ১২৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই অজি ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও বেথ মুনি। এরপর মাত্র ৩৪ বলেই ব্যক্তিগত ৫০ রান পূর্ণ করেন হিলি। অন্যপ্রান্তে ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন আরেক ওপেনার মুনি। এই দুই ওপেনারের জোড়া অর্ধশতকে ১০ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে অজিরা। এর আগে, ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিলারা। এরপর ব্যাট করতে নেমে ফেরেন সুবহানা মোস্তারিও। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খোলা হয়নি টপ-অর্ডার এই ব্যাটারের। দলীয় ২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে মুর্শিদা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন জ্যোতি। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন টাইগ্রেস দলপতি। ৫৭ বলে দেখা পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জ্যোতি। এ ছাড়া ২৭ বলে ২০ রান করেন মুর্শিদা। শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২১ বলে ২৭ রান করেন ফাহিমা খাতুন। এতে অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের পুঁজি পায় টাইগ্রেসরা।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৬

যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে : সেনাপ্রধান
আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্মি মেডিকেল কোর ও ডেন্টাল কোর আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিসের সদস্যদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের শহিদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের ৫ম কোর পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় আর্মি মেডিকেল কোর ও ডেন্টাল কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় এসব কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন সেনা প্রধান। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  পরে সেনাপ্রধান আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে ‘বিজয় চেতনা’য় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং আর্মি মেডিকেল কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৫

‘ডেড বডি’র নির্মাতার ওপেন চ্যালেঞ্জ
সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন ঈদে মুক্তি পাবে মোহাম্মদ ইকবাল নির্মিত সিনেমা ‘ডেড বডি’। তার আগেই সিনেমাটি নিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসলেন তিনি। নির্মাতা বলেন, ‘ডেড বডি’ দেখে কেউ যদি বলে নির্মাণ ভালো হয়নি, তাহলে আর কখনও সিনেমা নির্মাণ করবেন না। বুধবার (৬ মার্চ) এফডিসিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন প্রভাবশালী ইকবাল।  ইকবাল বলেন, ‘ডেড বডি’ দেখার পর যদি কেউ বলতে পারেন এর নির্মাণ খারাপ, তাহলে জীবনে আর সিনেমা নির্মাণ করব না। এফডিসিতে দাঁড়িয়ে কথা দিয়ে গেলাম। আমি অন্যদের মতো না। কথা দিলে তা রাখি। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের ভৌতিক গল্পের ছবি নির্মাণ করতে পারে, ‘ডেড বডি’ হবে তার বড় প্রমাণ। সবার প্রতি অনুরোধ, সিনেমাটি  দেখার পর ভালো-মন্দ মন্তব্য করবেন।   তিনি বলেন, আমার ‘কিল হিম’  সিনেমা দেখে একজনকেও নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুনিনি। সিনেমাটি খারাপ হয়েছে ফেসবুক-ইউটিউবে এমন কোনো ক্লিপ দেখাতে পারলে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার দেব।  দর্শকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই প্রযোজক বলেন, আমি চাই ঈদের প্রতিটা সিনেমাই আপনারা দেখেন। তবে অন্য সিনেমার টিকিট না পেলেও আশা করি আমার ‘ডেড বডি’ সিনেমাটি দেখবেন। আমার বিশ্বাস, দর্শক দ্বিতীয়বার হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবে। আজকের কথাগুলো ভবিষ্যতে আপনারা মিলিয়ে নিয়েন। তাছাড়া আমি নিজেকে জাহির করতে পছন্দ করি না। কাউকে কিছু দেখিয়ে নিজেকে বুঝাইতে হবে আমি এমন মানুষ নই।  প্রসঙ্গত, ‘ডেড বডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন— ওমর সানী, জিয়াউল রোশান, মিশা সওদাগর, শ্যামল মাওলা, রাশেদ মামুন অপু, মিষ্টি জাহান ও কলকাতার অন্বেষা রায়সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
০৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইমরানের পিটিআই
নির্বাচনের এতদিন পরও পাকিস্তানে কোনো দল সরকার গঠন করতে পারেনি। এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।   শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে পিটিআই। পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে। সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেওয়ার তথ্যটি শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। তিনি আরও জানিয়েছেন, পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেন আলী খান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। বুধবার  সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। তবে সেদিন আবেদনকারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় সেই পিটিশন বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আলী খানকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন সর্বোচ্চ আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন। অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন এবং পিপিপি; সিদ্ধান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৬

‘সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই’
সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশ সফররত জার্মানীর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক রিচার্ড বাইল, মাইকেল স্ট্যাং, সুসান ক্রুটজম্যান, আলজোসা হার্টম্যান, জুলিয়া থেরাস হেল্ড, নাটালি মেরোথ, বেঞ্জামিন বার্ন্ড থমাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর জবাব প্রদান সংক্রান্ত জার্মান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমি আরএসএফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত  প্রতিবেদন ও র‌্যাংকিং এর ব্যাপারে সমালোচনা নয় বরং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছি। কারণ ২০২৪ সালেও এটি তাদের ওয়েবসাইটে আছে। আরএসএফ এর প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে এবং এর বিপরীতে প্রকৃত সত্য আমি তথ্য-প্রমাণসহ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছি এবং এ সংক্রান্ত একটা চিঠি আরএসএফ-কে পাঠিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য আরএসএফ এর কাছে সত্য তুলে ধরা এবং আমাদের নিয়ে করা র‌্যাংকিং পুনর্মূল্যায়ন করা। এ সময় তিনি আরও বলেন, মাঝে মাছে কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ উদ্দেশ্যে সরকারের কাজের সমালোচনা করে। বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনা স্বাগত জানায়। আমরা শুধু অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। গণমাধ্যম সঠিক তথ্য-প্রমাণসহ সরকারের সমালোচনা করলে সেটি সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্ত ভুল তথ্য দিয়ে কোনকিছুর সমালোচনা করলে সেটা কাউকে সহযোগিতা করে না। সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তিনি আরও যোগ করেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এর অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় সরকার এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সৌন্দর্য। তাঁর সরকার সবসময় চাহিদার নিরিখে সবকিছুর সমন্বয় করে, পরিবর্তন করে।    বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্বের জবাবে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ ডেল্টাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে আসছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহযোগিতা ও বাস্তবসম্মত সমাধানে আসা প্রয়োজন। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, রোহাঙ্গিদের প্রতি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরণের চাপের কারণ। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাক। গোটা বিশ্বের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে দায়িত্ব রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে উন্নত রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা নেয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখা। তাছাড়া যেসব দেশের সামর্থ্য আছে তারা নিজ নিজ দেশে নিয়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনে সহযোগিতা দিতে পারে।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

নিরাপদ খাদ্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ (ভিডিও)
উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল রোধে দরকার দৃশ্যমান শাস্তি; বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, জনসাধারণের অসচেতনতাসহ রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এ অবস্থায় দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস।  ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি, জীবনধারনের জন্য খাদ্যের গুরুত্ব যে কত তা অনুধাবন করতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার এই লাইনগুলোই যথেষ্ট। একাবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে ক্ষুধা-দারিদ্রতা কমে এলেও এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ খাদ্য। দেশে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যের বিক্রি বন্ধে নানা সময়ে বিভিন্ন সংস্থা অভিযান, জেল-জরিমানা করলেও বাজারে তার তেমন কোন প্রভাব নেই। রাজধানীতে বিশুদ্ধ খাবার খুঁজে পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব’র সভাপতি গোলাম রহমানের মতে, ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতে নিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য যদি না হয় তাহলে খাদ্যই অসুস্থতার কারণ হতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আইনকে আরও শক্ত করা প্রয়োজন, কিন্তু শক্ত করে যদি বাস্তবায়ন না হয় তা থেকে কোনো সুফল আসবে না। ভেজাল নকল করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, এর চেয়ে তো বড় অপরাধ কিছু হতে পারে না। সেই অপরাধের শাস্তিটা দৃশ্যমান হওয়া দরকার এবং দ্রুত হওয়া দরকার।    নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলছেন, দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা, এগুলো মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এখানে প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। নতুন একটা প্যারামিটার যখন পরীক্ষা করতে যাই, তখন অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় এ প্যারামিটার পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। আইনের সঠিক প্রয়োগের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তখন আশা করি আমরা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো। পাশাপাশি সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবো। বলা হয়ে থাকে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে সারাবিশ্বে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। দেশে এখনই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না করা গেলে আগামী প্রজন্মকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৫

ভবিষ্যতে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত দেড় দশকে অব্যাহত গণতন্ত্র থাকায় দেশ উন্নতি ও অগ্রগতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ভবিষ্যতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু। রাষ্ট্রপতি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ  নেওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে। এজন্য আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে, উচ্চ-মূল্য ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান করতে হবে যাতে দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি সম্ভব হয়। আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের ফলাফলে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে মাত্র ১১টি আসনে। এ ছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে ১টি করে আসন। ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। আসনটিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর টানা চতুর্থ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি সংসদ নেতাও নির্বাচিত হন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

বইমেলাকে কেন্দ্র করে চ্যালেঞ্জ জঙ্গিবাদ-অগ্নিকাণ্ড : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ, চুরি-ছিনতাই, অগ্নিকাণ্ড এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। এছাড়া নতুন আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেট্রোরেল। কারণ, আমরা দেখেছি নাশকতাকারীরা মেট্রোরেলেও নাশকতা করার চেষ্টা করেছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রতি বছরই অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে অমর একুশে বইমেলা। এই বইমেলাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। সিসিটিভি দিয়ে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার। থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানসমূহ সুইপিং করা, সাদা পোশাকে বিশেষ টিম মোতায়েন, বিলবোর্ড, ব্যানার ও মাইকিং করে দিকনির্দেশনা প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং, মেলাপ্রাঙ্গণ ড্রোন দ্বারা মনিটরিং করা হবে এবং সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই থাকবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মিজানুর রহমান, বাংলা একাডেমির পরিচালন (প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) কেএম মুজাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন ও সহসভাপতি শ্যামল পাল, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ উদ্বোধন করবেন। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৯

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি ফেরানো সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে সরকার গঠন করা হয়েছে এক সপ্তাহ আগে। এ সময়ে মানুষের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে স্বস্তি ফেরানোটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, অভ্যন্তরীণ সংকট কাটাতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে অস্থিরতা থাকলে বাইরের সংকট কাটবে না। আর বাইরের সংকট না কাটলে ডলার সংকট কাটবে না। ডলার সংকট না কাটলে দেশি, বিদেশি কেউ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না। বিনিয়োগ না হলে অর্থনৈতিক সংকট থেকে যাবে। ফলে আমাদের নিজেদের আগে ঠিক হতে হবে। সরকারের উচিত হবে এই ধরনের অস্থিরতা নিরসনে মনোযোগ দেওয়া। নির্বাচনের পর ভারত, চীন ও রাশিয়া সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি দাবি করে বিবৃতি দিলেও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের কথা বলেছেন। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতও একই ধরনের আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর ফলে কূটনৈতিক সংকট কিছুটা হলেও কমে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্কন্নোয়নের চেষ্টা করতে হবে বলে মনে করেন তারা। অর্থনৈতিক সংকটকে এত বড় করে দেখার কারণ জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গত দুই বছর ধরে আমাদের অর্থনীতিটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। মূল্যস্ফীতি কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। ডলার সংকট কিছুতেই কাটছে না। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সবখানেই এর প্রভাব পড়ছে। আর অর্থনীতি ভালো না থাকলে কোনো কিছুই ভালো থাকবে না। এইসব কারণে অর্থনীতিকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে দেশের মানুষের অসন্তুষ্টি অনেক দিনের। যত দিন যাচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান সাধারণ মানুষ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন। আসন্ন রোজায় তিনি এর প্রভাব দেখতে চেয়েছেন। নির্বাচনের পরপরই চালের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় বড় মিল মালিক ও কর্পোরেট কোম্পানিকে দায়ী করে আমদানির সুযোগ চেয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।  তাদের বক্তব্য শুনে নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সরকার বড় কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিয়েছিল কম দামে চাল প্রাপ্তির আশায়। কিন্তু এর সুফল মেলেনি। তারা সত্যিকারের ব্যবসায়িক আচরণ না করলে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর সরকারি কৃষি পণ্যের পাইকারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাকক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর এই মত বিনিময়ের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, দ্রব্যমূল্যটাই মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি সামনে যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, সেগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেই উদ্যোগ নিতে হবে নতুন সরকারকে। আমি মনে করি, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে অনেক কথা আছে। এই সেক্টরকে সঠিক পথে আনতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। এটা যদি করা যায়, তাহলে একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। যদিও কাজটা কঠিন। পাশাপাশি টাকা পাচার হয়েছে বলে আলোচনা হয়। এখানেও মনোযোগ দিতে হবে। অর্থনীতিবিদরা অনেকদিন ধরেই বলছেন, ব্যাংকিং সেক্টর ধ্বংসের পথে। টাকা পাচারের কারণে এখন অনেকগুলো ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। তারল্য সংকটে ভুগছে অনেক ব্যাংক। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থনীতি নিয়ে মূলত উদ্বেগের প্রধান কারণ ছিল আমাদের রিজার্ভ এমনভাবে কমছিল, তাতে শঙ্কা জাগাটা স্বাভাবিক ছিল। আগে অর্থনীতিবিদদের অনেকেই বলেছিলেন, নির্বাচন পর্যন্ত রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের উপরে থাকলে সংকট উত্তরণ সম্ভব হবে। রিজার্ভ তো এখন সেই পর্যায়েই আছে, তাহলে সমস্যা কী? জবাবে তিনি বলেন, এটা ভালো ইন্ডিকেটর। মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ডলার সংকট না কাটলে জিনিসপত্রের দামও কমবে না। তবে এই কাটাতে কারো উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। নিজেদের উপর আস্থা রাখতে হবে। নিজেদেরই সংস্কারে উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, গার্মেন্টস সেক্টরে মাঝে মধ্যে যে অস্থিরতা দেখা যায়, সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখাও সরকারের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো রাজনীতি। রাজনীতি ঠিক হলে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। সেটা অর্থনীতি বলেন আর শ্রমনীতি বলেন। বিদেশিরা কী বলছে, সেটা নয়, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই রাজনীতিটা ঠিক করা প্রয়োজন।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়