• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নাবালকেরা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস এই বিলে সই করেছেন। ২০২৫-এর ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিকমাধ্যম নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে আমেরিকায়। সম্প্রতি বাইডেন সরকার সেখানে টিকটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তারই মধ্যে ফ্লোরিডার গভর্নর সোমবার জানিয়ে দিলেন, নাবালকেরা যাতে সামাজিকমাধ্যম আর ব্যবহার করতে না পারে, তা নিয়ে একটি আইনে তিনি সই করেছেন। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হবে। ১৩ বছর না হলে আর সামাজিকমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। আইনে বলা হয়েছে, ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না। ১৪ এবং ১৫ বছরের বালক-বালিকারা অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবে, কিন্তু তার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে। ফ্লোরিডার স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, সামাজিকমাধ্যমের এই যুগে এই আইন বাবা-মাকে বাচ্চা বড় করতে সাহায্য করবে। বস্তুত, অনেকদিন ধরেই ফ্লোরিডায় এই বিলটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। রাজ্যের স্পিকার পল রেনার চেয়েছিলেন, ১৬ বছরের নিচে কোনো নাবালক সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না। সেই প্রস্তাব খারিজ হলেও তার কাছাকাছি একটি প্রস্তাব শেষপর্যন্ত আইনের চেহারা পেয়েছে। এদিন রেনার বলেছেন, সামাজিকমাধ্যম ভরে আছে পেডোফিল এবং পাচারকারীতে। তারা সামাজিকমাধ্যমকে ব্যবহার করে নাবালকদের উত্তেজিত করে এবং অন্ধকার জগতের দিকে টেনে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, তার মতে, সামাজিকমাধ্যম বাড়ন্ত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এটা এক ধরনের নেশা তৈরি করে, যা বাচ্চাদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় দুইটি বিষয় সামনে এসেছিল। একদিকে শিশু-সুরক্ষা, অন্যদিকে বাকস্বাধীনতা। সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪২

‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব’
আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার (২২ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এ সকল আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।  রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘এট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৫

‘রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।  শুক্রবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদের ইফতার কর্মসূচি পূর্ব আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু এসব করে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। বিএনপি লগি বৈঠার মাধ্যমে সরকারকে হটাতে পারেনি বলে এই দলটির ব্যর্থ বলা যাবে না। এ সময় জনগণকে ধৈর্য ধরে চলমান আন্দোলন চালিয়ে নিতে আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, সব বিদেশি রাষ্ট্রই বিএনপির বন্ধু। কারও সঙ্গে বৈরিতা নেই। তবে যারাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তারাই জনগণের প্রকৃত বন্ধু। এর আগে, এদিন বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে জানান, অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আইনের শাসনহীন এ দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ডামি নির্বাচনের পর এই সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্য। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সংকট। মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬

রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে?
অনেকেরই শ্বাসজনিত রোগ থাকে, যেমন অ্যাজমা ও ফুসফুসের প্রদাহজনিত সিওপিডি ও কাশি থাকে। এ ধরনের সমস্যায় সাধারণ ইনহেলার ব্যবহার করা হয়। যা মুখ দিয়ে গ্রহণ করতে হয়। এ কারণে অনেক রোগীরই প্রশ্ন-রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা যাবে কি না। সম্প্রতি এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফ হোসেন খান। এবার তাহলে রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। ইনহেলার কী- এটি হচ্ছে শ্বাসের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণের জন্য ছোট্ট একটি যন্ত্র। এতে সালবিউটামল বা সালমেটেরল বা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ থাকে। এই ওষুধ এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত থাকে, যা গ্যাস হিসেবে মুখ দিয়ে গ্রহণ করতে হয়। ওষুধ মিশ্রিত গ্যাস শ্বাসনালীতে প্রবেশ করার পর শ্বাসনালির সংকোচন প্রতিরোধ হয়। ইনহেলার ব্যবহার করলে কী রোজা ভেঙে যাবে: রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামিক পণ্ডিত একমত হয়ে জানিয়েছেন, যদি কারও শ্বাসজনিত দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকে যেমন, অ্যাজমা ও সিওপিডি থাকে, তাহলে তিনি ইনহেলার ব্যবহার করতে পারবেন এবং এতে রোজা ভাঙবে না। এ বিষয়টি বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালেও প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি রোজার সঠিক অংশ হিসেবে ঠিকভাবে ওষুধ গ্রহণ না করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারে। তখন ওই ব্যক্তির পক্ষে রোজা রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তবে মূল কথা হচ্ছে, ইনহেলার খাদ্যের পরিপূরক নয়। ইনহেলার ব্যবহারের নিয়ম- অধিকাংশ অ্যাজমা ও সিওপিডির ওষুধ দিনে দুবার গ্রহণ বা সেবন করতে হয়। এ জন্য রোজার সময় চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে সেহরি ও ইফতারের সময় ইনহেলার নেয়ার সময় নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আবার সালবিউটামলজাতীয় ইনহেলার যেসব উপসর্গ অনুযায়ী সেবন করতে হয়, সেসব রোজা রাখা অবস্থায় নিলে তাতে রোজা ভাঙে না। ধর্মীয়ভাবে এ ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, এ জন্য চিকিৎসার অংশ হিসেবে এই ধরনের রোগীকে যদি কোনো চিকিৎসক ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি পালন করা উচিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯

ব্যবহার সনদ ছিল না বেইলি রোডের সেই ভবনের
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুন লাগা গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ২০১৯ সালে অভিযান চালিয়েছিল রাজউক। সে সময় ভবন তৈরিতে অনিয়মের কারণে ওই ভবনের অননুমোদিত অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ভবনটিতে ছিল না রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাত তলা ওই ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটিতে অগ্নিনির্গমন পথ ছিল না। সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারসহ নানা ধরনের মালামাল রাখা ছিল। নিচতলায় আগুন লাগলে ওই সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারেনি মানুষ। আটকা পড়ে ধোঁয়ার বিষক্রিয়ায় অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। অপরদিকে রাজউক জানিয়েছে, ভবনটিতে অফিসের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। রেস্তোরাঁর জন্য কোনো অনুমোদন ছিল না। কিন্তু গ্রিন কোজির বিভিন্ন ফ্লোরে রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলার চা-কফির দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম রোববার (৩ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, নিয়ম ভঙ্গ করায় ওই ভবনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, পরে সেখানে অভিযানও চালানো হয়। রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ওই ভবনটি অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়নি। এছাড়া তারা কিছু আনঅথোরাইজড কনস্ট্রাকশন করেছিল। এ কারণে আমরা অভিযান চালিয়ে ওই অংশটুকু ভেঙে দিই। ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের পর ব্যবহার বা বসবাসের আগে ব্যবহার সনদ বা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিতে হয়। একটি ভবন সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে কি-না, ভবনটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই দেওয়া হয় অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা ব্যবহার সনদ। রাজউক আরও জানায়, ২০১১ সালে গ্রিন কোজি কটেজ বেইজমেন্টসহ আট তলার অনুমোদন নেওয়া হয়। আবাসিক কাম বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া ওই ভবনটির নিচ তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক এবং উপরের অংশ আবাসিক ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে ভবনের কাজ শেষ হয়। রাজউকের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট না নিয়েই ওই ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ কারণে ভবন মালিককে ২০১৯ সালে নোটিস দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

বাংলাদেশের সমুদ্র ও স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর এবং দুটি (বাংলাবান্দা ও বুড়িমারী) স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল। সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশের নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের অনেক অ্যানগেইজমেন্ট আছে। নেপালের প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দরের ব্যাপারে নেপালের খুব আগ্রহ রয়েছে। নেপাল ভূমি বেষ্টিত একটি দেশ। তারা মূলত মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চায়। এ ছাড়া তারা বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহার করতে চায়। বন্দর ব্যবহার করে তারা পণ্য আনা-নেওয়া করতে চায়। এসব ব্যাপারে তিনি কথা বলেছেন এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) ব্যক্তিগতভাবে বন্দরগুলো পরিদর্শন করেছেন। তিনি চান যাতে দ্রুত এগুলো হয়। আমরাও এটি বাস্তবায়নের গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে এটি নিয়ে কথা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন যে, আমরা কীভাবে ভারতের ২৩ কিলোমিটার ভূমি ব্যবহার করে নেপালের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হতে পারি। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আমাদের একটা মিটিং হবে, সেখানে এই বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নেপাল এখন ফুলবাড়ী পর্যন্ত আসতে পারে, কিন্তু আমাদেরগুলো যেতে পারে না। এ সংকট নিরসনে আমরা তিন দেশ মিলে কাজ করছি। এটা তারা চায়, আমরাও সেটা চাই। এটা হলে বহির্বিশ্বে ব্যবসা বাণিজ্য আরও বেশি স্মুথ হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

বিলাসবহুল গাড়ি আর প্লেনেও ব্যবহার হয় বাংলাদেশের পাট
বিলাসবহুল গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিজেআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য দেন তিনি। এ সময় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পাটজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে পাট নিয়ে আরও গবেষণা করতে দেশের বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বড় সম্পদ। পাট বাংলাদেশের লাভজনক পণ্য। এক সময় নারায়ণগঞ্জকে বলা হতো প্রাচ্যের ডান্ডি। বাঙালি বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জিন রহস্য বা জেনোম কোড উদ্ভাবিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশের পাট ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের বিলাসবহুল বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে। এ সময় পাটখড়ির ছাই বা চারকোলকে গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য অভিহিত করে বাংলাদেশ থেকে চারকোল রফতানি এবং চারকোল থেকে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি এবং জানান, বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন ৩৩ লাখ বেল বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের প্রতি পাটবীজে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পাটবীজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। উন্নতমানের পাটবীজ উৎপাদন ও উদ্ভাবনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইর মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৮

বিচ্ছেদের ১৩ বছর পরেও যে কারণে স্বামীর পদবি ব্যবহার করেন জয়া
ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। অভিনয়ের জাদুতে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ওপার বাংলায়ও নিজের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছেন। সেখানে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। এই অভিনেত্রী  শোবিজ অঙ্গনে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল জয়া মাসউদ নামে। মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের নামের শেষে মাসউদের বদলে জুড়ে নেন আহসান। সেই থেকে তিনি ‘জয়া আহসান’ নামেই দুই বাংলায় সমধিক পরিচিত। ১৯৯৮ সালে ফয়সাল আহসানকে বিয়ের পর সুন্দরভাবেই কেটে যায় এই দম্পতির এক যুগ। কিন্তু বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায় সেই সংসার। শোনা যায়, ২০১১ সালে ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দেন জয়া। যদিও এই বিচ্ছেদের খবর নিয়ে তারা কেউই কখনো মুখ খোলেননি। এদিকে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের পর কেটে গেছে আরও ১৩ বছর। এই লম্বা সময়েও আর নতুন করে বিয়ের কথা ভাবেননি জয়া। শুধু কী তাই? নামের পাশ থেকে এখনও ‘আহসান’ পদবিটা ছেঁটে ফেলেননি জয়া।  জানা যায়, ব্রিটিশ ভারতের ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ পরিবারের সন্তান ফয়সাল আহসানের পুরো নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। এক যুগ ধরে ফয়সাল আহসান জয়ার স্বামী না হলেও জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী এখনো কেন তার নামের অংশ ধরে রেখেছেন? ভক্ত-অনুরক্তদের রয়েছে জানার কৌতূহল। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব কখনোই দেননি অভিনেত্রী। নানা সময়ে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না’ বলে এড়িয়ে গেছেন। এ ছাড়া ফয়সাল আহসানের সঙ্গে কেন তার সংসার টেকেনি, তা নিয়েও কখনো মুখ খোলেননি দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল আহসানরা ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তার পূর্বপুরুষদের হাতেই গড়ে উঠেছিল সদরঘাটে অবস্থিত দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল। এমন একটি পরিবারের বউ হয়েছিলেন জয়া। আর তাই ডিভোর্সের পরও ‘আহসান’ পদবি নাম থেকে মুছে ফেলতে পারেননি।  এদিকে একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, বুটিক হাউজ ও আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। এ ছাড়া সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বলে শোনা যায়।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪২

উন্নয়ন ও মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা আমার কাজ : মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম বলেছেন, আমার কাজ হলো উন্নয়ন দেওয়া মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। আমি গত দুই সেশন সেনবাগে এমপি হয়ে ভালো কাজ করেছি বলে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। এই জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের বেঙ্গল কনভেনশন সেন্টারে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিকের নাম উল্লেখ না করে তার প্রতি ইঙ্গিত করে মোরশেদ আলম বলেন, আপনি আমাকে উন্নয়ন করতে দেবেন না, পথও ছাড়বেন না তাতো হতে পারে না। আমি দেখেছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগমগঞ্জে যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমিও আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মানিক, ছাতাপাইয়া ইউপি আ.লীগ সভাপতি আবদুল আহাদ, অর্জুনতলা ইউপি আ.লীগ সভাপতি সাহেব উল্লাহ ও মোহাম্মদপুর ইউপি আ.লীগ সেক্রেটারি রবিউল হাসানকে দল থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিলাম। তাদের স্থলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাহার উল্ল্যা বাহার,  সিনিয়র সহসভাপতি মাহমুদুল পাটোয়ারী লেবু, ছাতাপাইয়া ইউপি আ.লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হক, অর্জুনতলা ইউপি আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কুতুব উদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদপুর ইউপি আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল হককে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা দিলাম। সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম এমপির সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকারিয়া আল মামুনের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সার্ক চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি জসিম উদ্দিন, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বাহার উল্যা বাহার ও শওকত হোসেন কানন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুল হক পাটোয়ারী লেবু,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির, সেনবাগ পৌর সভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহজাহান পাটোয়ারী, সেনবাগ সরকারি কলেজের সাবেক এজি এস সামছুদ্দিন আহম্মেদ রিয়াদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাবু ছাত্রলীগ নেতা আবু শোয়েবসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সার্ক চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আপনারা চাইলে আমি সোনাইমুড়ীর মতো সেনবাগও দেখতে পারি। সেনবাগে অনেক উন্নয়ন হয়েছে যেসব এলাকায় উন্নয়ন হয়নি সেই এলাকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পরে সেই দিকে নেতাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করবেন যেভাবে
যানজট এবং সময় বাঁচাতে রাজধানীতে মেট্রোরেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এই সময়কে আরও বাঁচাতে এবং প্রতিবার টিকেট কাটার ঝামেলা এড়াতে ব্যবহার করা যায় র‍্যাপিড পাস কার্ড। র‍্যাপিড পাস হলো নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন বা কম দূরত্বের যোগাযোগের জন্য একটি সর্বাধুনিক স্মার্ট কার্ড। এটি তৈরি করেছে জাপানের সনি কোম্পানি। বাংলাদেশে গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকেটিং (এক কার্ডে সব যোগাযোগ) ব্যবস্থা প্রবর্তন ও ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে এই র‍্যাপিড পাস প্রচলন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন গণপরিবহন যেমন- ঢাকা মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিসির নৌযান সার্ভিস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বাস সার্ভিসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পেমেন্ট সুবিধা পেতেই র‌্যাপিড পাস সিস্টেম। এটি স্বাচ্ছন্দ্যে, নিরবচ্ছিন্ন এবং ঝামেলাবিহীন। র‌্যাপিড পাস কার্ড যেভাবে ব্যবহার করবেন-  ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া র‍্যাপিড পাস কার্ড ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন শুরু হয়। এটির মাধ্যমে মেট্রো, রেল, বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের ভাড়া দেওয়া যায়। এটি অনেকটা ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতো কাজ করে। মেট্রোরেলের একটি স্টেশনে এই কার্ড পাঞ্চ করে ঢোকার পর ভ্রমণ শেষে অন্য স্টেশনে নামার সময় গেটে পাঞ্চ করলে নির্ধারিত ভাড়া কেটে রাখে। এই কার্ড ব্যবহার করে বাসে যাতায়াত করলেও একইভাবে ভাড়া প্রদান করতে হয়। যাত্রী বাসে ওঠার সময় কার্ডটি বাসে রাখা মেশিনে পাঞ্চ করলে সবুজ বাতি জ্বলে উঠে। আবার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নামার সময় পাঞ্চ করলে কার্ড থেকে পূর্বনির্ধারিত ভাড়া কেটে নেওয়া হয়। রাজধানীর মতিঝিল থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত বিআরটিসির এসি বাস এবং গুলশান, বনানী, নতুন বাজারের মধ্যে চলাচলকারী ‘ঢাকা চাকা’ বাসে এই র‍্যাপিড পাস কার্ডের ব্যবহার চালু হয়েছিল ২০১৮ সালে। র‌্যাপিড পাস কার্ড পেতে যা করবেন- র‍্যাপিড পাস কার্ড পেতে প্রথমে নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে এই ঠিকানায় গিয়ে খুব সহজেই ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তারপর সেটি পূরণ করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের শাখায় জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিন্মবর্ণিত শাখা বা উপশাখাগুলো থেকে র‍্যাপিড পাস কিনতে পারবেন। উওরা সোনারগাঁও জনপদ শাখা, উওরা শাখা, রবীন্দ্র সরণি শাখা, পল্লবী শাখা, মিরপুর, মিরপুর সার্কেল ১০ শাখা, ইব্রাহিমপুর শাখা, শেওড়াপাড়া শাখা, কর্পোরেট শাখা, মতিঝিল, ইন্দ্রিরারোড শাখা, খালপাড় উপশাখা, উত্তরা, তালতলা উপশাখা, কাফরুল, সচিবালয় ফাস্টট্র্যাক। এছাড়া দিয়াবাড়ি এবং আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের ডিবিবিএল বুথ থেকেও র‍্যাপিড পাস কেনা যাবে।  র‌্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে- মেট্রোরেলের টিকেট বিক্রয় মেশিন (Ticket Office Machine, Ticket Vending Machine) থেকে র‍্যাপিড পাস কার্ড রিচার্জ করা যাবে। র‌্যাপিড পাসের প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা কার্ডের মূল্য এবং প্রাথমিকভাবে রিচার্জ করে দেয়া হবে ২০০ টাকা। একটি কার্ড একবারে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা রিচার্জ করা যাবে। তবে কার্ডের ব্যাল্যান্স ১০,০০০ টাকার বেশি হতে পারবে না। কার্ডে অপার্যাপ্ত ব্যাল্যান্স থাকলেও কার্ড ব্যবহারকারী প্রতিবার রিচার্জে একবার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পরবর্তী রিচার্জে ওই পরিমাণ টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হবে।    কার্ড রিচার্জ করতে ভুলে গেলে যা করবেন-  অনেক সময় দেখা যায় কার্ড রিচার্জ করতে মনে থাকে না এবং হাতেও সময় নেই। এক্ষেত্রে সমস্যার কিছু নাই। কার্ড টাচ করে যাতায়াত করতে পারবেন। যাতায়াতের যে ভাড়া সেটি নেগেটিভ হিসেবে কার্ডে থাকবে। যখন কার্ড রিচার্জ করা হবে তখন সয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেবে। ভাড়া ধার নেয়া যাবে একবার রিচার্জ করার আগ পর্যন্ত।   র‍্যাপিড পাস কার্ডের ব্যালেন্স চেক-  টিকেট ভেন্ডিং মেশিন অথবা টিকেট কাউন্টার থেকে কার্ডের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এজন্য ভেন্ডিং মেশিনের নির্ধারিত স্থানে কার্ডটি রাখুন। এরপর ডিসপ্লে মনিটরের “Card Information” বাটনে টাচ করুন। এখান থেকে “Card Balance” অপশনটি বাছাই করুন। মনিটরেই আপনার কার্ডের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন।   ক্ষতিগ্রস্ত কার্ড পুনঃপ্রদান-  কোনো কার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে ব্যবহারকারী সেটি অপারেটরকে ফেরত দিয়ে নতুন কার্ড নিতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে পুনঃপ্রদান ফি বাবদ ২০০ টাকা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে অপারেটর নতুন কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দেবেন। হারানো কার্ড ফেরত পেতে যা করবেন-  র‍্যাপিড পাস কার্ড হারিয়ে গেলে ব্যবহারকারী ২০০ টাকা ফি এবং ২০০ টাকা পুনঃপ্রদান ফি দিয়ে কার্ড তুলতে পারবেন। অপারেটর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নতুন প্রদান করা কার্ডে পূর্বের ব্যালেন্স স্থানান্তর করে দেবেন।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়