• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। সোমবার (১৮ মার্চ) পান্টল্যান্ডের আঞ্চলিক পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ভারতের বাহিনীটি। তবে রয়টার্স তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

রোজার প্রস্তুতি ও করণীয়
পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বিশেষ উপহার। রমজানে জীবনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করিয়ে জান্নাতি করে তোলার চমৎকার সুযোগ। রমজান আসার আগে রমজানকে পাবার জন্য মু’মিনের হৃদয় ব্যাকুল থাকে। আবার রমজান শেষ হয়ে আসলে মুমিনের হৃদয়ে ইমানী ব্যথা অনুভূত হয়। মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। রুটিন করে ইবাদতসহ সময়ের কাজ সময়ে করার গুরুত্ব অনেক। কেননা যে কোনো কাজ পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে করলে তা সুন্দর ও সফল হয়। তাই রোজার মাসে করতে হবে পূর্বপরিকল্পনা এবং নিতে হবে প্রস্তুতি। দোয়া করা : রোজার মাসের প্রস্তুতি হিসেবে মহানবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)। রমজান মাসে সকলে কেই তাই নিজের জন্য পরিবারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে। রমজান মাসে রোজাদারের দোয়া আল্লাহ সহজে কবুল করেন। জামাতে নামাজ আদায় করা : জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে মুক্তি।  তাই রমজানে জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। জামাতে নামাজ আদায় করলে আত্মার শান্তি মেলে। মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সমাজের ছোট বড় অনেকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়। এতে সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। নফল নামাজ : ফরজ নামাজের পাশাপাশি রমজান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে। রমজানে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে, যাতে রমজানে ইশারায়, চাশত, তারাবি এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ভালোভাবে আদায় করা যায়। নবী (সা.) বলেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল। (বায়হাকি) কোরআন তিলাওয়াত : রোজার মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে ফজিলত অনেক। তাই রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে। কোরআনে আছে ,রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ-মাস পাবে, সে যেন এ-মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির তাকে অন্য দিনে এ-সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পার। (সুরা বাকারা: ১৮৫) দান-সদকা : রমজানে দরিদ্র অসহায় লোকদের দান-সদকা করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পৃথক করে রাখা উচিত। নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি) গুনাহের কাজ না করা : পবিত্র রমজান মাসে সব ধরনের গুনাহ মাফ করা হয়। রোজা রাখার পাশাপাশি এ মাসে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। মিথ্যা বলা, চোখের জেনা, পরকীয়া, পরনিন্দাসহ সব ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮

যে ১২ আমলে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হতে চলেছে মাহে রমজান। এ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আজই শুরু করে দিন ১২টি কাজ। কাজগুলো হলো— ১. বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা। ২. রমজানের ফজিলত ও মাসায়েল জানা চেষ্টা করা। ৩. মাগফিরাত ও নাজাত লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। ৪. পূর্বের কাজা রোজা থাকলে সেগুলো আদায় করা। ৫. সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করা। ৬. অন্তরকে হিংসা-বিদ্বেষ ও শিরক থেকে পরিচ্ছন্ন করুন। ৭. গত রমজানের ভুলগুলোকে চিহ্নিত করুন। ৮. রমজান মাসের আমলগুলো রিহার্সাল করুন। ৯. পুরো রমজান মাসের সময়সূচি নির্ধারণ করুন। ১০. শাবান মাসের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখার চেষ্টা করুন। ১১. আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামান করুন। ১২. বেশি বেশি নফল রোজা রাখুন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৪

দুই সিটিসহ ২৩৩ স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, কাল ভোট
দুই সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩৩ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিনগত রাত ১২টায় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রচারণার নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বিরতিহীন ভোটগ্রহণ। জানা গেছে, সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে আর মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে। এ ছাড়া সারাদেশের ৩টি পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদসহ নানা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের শূন্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচন, ৭টি জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনসহ ১৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন দুটির ভোট হবে ইভিএমে। আর বাকিগুলোর কিছু ইভিএমে ও ব্যালটে হবে। ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনগুলোতে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। চাহিদার তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ময়মনসিংহ সিটির ভোট এবার ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭২ পুরুষ, এক লাখ ৭২ হাজার ৬১৫ নারী এবং ৯ জন হিজড়া ভোটার মিলে মোট তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ ভোটার ভোট দিবেন। এ সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। নির্বাচনে ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। সিটিতে ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৯ জন ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কমিশনার পদে ৬৯ জন লড়ছেন। এ সিটিতে ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে ৩৩টি মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একটি রিজার্ভ ফোর্স দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে র‌্যাবের ১৭টি টিম ও ৭ প্লাটুন বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকছেন। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে একমাত্র দলীয় প্রতীকে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। টেবিল ঘড়ি নিয়ে লড়াইয়ে আছেন বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক, ঘোড়া প্রতীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, হাতি মার্কায় জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কী এবং হরিণ প্রতীক নিয়ে কৃষক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক রেজা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।  কুমিল্লা সিটির ভোট ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাতের মৃত্যুতে এ সিটিতে মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এবার এ সিটিতে এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ পুরুষ, এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ নারী এবং ২ জন হিজড়া ভোটার মিলে মোট দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ভোট দিবেন। নির্বাচনে ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ সিটিতে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। নির্বাচনে ২৭টি মোবাইল ফোর্স, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও দুটি রিজার্ভ ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে র‌্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকছে। কুমিল্লায় সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি থেকে বহিষ্কার দুই নেতা নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ঘড়ি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজামুদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এ সিটিতেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। আওয়ামী লীগ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার বাস এবং নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর তানিম হাতি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৭

একদিন পরেই জয় বাংলা কনসার্ট, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
সাতই মার্চ এক দিন পরেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন স্মরণে এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। বর্তমানে কনসার্টটির আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। প্রতি বছর ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এই কনসার্টের আয়োজন চলছে। ইতোমধ্যে দর্শক-শ্রোতাদের মনমাতাতে প্রায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তত্ত্বাবধানে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ আয়োজন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কনসার্টে আসছে দেশের স্বনামধন্য আর্টসেল, নেমেসিস, চিরকুটসহ বিভিন্ন ব্যান্ড দল। এছাড়াও মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় সব সংগীতশিল্পীরা। এরই মধ্যে ব্যান্ডদলগুলোকে নিয়ে নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রমোও প্রকাশ করেছে ইয়াং বাংলা।   বরাবরেই মতই এবারও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে একেবারেই বিনামূল্যে। নির্ধারিত সময়ে ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন লিংকে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। অনলাইনেই নিবন্ধন হলেই পাওয়া যাবে প্রবেশ টিকেট। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, ২০২৪ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। তরুণরা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বাহিরে কনসার্ট আয়োজনের অনুরোধ করে আসছিল। মূলত তাদের ইচ্ছাতেই এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট। বরাবরই জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা এই কনসার্ট উপভোগ করতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে। ইয়াং বাংলার  অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জান্নাতুল নাইম নামক এক জন চট্টগ্রামের ভাষায় মন্তব্য করেন, ‘চলি আইয়্যু অনেরা সবাই, আঁরার চিটাঙ্গত অনেরার সকলেরে সাদর আমন্ত্রণ।’  ২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শত ভাষণের একটি। আর একাত্তরে মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ‘বেলা বিস্কুট আর চা লইয়েরে, রেডি অওন রেজিস্ট্রেশন হরিবার লাই’— বিস্তারিত জানতে  ক্লিক করুন। এভাবেই এবার চট্টগ্রামের ভাষায় ‘জয় বাংলা কনসার্ট-২০২৪’ এর রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানিয়েছে আয়োজক ইয়াং বাংলা। তারুণ্যের সর্ববৃহৎ এই প্লাটফর্ম তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে শনিবার সকাল ১০টা থেকে কনসার্টে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী সকলকে রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানায়। এই লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

রোজার আগে নেবেন যেসব প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর কয়দিন পরেই শুরু হবে রমজান। পুরো একমাস রোজা রাখবেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই এক মাস দিনের বেলা সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা হয়। মাসটি বছরের অন্যান্য মাসের মতো নয়। এই মাসে প্রত্যেক মুসলিমের জীবন-যাপনেই আসে বড় পরিবর্তন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও গুনাহ মাফের আশায় সারাদিন অনাহারে থেকে সন্ধ্যায় মুসলিমগণ ইফতার করেন। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরেও আসে কিছু পরিবর্তন। তাই রোজার প্রস্তুতি হিসেবে কিছু কাজ করে রাখতে পারলে ভালো।  চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজার আগে কোন কাজগুলো গুছিয়ে রাখা প্রয়োজন-  শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: রমজানে শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কারণ এসময় অসুস্থ হলে রোজা রাখাটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতিও। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগেই প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। কথা কম বলা ও ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আত্মীয় ও বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মন ভালো থাকে এ ধরনের কাজ করুন। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। পানি পান করুন নিয়মিত। অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে মনও ভালো থাকবে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। এতে সবকিছু সহজ মনে হবে। কাজ গুছিয়ে নেওয়া: রোজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে খাবার। এই মাসে খাবারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। অনেকে এ সময় বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এ ধরনের খাবার আপনাকে বড় কোনো অসুখের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে। রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করাও কষ্টকর। তাই আগেভাগে কিছু খাবার প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। পুরো রমজানের বাজার একবারে করিয়ে রাখতে পারেন। এতে রোজা রেখে বারবার বাজার করতে যেতে হবে না। এরপর কিছু ইফতারের পদ ও মসলা ইত্যাদি তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তাতে কাজ অনেকটাই কমে যাবে। পুরো রমজান মাসই আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। শিশুদের জন্য: রোজায় শিশুদের খাবার ও অন্যান্য বিষয়েরও দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শিশুরা রোজা রাখতে পারে না। বড়দের কারণে যেন তাদের খাবারে কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এসময় রোজা রেখে শিশুর জন্য খাবার তৈরি করাটা ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন শিশু খেতে পছন্দ করে এ ধরনের কিছু খাবার আগেভাগেই তৈরি করে ফ্রোজেন করে রাখতে। আবার যে-সব খাবার সহজে তৈরি করা যায়, সেগুলোও কিনে রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও শিশুর জন্য রাখুন। সম্ভব হলে খাবার তৈরি করার সময় শিশুকেও আপনার সঙ্গে রাখুন। তাতে সে নিজের খাবার নিজে তৈরি করে খাওয়া শিখবে। তবে শিশুকে চুলার আগুনের কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো। এদিকে খেয়াল রাখুন। পরিচ্ছন্নতা: পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষ করে ইবাদতের জন্য পরিষ্কার ঘরদোর থাকতে হবে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও ভালো থাকে। একমনে প্রার্থনা করা যায়। তাই রোজা শুরু হওয়ার আগেই বাড়িঘর পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ধুলো-ময়লা ঝেড়ে চকচকে করে রাখুন। আসবাবপত্র নিয়মিত মুছুন। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা এবং এ জাতীয় যা আছে সেগুলো আগেভাগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। এতে রমজানে কষ্ট কম হবে। বাড়ির দেয়ালের রং পরিবর্তন করতে পারেন। দেয়ালে পছন্দের কোনো রং ব্যবহার করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসতে পারে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:১১

রমজানের প্রস্তুতি নিতে যেসব আমল করবেন
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। প্রস্তুতি কেন নেব? রমজান মাসকে অধিক ফলপ্রসূ করতে রমজানের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণ হলো—নিজেকে ইবাদত-বন্দেগি ও সাধনার জন্য প্রস্তুত করা। যেন রমজানের আগেই আলস্য দূর হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য আল্লাহর তাওফিক লাভ করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আমার উদ্দেশ্যে চেষ্টা-সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯) চাঁদের হিসাব রাখা রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে শাবান মাসের চাঁদের হিসাব রাখতেন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এ ছাড়া অন্য কোনো মাসের এত হিসাব করতেন না। এরপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩২৫) কাজ গুছিয়ে রাখা রমজান ইবাদতের মাস। তাই রমজানের আগেই যদি পারিবারিক, ব্যাবসায়িক ও পেশাগত কাজগুলো গুছিয়ে রাখা যায়, তবে রমজানে অধিক সময় ইবাদতে মগ্ন থাকা যাবে। বিশেষত নারীরা সাংসারিক কাজ গুছিয়ে রাখলে তাঁরা ইবাদতে বেশি সময় দিতে পারবেন। বেশি বেশি রোজা রাখা শাবান মাসে মহানবী (সা.) অধিক পরিমাণ রোজা রাখতেন। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি রোজা রেখে রমজানের প্রস্তুতি নিতে পারেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৮) বিশেষ করে কারো যদি বিগত রমজানে কোনো রোজা কাজা হয়ে থাকে তা আদায় করে নেওয়া উত্তম। তবে মনে রাখতে হবে, নবীজি (সা.) রমজানের এক বা দুই দিন আগে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮১৫) কোরআন পাঠ ও তাহাজ্জুদ রমজানে মহানবী (সা.)-এর দুটি প্রিয় আমল ছিল কোরআন তিলাওয়াত ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা। রমজানে নবীজি (সা.) তার পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য ঢেকে দিতেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তাঁরা পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬) জাকাত ও দানের প্রস্তুতি মহানবী (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ০৬) তাই রমজানে দানের পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। যদিও জাকাত প্রদানের নির্ধারিত কোনো মাস নেই। তবু আলেমরা বলেন, রমজানে জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারেন। আল্লাহ সবাইকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফিক দিন। আমিন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৩

নারীদের রমজান প্রস্তুতি
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। প্রতিটি মুসলমানের উচিত নিজেদের আল্লাহর কাছে নিবেদন করতে রমজানের আগেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এখানে রমজান উপলক্ষে নারীদের বিশেষ কয়েকটি প্রস্তুতির কথা তুলে ধরা হলো.... প্রতিবছরই প্রাকৃতিক কারণে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের কিছু রোজা কাজা করতে হয়। সেগুলো আদায় না করে থাকলে শাবান মাসে দ্রুত আদায় করে নেওয়া উচিত। রমজানের দিনগুলোর জন্য আগে থেকেই কাজের তালিকা তৈরি করে নেওয়া উচিত। রমজানে নারীদের সাধারণত বাসায় সাহ্‌রি-ইফতার তৈরি করতে হয়, পাশাপাশি ঘরের অন্যান্য কাজও সম্পাদন করতে হয়, তাই আগে থেকে পরিকল্পনা না করলে ইবাদতের সময় বের করা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে নামাজ আদায় কোরআন তিলাওয়াত, হাদিস অধ্যয়ন, ইসলামি জ্ঞানার্জনের জন্য বিশেষ রুটিন রাখা উচিত। রমজানে দানের অনেক ফজিলত রয়েছে। বাড়ির পুরুষ কর্তার ওপর নির্ভর না করে সামর্থ্য থাকলে নারীরাও দান-সদকা করতে পারেন। এর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি থাকা চাই। নারীরা স্বভাবগতভাবে একটু বেশি কথা বলেন এবং পরনিন্দাও বেশি করেন। রমজানে এসব পরিহার করা উচিত। রোজার পবিত্রতা নষ্ট হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রমজান ও রোজা বিষয়ে নারীদের অনেক জরুরি মাসায়েল রয়েছে, সেগুলো এখন থেকে জানা এবং রমজানে যথাযথভাবে মানার সংকল্প করতে হবে। বিশেষ করে ঋতুমতী, গর্ভবতী ও স্তন্যদায়িনীদের সম্পর্কিত মাসায়েলগুলো জানতে হবে। 
০২ মার্চ ২০২৪, ০২:১৯

রমজানের আগে যেসব প্রস্তুতি জরুরি
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। হিজরি বছরের সবচেয়ে পবিত্রতম মাস রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। প্রতিটি মুসলমানের উচিত নিজেদের আল্লাহর কাছে নিবেদন করতে রমজানের আগেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। রমজানের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারে। ব্যক্তিগত প্রস্তুতি গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি: নিজের ভালোর জন্যই গুনাহগুলো ছেড়ে দিতে হবে। জাহান্নাম থেকে নিজেকে বাঁচাতে গুনাহগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর অভ্যাস ছেড়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে দৃঢ় সংকল্প করে গুনাহর উপায়-উপকরণগুলোও দূর করে ফেলতে হবে আগেই। মিথ্যা পরিহার করা: মিথ্যা বলা মহাপাপ। মিথ্যাবাদীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কঠিন হুঁশিয়ারি এসেছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মিথ্যাচারীরা ধ্বংস হোক।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১০) রোজা রেখে মিথ্যা বলা আরও জঘন্য কাজ। হাদিস শরিফে এসেছে- ‘যদি কেউ রোজার সময় মিথ্যা বলে তবে তার রোজা রোজা নয় (তিরমিজি, হাদিস : ৭০৭)। পরনিন্দা পরিত্যাগ করা: আমাদের মধ্যে অন্যের নিন্দা করা স্বভাবজাত। এটিও অত্যন্ত ভয়ানক গোনাহের কাজ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে নিন্দাকারী ও পেছনে গীবতকারী।’ (সুরা হুমাজা, আয়াত : ১)। কিন্তু কেউ যদি রোজা রেখে তা করে সেটি আরও মারাত্মক। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি কোনও রোজাদার ব্যক্তি কোনো মুসলমানের নিন্দা করে তবে মনে হয় যে সে আল্লাহর হালাল করা খাদ্য খেয়ে রোজা রেখেছিল এবং আল্লাহর নিষেধ করা কিছু দিয়ে রোজা ভেঙে ফেললো।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৬৫৩)। অনর্থক ও অশালীন কথাবার্তা না বলা: হাদিসে কুদসিতে এসছে, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন রোজা রাখে, তখন সে যেন অশালীন কথাবার্তা না বলে ও হই চই না করে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯০৪)। কটুকথা ও গালিগালাজ না করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। রোজা হলো অনর্থক ও অশ্লীল কথা-কাজ বর্জন করার নাম। কেউ তোমাকে গালি দিলে বা তোমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তুমি তার সঙ্গে তেমনটি না করে কেবল এটুকুই বলো– আমি রোজাদার।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস: ২৪১৬)। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা: খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বাজে কথা ও কাজ ত্যাগ করলো না, তার পানাহার ত্যাগ নিছক উপবাস ছাড়া আর কিছু নয়।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৮০৪)। সমাজে প্রস্তুতি  সামাজিক পরিমণ্ডলে রমজানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিবেশী ও সমাজের লোকজন একে অন্যের সঙ্গে দেখা হলে রমজানের বিভিন্ন ফজিলত ও ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করে। এ ব্যাপারে অন্যকে রোজার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা চাই। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এ মাস আসার আগেই সামাজিকভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, যেন সমাজটাও হয় ইসলামবান্ধব। পরিবারে প্রস্তুতি  পরিবারের সদস্যদের রমজানের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে রোজার ফজিলতের হাদিস ও এর বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরে খাবারের টেবিলে বা অন্য কোনো সুযোগে প্রতিদিন কিছু সময় ঘরোয়া তালিম হতে পারে। এ ব্যাপারে মাতা-পিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গৃহিণীর প্রস্তুতি  সাহরি ও ইফতার ব্যবস্থাপনা নিশ্চয়ই সওয়াবের কাজ। তবে এগুলোতে লিপ্ত থেকে যেন নিজের ইবাদতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে প্রত্যেক গৃহিণীর খেয়াল রাখা উচিত। কঠিন কোনো কাজ রমজানের জন্য ফেলে না রেখে আগে থেকেই এমন একটি পরিকল্পনা করা, যাতে সংসারের কাজ কিছুটা কমিয়ে সময় বের করে হলেও কিছু সময় কোরআন তিলাওয়াতের জন্য বরাদ্দ রাখা। কিছুতেই যেন ফরজ নামাজ, তারাবি ছুটে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখা। সংযমের মাসে প্রত্যেক গৃহিণীর উচিত অপব্যয় ও অপচয় পরিহার করে পরিবারের অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে তা দান-সদকায় ব্যয় করার ক্ষেত্রে স্বামীকে সহযোগিতা করা। চাকরিজীবীদের প্রস্তুতি রমজান তো ভালো মানুষ হয়ে যাওয়ার ট্রেনিং কোর্স। চাকরিতে মালিককে না ঠকানো এবং ইবাদত ছেড়ে নিজেও না ঠকার প্রশিক্ষণ নিতে হবে রমজানে। অনৈতিক কোনো অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দেওয়ার দৃঢ়সংকল্প করতে হবে। কর্মব্যস্ততার ভেতরেও কিভাবে বেশি ইবাদত করা যায়, তার পরিকল্পনা করা উচিত। অফিসের কাজের ফাঁকে ও অফিসে যেতে যে সময় রাস্তায় কাটে, তা-ও ইবাদতে ব্যবহার করতে মোবাইলে কোরআন শরিফসহ বিভিন্ন ইসলামিক অ্যাপস চালু করে তা কাজে লাগাতে পারেন। প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের প্রস্তুতি প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত রমজানের প্রয়োজনীয় মাসায়েল জেনে নেওয়া। প্রয়োজনে রমজানের আগেই এ বিষয়ে কিছু পুস্তক কিনে নেওয়া যায়, যাতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও তা পড়তে পারে। ইতিকাফ করতে আগ্রহীরা এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন আগে থেকেই। ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি ঈমানদারদের বেশি সওয়াব অর্জনের প্রতীক্ষার বিপরীতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্রস্তুতি নিতে থাকেন গণমানুষকে ঠকিয়ে বেশি লাভ করার। ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের প্রশিক্ষণের মাস রমজানে ভাতৃঘাতী ও নির্মমতার চর্চা করেন তাঁরা। মজুদকরণ বা অপকৌশলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে ‘বড়লোক’ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হন। একজন মুসলমান ব্যবসায়ীর রমজানকেন্দ্রিক এমন প্রস্তুতি হতে পারে না। কারণ পণ্য মজুদকরণের মাধ্যমে দাম বাড়ালে সে ব্যবসায়ীর প্রতি আল্লাহ তাআলা ক্ষুব্ধ হন এবং সম্পর্ক ছিন্ন করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ৪০ দিন খাদ্য মজুদ রাখল সে আল্লাহর কাছ থেকে নিঃসম্পর্ক হয়ে গেল, আল্লাহ নিঃসম্পর্ক হয়ে গেলেন তার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ : ৮/৪৮১) মজুদদারির মাধ্যমে কোটিপতি হলেও তার জন্য দারিদ্র্য অবধারিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেউ যদি খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম উপায়ে সংকট তৈরি করে, আল্লাহ তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দেন। (ইবনে মাজাহ : ২/৭২৯) রমজানের আর্থিক প্রস্তুতি : রমজান আর্থিক ইবাদতেরও এক অপূর্ব সুযোগ। এ মাসে দৈহিক ইবাদতের মতো আর্থিক ইবাদতেও সওয়াব বেশি। আত্মীয়-স্বজনের কাছে ইফতারসহ নিত্যপণ্য কিনে পাঠানোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেউ কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে সে উক্ত রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে। তবে এতে সে রোজাদারের সওয়াব একটুও কমবে না। (তিরমিজি : ৩/১৭১) মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, রমজান মাসে একটি ওমরাহ আদায় করা একটি ফরজ হজ আদায় করার সমান। (বুখারি : ৩/২২২)
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬

শাহরুখের ‘পাঠান টু’ সিনেমার প্রস্তুতি শুরু
দীর্ঘ চার বছর বিরতিতে থাকার পর ‘পাঠান’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় ফেরেন শাহরুখ খান। রীতিমতো রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করে বক্স-অফিসে ঝড় তোলেন বলিউডের এই বাদশাহ। এবার জানা গেল, ‘পাঠান টু’ সিনেমার প্রস্তুতি শুরু করেছেন নির্মাতারা। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, প্রযোজক আদিত্য চোপড়া স্পাই ইউনিভার্সের অষ্টম সিনেমা ‘পাঠান টু’ নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। গেল বছরের শেষের দিকে আদিত্য চোপড়া ও তার টিম ‘পাঠান টু’ সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করে।  চলতি বছরের ডিসেম্বরে ‘পাঠান টু’ সিনেমার শুটিং শুরুর পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। তবে সিনেমাটির প্রথম পার্টের সব অভিনয়শিল্পী থাকবেন কি না, সেটা এখনও জানা যায়নি।    ২৬০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয় ‘পাঠান’। ভারতের সাড়ে ৫ হাজার হলসহ বিদেশের আড়াই হাজার পর্দায় মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি নির্মাণ করেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করে ১ হাজার কোটি রুপিরও বেশি।  প্রসঙ্গত, ‘পাঠান’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন দর্শকদের নজর কাড়েন শাহরুখ-দীপিকা। এতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন— জন আব্রাহাম, ডিম্পল কাপাডিয়া, আশুতোষ রানা, গৌতম, একতা কৌর।   সূত্র : পিংকভিলা  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়