• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা ওরা এত কিছু করছে, শাল পোড়ায়, তো বউয়ের শাড়িটা পোড়াতে পারে না? ভারত থেকে আনা শাড়ি।’ আমি বলতে চাই, আমাদের বিএনপি নেতারা ভারত থেকে শাড়ি তেমন কেনেন না। নিজের পুরোনো স্মৃতি তুলে রিজভী বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে ইন্ডিয়া। বিয়ের পরে একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা একটা শাড়ি দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ওই শাড়িটা কই? আমার মিসেস বললেন, ‘কাঁথা সেলাই করতে কবে দিয়েছি সেটাও ছিঁড়ে গেছে’। অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা মন্তব্য করেন, আমরা যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করি, আমাদের কখনো বলা হয়নি যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা, সমালোচনা করা যাবে না। আমরা ছাত্রজীবন থেকে ‘সিকিম নয়, ভুটান নয়—এ দেশ আমার বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়েছি। রুশ-ভারতের দালালেরা স্লোগান দিয়ে এসেছি। আজকে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলাই মনে হচ্ছে পাপ। আজকে দুই-একটি পত্রিকা, খুব দেখি বিচলিত হয়ে গেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ন করা ঠিক হচ্ছে কি না। এটা নিয়ে দেখি প্রতিবেদন হচ্ছে, নিউজ করছে। ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনের সঙ্গে ‘সকলের সম্পৃক্ত হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এ দেশকে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আমরা সেই প্রত্যয় সেই আদর্শ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের নিজের বোনা যে ফসল, সেটা আরও বেশি করে উৎপাদন করব, আমাদের মিল-কারখানায় যে শাড়ি তৈরি হয়, সেই শাড়ি আমাদের মেয়েরা পরবে, আমাদের কল-কারখানায় যে লুঙ্গি তৈরি হয়, সেই লুঙ্গি আমাদের দেশের ছেলেরা পরবে। ‘কিন্তু আমরা অন্যের কাছে নতজানু হব না, অন্যের কাছে দ্বারস্থ হব না। এই জাতীয়তাবাদী চিন্তা থেকে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, আজকে যদি তারা (ভারত) এটুকু বলতো, না আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, আমরা কোনো দলের পক্ষে না। যেটা আমেরিকা বলছে, যেটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে যে, ‘আমরা কোনো দলের পক্ষে না, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই’- সেটা পর্যন্ত তারা (ভারত) বলে নাই। উল্টো ইন্ডিয়ার হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বলে দিলেন যে, ‘আমরা এ সরকারের পক্ষে’। অতএব আমি মনে করি, অবশ্যই যে সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে পণ্য বর্জনের তার প্রতি সংহতি জানানো ন্যায়সঙ্গত। আওয়ামী লীগ সরকারের ভারত নীতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এত কিছু ঘটনা… সীমান্ত হত্যা হয়। আপনি একটা ডামি সরকার, একটা ডাকাত সরকার, একটা অবৈধ সরকারের পক্ষে যদি একটি দেশ থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে না? জনগণ প্রতিবাদ জানাবে না? ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান রেখে তিনি বলেন, কেন আমরা অন্য দেশের সমালোচনা করি। ৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়েছে, বেরুবাড়ি ভারত নিয়ে যাবে। কথা ছিল বেরুবাড়ি নিয়ে যাবে, আমাদের দোহগ্রাম-আঙ্গরপোতা যাওয়ার জন্য করিডোর দেওয়া হবে সেটা ৪০ বছরেও দেওয়া হয়নি। এখনও কিন্তু দেওয়া হয়নি। বেরুবাড়ি কিন্তু তারা নিয়ে গেছে। করিডোর দিয়ে ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত করতে পারবে কিন্তু আইনগতভাবে যেটা দেওয়ার কথা সেটা দেওয়া হয়নি। ভারতের পার্লামেন্টে এটা বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের যে প্রাপ্য যেটা আমাদের দেওয়া হয়নি। এটার জন্য প্রতিবাদ করতে পারব না। দেশের স্বার্থের পক্ষে আমরা কথা বলতে পারব না। এই যে গুম-খুনের পরিবার আজকে এম ইলিয়াস আলী কেন গুম হয়েছে? মানুষ বলে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে তার যে শক্ত অবস্থান সেজন্য তাকে গুম করা হয়েছে, আজকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ তিনি বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, এমপি ছিলেন পাঁচ বার, মন্ত্রী ছিলেন, তাকে গুম করা হলো, পাওয়া গেল আরেক দেশে। এটি কি বড় ধরনের কেলেঙ্কারি নয়? এটা কি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যায় না? এভাবে ওরা আগ্রাসন করছে। গত কিছুদিন ধরে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রচার চলছে, যাতে সমর্থন দিচ্ছেন বিএনপির কোনো কোনো নেতা। গত সপ্তাহে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে দলের সমর্থন জানিয়ে তার গায়ে থাকা কাশ্মিরি শাল আগুনে ছুড়ে ফেলেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার সেল’এর উদ্যোগে বিরোধী আন্দোলনে গুম-খুন-পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর হেলাল, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসিন আলী, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দীন নাছির, চৌধুরী আলমের ভাই খুরশীদ আলম মিন্টু, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজীদা ইসলাম তুলি, নুরে আলমের স্ত্রী রিনা আলম, মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আক্তার, পারভেজ রেজার ছোট মেয়ে হৃদি বক্তব্য দেন।  
৭ ঘণ্টা আগে

স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।   তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি; দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট এবং দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। কাদের বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রচলন করেন। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে মর্মে দলটির মহাসচিব (মির্জা ফখরুল) মিথ্যাচার করছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে না। তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে। তিনি বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিস্যাৎ করে। বিরোধীদল বিশেষত আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগে

বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে বিএনপি। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে তারা। বুধবার (২৭ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর ২টায় উত্তরা-১২নং সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে এসব উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের সাথে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এ দেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সাথে পাই। এ দেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত।  তিনি বলেন, জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে চারবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে। এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয়, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছে তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোন বিদেশি শক্তির উসকানি এবং প্রতিশ্রুতিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে, ক্ষমতায় বসাতে পারবে না যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সাথে আছে।       তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ, জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোন জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্বনির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা। আজকে ওরা হত্যা, জেল-জুলুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরণের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘর আগুন দিয়েছিল, জেলা-জুলুম কোনো কিছুই বাদ ছিল না। ২১ বছর পর ১৯৯৬-তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেয়েছি আমরা? ২৫ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী-শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আদলে।  বিএনপি-জামায়াত সরকার এ দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গিবাদ এ দেশ থেকে নির্মূল করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হতো। এ ভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে। ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরাশাসকের পকেট থেকে যে দলের সৃষ্টি তারা গণতন্ত্র চাচ্ছে। তাদের জন্মটা কোথায় এবং কীভাবে হয়েছে, তারা কি ভুলে গেছে? এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বিএনপি নেতার
ফেনীতে বেপরোয়া গতির অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মো. মোশাররফ হোসেন (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।   মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল হাজারী রোডের মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোশাররফ ফেনী পৌরসভার চাড়িপুর হাজী নজির আহাম্মদ কন্ট্রাক্টর বাড়ির মৃত সফিকুর রহমানের ছোট ছেলে। তিনি পৌর বিএনপির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল হাজারী রোডের মাথায় চট্টগ্রামগামী একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মোশাররফ হোসেন সড়কে ছিটকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।   মহিপাল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন বলেন, একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

পাকিস্তানিদের সন্তুষ্ট করতে ভারতবিরোধী জিকির তুলছে বিএনপি : পাটমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানিদের সন্তুষ্ট করতে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা ভারতবিরোধী জিকির তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি। গণহত্যা দিবস পালন না করার জন্য বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, আজ ২৫ মার্চ, বিএনপি সমাবেশ করে। কিন্তু সেই সমাবেশে বসে তারা ২৫ মার্চকে স্মরণ করে না। বিএনপি নেতাদের এ ধরনের আচরণ স্বাভাবিক উল্লেখ করে নানক এরপর বলেন, রিজভী সাহেবের বাবা ছিলেন পাকিস্তান পুলিশে কর্মরত। পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। আরেকজন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; যার বাবা চোখা মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় চোখা রাজাকার হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। সেই চোখা রাজাকারের ছেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো অবশ্যই পাকিস্তানিদের আইএসআইকে সন্তুষ্ট করার জন্য ভারতবিরোধিতার জিকির তুলবেন। এটি তো তাদের পুরোনো খাসিলত।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৮

বিএনপি নেতা আমান কারামুক্ত
অবশেষে কারামুক্ত হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। রোববার (২৪ মার্চ) রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে গত ২০ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।  তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছিলেন। পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেন তিনি। একই মামলায় আমানউল্লাহ আমানের স্ত্রী তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাবেরা আমান গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন পান।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৫

ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : নানক
সস্তা ইস্যু তৈরি করতে বিএনপি এখন ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। শনিবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। নানক বলেন, বিএনপি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মির্জা ফখরুল ও মঈন খানেরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যখন বেকায়দায় পড়েছেন তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কিংবা খালেদা জিয়া ভারত ইস্যু ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিলেন, সেই রাজনীতির সুযোগ বাংলাদেশে আর নেই। ভারত বিরোধিতা হলো বিএনপির রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অথচ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।  এ সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি।  আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।  
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন মহাসচিব। শায়রুল কবির আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর সেখানে দুটি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। সেখানে তার বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এখন অনেকটাই ভালোর দিকে।  চিকিৎসার জন্য গত চার মার্চ দেশ ছাড়েন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বিএনপি মহাসচিবের একান্ত সহকারী ইউনুস আলী জানান, প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। ২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। পরে কারামুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

জামিন পেলেন বিএনপি নেতা আমান
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। দুর্নীতির এই মামলায় বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আমানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।  তবে, জামিন পেলেও আমানকে বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে ২০০৭ সালের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এই দম্পতির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।  সম্প্রতি বিএনপির এই নেতার করা আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  গত ১২ সেপ্টেম্বর ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চাওয়ার পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৯

‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়ে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে যে আবেদনটি করা হয়েছে তা পড়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও আমার মতামত দিইনি। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার (১৮ মার্চ) আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আবেদন ও সংশ্লিষ্ট ফাইল তার কাছে সোমবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়