• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত মো. নাহিদ হোসেন (২৩) উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বয়ারচর গ্রামের নুরু বেপারী বাড়ির মো. বেলালের ছেলে।   শুক্রবার (১২ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদনগর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মো. গোলাম মোর্শেদ।     প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামি ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৭ এপ্রিল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ভিকটিমের মা পারিবারিক প্রয়োজনে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে যান। এ সময় নির্যাতিতা কিশোরী তার নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কাজ শেষে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা নিজ ঘরে এসে ভিকটিমের কান্না দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম জানায় বিকেল ৪টার দিকে বসতঘরের দরজা খোলা থাকায় নাহিদ ঘরে প্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোরীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি পলাতক ছিলেন। র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০

‘দেশের পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার’
দেশের পাহাড়ি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ব্যাংক ডাকাতি, থানায় হামলা, অস্ত্র লুটপাট ও অপহরণের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। রংপুরে সাত দিনের সফরের ১ম দিনে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। সে হিসেবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সুশাসনের অভাব এবং সরকারের জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত হচ্ছে।  জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো দুর্ঘটনা এখন আর কোনো দুর্ঘটনা না এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদাসিনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণে বারবার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, থানায় হামলাসহ সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।  সে সমস্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক মোবাশ্বর হাসানসহ জেলা ও মহানগরের স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩

ব্যর্থ হলো রাজধানীর ট্রাফিক ডিজিটালাইজের প্রকল্প (ভিডিও)
ব্যর্থ হয়েছে রাজধানীর ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা ডিজিটালাইজ করার প্রকল্প। ৫২ কোটি টাকা খরচ করে ফলাফল ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে এটি কার্যকর হয়নি বলে দাবি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএ’র। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই প্রকল্প নেয়ার কারণে এমন ব্যর্থতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর চত্বরের চারপাশে বসানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেমের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, অত্যাধুনিক শব্দধারণ যন্ত্র, বাতি, বিশেষায়িত তার ও খুঁটি। এমন আয়োজন দেখে মনে হতেই পারে উন্নত বিশ্বের কোনো মোড়।   কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের ভিত্তিতে যানবাহনের চাপ নির্ধারণই ছিল উদ্দেশ্য। অথচ পাঁচ বছরের বেশি সময় অলস পড়ে আছে অত্যাধুনিক এসব যন্ত্র। সংকেতবাতি বন্ধ, খুঁটিতে ঝুলছে অলস ক্যামেরা। আধুনিক বাতির নিচে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক সদস্যরা। গুলিস্তান মোড়ে ডিজিটাল সিস্টেমের অবস্থা পুরাই নাজুক। এখানে কয়েকটি বাতি ছাড়া পাওয়া যায়নি কিছুই। বাকি দুটি মোড় মহাখালী ও পল্টনের অবস্থাও অনেকটা একই। বেশিরভাগ যন্ত্র পাওয়া যায়নি এসব মোড়েও। অথচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, সবকিছুই বসানো হয়েছিল। ২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশান-এক, মহাখালী, পল্টন ও গুলিস্তান মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ‘ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। নয় বছরে চার দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ কোটির প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা খরচ করেও কোনো সুখবর দিতে পারেনি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ।  ঢাকায় এই পদ্ধতির সংকেতবাতি আদৌ চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, অযান্ত্রিক যানবাহন যদি সিগনালে থাকে এবং যখন সবুজ সংকেত পায় তখন তাদের গতি কিন্তু কাছাকাছি থাকতে হবে। রিকশার গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার আর মোটরসাইকেলে গতি যদি ৬০ কিলোমিটার হয় তাহলে এই সিগনাল কোনোভাবেই কাজ করার সুযোগ নেই। একেবারে অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৬

জাতীয় দলের পর ডিপিএলেও ব্যর্থ লিটন
অফফর্মে কারণে একদিন আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। নতুন বলে অধারাবাহিক হওয়ার কারণেই ৫০ ওভারের সংস্করণে নির্বাচকদের আস্থা হারিয়েছেন তিনি। দল থেকে বাদ পড়ার পরই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ফিরেছেন ক্ল্যাসিক এই ব্যাটার। তবে ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি উইকেটকিপার এই ব্যাটার। রোববার (১৭ মার্চ) বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শাইনপুকুরের মুখোমুখি হয় আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। জবাবে আবাহনীর হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন নাঈম শেখ ও সাব্বির হোসেন। তবে ১১ বলে ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাব্বির। এরপর ক্রিজে নামেন লিটন। ওয়ান-ডাউনে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় দল থেকে সদ্য বাদ পড়া উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারকে শুরু থেকেই রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে। আরাফাত সানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে মোটের ওপর ৫ রান। উল্লেখ্য, আগামী ২২ মার্চ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট সিরিজ। সেই সিরিজের আগে ডিপিএল-ই নিজেকে প্রমাণের সুযোগ লিটনের। কিন্তু সেখানেও সফল হতে পারলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

ফের ব্যর্থ তামিম
ব্যাট হাতে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এবারও প্রাইম ব্যাংকের হয়ে খেলছেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে মোটেই সুবিধা করতে পারছেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার।  এর আগে ১৭ ও ১৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন তিনি। এবার দুই অঙ্কের কোটাই পেরোতে পারলেন না। মাত্র ৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন দেশসেরা এই ওপেনার। রোববার (১৭ মার্চ) সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ইনিংস গোড়াপত্তনে নেমেছিলেন তিনি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬ রানে শেষ তামিমের এই ম্যাচের চ্যাপ্টার। চলতি মৌসুমে টানা তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন তামিম। প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ২৬ বলে ১৭ রানে হাসান মুরাদের বলে অমিত হাসনের মুঠোবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তবে তামিমের ব্যর্থতার দিনে ৭১ রানে পেয়েছিল তার দল। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যানজটের কারণে দেরিতে মাঠে পৌঁছান তিনি। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষের সেই ম্যাচে তামিমের পরিবর্তে পারভেজ হোসেন ইমন ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন। সুযোগ লুফে নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ১৫১ রান করেছিলেন ইমন। এদিন আরেক ওপেনার শাহাদত হোসেন দিপুও সেঞ্চুরি করেছিলেন।  তবে এদিনও ব্যর্থ তামিম। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে ১৬ রানে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে আবু জায়েদ রাহির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ব্যাটার। ওই ম্যাচে ১৬৫ রানে জয় পেয়েছিল তামিমের দল। তামিম ব্যক্তিগতভাবে ভালো না করলেও চলতি ডিপিএলে দলগত সাফল্য পাচ্ছে প্রাইম ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে তামিমের ভাষ্য, মাত্র মৌসুম শুরু অবশ্যই আমি চাইবো বড় রান করার, বেশ অনেকগুলো রান করার। মাত্র দুটো ম্যাচ গেছে একটা বড় স্কোর হলে আমিও স্বস্তিবোধ করবো। দেখা যাক, আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে খুশি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫০

পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার : মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিদ্যুৎসহ সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার ও তার মন্ত্রীরা।  রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়, প্রবাসীদের ভাবনা, সংকট ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ক্ষমতায় যারা আছে, তারা সাধারণ মানুষকে ভালোবাসে না। এখানে যারা অন্ধ তারাই সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে। বলে খেজুর খাওয়ার দরকার নেই বরই খাও, তার তো রাখাল হওয়ারও যোগ্যতা নেই, সে মন্ত্রী হয়ে বসে আছে। সরকারের সমালোচনা করে মান্না আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মজুত করে তাদের গণপিটুনি দাও। কিন্তু যারা দামের প্রতিবাদ করেছে তাদেরই গণপিটুনি দিয়েছে। জেলখানায় মানুষ মারা যাচ্ছে, সরকার বলছে-জন্মালে তো মরবেই। বাজারের আগুন লেগেছে, সরকার কিছুই করতে পারবে না। ৭-৮টা কোম্পানি ইমপোর্ট না করলে বাজার খালি। আলোচনা সভায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, চিটাগাং পোর্টে শনিবার (৮ মার্চ) সর্বনিম্ন জাহাজ এসেছে। তার মানে আমদানি কমছে। আমদানি কমেছে মানে বৈদেশিক মুদ্রা নেই। যদিও কেউ কেউ বলছে- রিজার্ভ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। যদিও আমরা সঠিক কোনও তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের গরম গরম কথা বলা ছাড়া আর কিছু বলার সক্ষমতা নেই মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের মতো এত সস্তা শ্রমিক পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না। বিদেশে গিয়েও তারা হয়রানি, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমরা যদি বলতে পারতাম- আমাদের একজন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা আর শ্রমিক পাঠাবো না। তাহলে আমাদের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হতো।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

ব্যর্থ প্রেমের দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন
পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। নিজের ইতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ডেইলি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। কারণ দুয়ারে হাজির হয়েছে ‘ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়ানো দিন।’ বলা যায়, ভাঙা হৃদয়কে নতুন করে সারিয়ে তোলার দিন আজ। ভালোলাগা থেকে যে প্রেমের গল্প, অনেকের জীবনে তা ব্যর্থতার গল্পে পরিণত হয়। এরপর মানুষটি হতাশ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ভুল পথে পা বাড়ান। কিন্তু জীবন সুন্দর। এই সুন্দরকে আরও সুন্দর করে তুলতে বেদনাদায়ক স্মৃতিকে বিদায় জানাতে হয়। নিজেকে খুঁজে নিতে হয় নতুন কোনো ভালোলাগায়, ভালোবাসায়। ডেজ অব দ্য ইয়ারের তথ্য, প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর খুব বেশি ভেঙে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার অধিবাসী জেফ গোল্ডব্ল্যাট। দুঃখভারাক্রান্ত মানুষটা ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন এমন কিছু করতে, যা তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এ সময়ই তার মাথায় আসে ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ গোছের একটা দিবস চালুর ভাবনা। ভাবলেন, তিনি তো একা নন, এমন বেদনাহত মানুষ আছে প্রচুর। তারাও হয়তো ব্যাপারটা থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। জেফ একটি কবিতা লিখলেন এবং একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে পোস্ট করলেন।  সাড়া পেতে বেশি সময় লাগেনি গোল্ডব্ল্যাটের। অনেক মানুষ গোল্ডব্ল্যাটের কবিতায় সাড়া দেন এবং একাত্মতা পোষণ করেন। এরপর ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বিচিত্র এই দিবস নিয়ে ফিচার প্রকাশ করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় দিনটি। হ্যাঁ, দিনটি ছিল ৯ মার্চ। সচেতনভাবেই ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং এপ্রিল ফুল ডে-র মাঝামাঝি একটা তারিখকে বেছে নিয়েছিলেন জেফ। আজ সেই দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন (গেট ওভার ইট ডে)। যারা হৃদয় ভাঙার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, আজকের দিনকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন তারা। পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। এই দিনটিই হোক বিরহ যাপনের শেষ দিন। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২২

দুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ অপু বিশ্বাস
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘বিউটি কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। এক দশকের বেশি সময়ে প্রায় ১০০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা। রাজনৈতিক মাঠেও সরব হয়েছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতেও দেখা গেছে তাকে। এবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বগুড়া ৬ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ এই নায়িকা।  সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন অপু। সে সময় বলেছিলেন, আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলাম। এবারও মনোনয়ন কিনতে চাই। মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই জানেন, আমি মনে-প্রাণে আওয়ামী লীগ ধারণ করি। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস, এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে। এর আগে ২০১৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু সেবারও তার ভাগ্য সহায় হয়নি। এদিকে, অপু বিশ্বাসের পাশাপাশি মনোনয়ন কেনার দৌড়ে ছিলেন নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছিলেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারীর নাম ঘোষণা করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনীত তালিকায় অভিনেত্রীদের কারও নাম নেই। একজনও এই আসনে মনোনয়ন পাননি। তবে শোবিজ থেকে অভিনেত্রী তারানা হালিম পেয়েছেন। এর আগে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৪৯ জনের সঙ্গে বৈঠক করেন। রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়), দ্রোপদী দেবি আগরওয়াল (ঠাকুরগাঁও), আশিকা সুলতানা (নীলফামারী), রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট) আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক, কোহেরী কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর), জারা জেবিন মাহবুব (চাপাইনবাবগঞ্জ), রুনু রেজা (খুলনা), ফরিদা আক্তার বানু (বাগেরহাট), ফারজানা সুমি (বরগুনা), খালেদা বাহার বিউটি (ভোলা), নাজনীন নাহার রোশা (পটুয়াখালী) ফরিদা ইয়াসমিন (নরসিংদী), উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ), নাদিরা বিনতে আমির (নেত্রকোনা), মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট), পারভীন জামান কল্পনা (ঝিনাইদহ) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আরমা দত্ত (কুমিল্লা), লায়লা পারভীন (সাতক্ষীরা), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা) সদ্য সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, বেদৌড়া আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ), শবনম জাহান (ঢাকা), পারুল আক্তার (ঢাকা), সাবেরা বেগম (ঢাকা), শাম্মী আহমেদ (বরিশাল) আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক, নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা), ঝর্ণা আহসান (ফরিদপুর), ফজিলাতুন নেছা (মুন্সীগঞ্জ) সদ্য সাবেক মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী, সাহেদা তারেক দিপ্তী (ঢাকা), অনিমা মুক্তি গোমেজ (ঢাকা), শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা), মাসুদা সিদ্দিক রোজি (নরসিংদী) তারানা হালিম (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, শামসুন নাহার (টাঙ্গাইল) আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক, মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর) নির্বাচনের পরাজিত হয়েছিলেন, অপরাজিতা হক (টাঙ্গাইল) হাসিনা বারী চৌধুরী (ঢাকা), নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ), রুমা চক্রবর্তী (সিলেট), ফরিদুন্নাহার লাইলী( লক্ষ্মীপুর) আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক, আশরাফুন নেছা (লক্ষ্মীপুর), কানন আরা বেগম (নোয়াখালী), শামীমা হারুন লুবনা (চট্টগ্রাম), ফরিদা খানম (নোয়াখালী), দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম), ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম) আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক, ডরথি তঞ্চঙ্গা (রাঙামাটি), সানজিদা খানম (ঢাকা) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন, নাছিমা জামান ববি (রংপুর)। কানন আরা বেগমের নামটা স্বতন্ত্র থেকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২

ধর্ষণের আইনি সংজ্ঞা নিয়ে একমত হতে ব্যর্থ ইইউ দেশগুলো
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নতুন নীতিমালার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলেও ধর্ষণের একক কোনো সংজ্ঞার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি ইইউ দেশগুলো৷ এতে নারীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা কয়েক মাস ধরে আলোচনা করছিল৷ এই বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন৷ তাই সেটি ছাড়াই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অভিন্ন গাইডলাইন বা নীতিমালা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের কাছে আলোচনার এই ফলাফল তুলে ধরেছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ সদস্য ফ্রান্সেস ফিটজগেরাল্ড৷ তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে যে, নারীর প্রতি সহিংসতাকে আমরা আমাদের সমাজের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব৷ তবে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্লামেন্টের রক্ষণশীল দল ইউরোপীয় পিপলস পার্টির এই ভাইস-প্রেসিডেন্ট৷ বলেন, ধর্ষণের সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার বিষয়টি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ধর্ষণ বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন৷ ইইউর বিভিন্ন দেশের ফৌজদারি আইনে ধর্ষণের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে৷ নতুন করে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতেও এর পরিবর্তন হচ্ছে না৷ আলোচনায় ধর্ষণের একক সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়েছে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা দ্য কাউন্সিল অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন৷ শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ নারী অধিকার এনজিও ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির ২০২৩ সালের অক্টোবরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রের আইন ধর্ষণের ক্ষেত্রে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থন করে৷ অর্থাৎ, যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই নারীর পরিষ্কার সম্মতি থাকতে হবে৷ এই দেশগুলোর মধ্যে আছে, সুইডেন, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস৷ অন্যদিকে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া না মানে না এমন নীতি অনুসরণ করে, যেখানে ধর্ষণের শিকার বা অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি যৌনকর্মে মৌখিক আপত্তি জানিয়েছিলেন৷ ইউরোপিয়ান উইমেনস লবির তথ্য অনুযায়ী, বাকি ১১টি দেশে সহিংসতা প্রতিরোধ বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে ধর্ষণের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে দেখা হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ইটালিসহ পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ৷ ২০২২ সালে ইউরোপীয় কমিশন এই বিষয়ে একটি অভিন্ন আইনেরপ্রস্তাব রাখে৷ এর মূলে ছিল নারীর প্রতি সহিংসতা ও গৃহ সহিংসতা রোধে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে ইইউর সব দেশের গ্রহণ করা ইস্তাম্বুল কনভেনশনের লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করা৷ সদস্য দেশগুলোর মতপার্থক্য ইস্তাম্বুল কনভেনশনে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তির সাথে তার অসম্মতিতি যৌন প্রকৃতির কোনো কর্মে লিপ্ত হওয়াকে অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে৷ এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলা সংক্রান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে কোন নারীকে কারো সাথে তার অসম্মতিতে যৌন সংসর্গে বাধ্য করানো শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে৷ এই প্রস্তাবে শুধু হ্যাঁ মানেই হ্যাঁ এমন নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল৷ কিন্তু ইইউ কাউন্সিল তাদের ২০২৩ সালের মে মাসের প্রতিবেদন থেকে ধারাটি বাদ দেয়৷ দুই সপ্তাহ আগে জার্মানির বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশমান ব্রাসেলসে অনানুষ্ঠানিক এক আলোচনায় বলেছেন, কাউন্সিলের আইনি পরামর্শদাতারা ও অন্য অনেক সদস্য রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইউরোপীয় মৌলিক আইনে এই ধারাটির জন্য আইনি ভিত্তি যথেষ্ট নয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী ফ্রান্স ও হাঙ্গেরিও এই অবস্থান নিয়েছিল৷ অন্যদিকে ফিটজগেরাল্ড জানিয়েছেন, ইইউ সদস্যদের ২৭টির মধ্যে ১৩টি দেশ সম্মতি ভিত্তিক সংজ্ঞার পক্ষপাতি ছিল৷ এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান নিয়ে বাকি সদস্যরা নারী ও নারী অধিকার কর্মীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ জার্মানির ১০০ জন বিশিষ্ট নারী দেশটির বিচারমন্ত্রীকে অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ আর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউরোপিয়ান উইমেন্স লবি বলেছে, নীতিমালা থেকে কাউন্সিলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আটকে দেয়ার সিদ্ধান্তে তারা গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছে৷ সেই সাথে ইস্তাম্বুল কনভেনশন অনুযায়ী সম্মতির ভিত্তিতে ধর্ষণের একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সংজ্ঞা নির্ধারণে পাঁচ নম্বর ধারাটি মুছে ফেলার জন্য ফ্রান্স ও জার্মানির চাপের প্রেক্ষিতে নেয়া সিদ্ধান্ত আপত্তিকর বলে উল্লেখ করেছে তারা৷ সংগঠনটির নীতি ও প্রচার কর্মকর্তা আইরিন রোসালেস এটিকে সম্পূর্ণ ভণ্ডামি বলে অভিহিত করেছেন৷ এর মাধ্যমে সবচেয়ে জঘন্যতম সহিংসতা থেকে নারী ও মেয়েদের রক্ষার সুযোগ শোচনীয়ভাবে হাতছাড়া করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ তবে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধের নতুন এই নীতিমালায় যৌনাঙ্গচ্ছেদ ও জোরপূর্বক বিয়ের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে অনাকাঙ্খিতভাবে অন্তরঙ্গ ছবি ছড়িয়ে দেয়া এবং অযাচিতভাবে আপত্তিকর ছবি পাঠানো এবং সাইবারস্টকিংকে (ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন) বেআইনি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে৷ নীতিমালাটি গৃহীত হওয়ার জন্য তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিল ও পার্লামেন্টে স্বীকৃতি পেতে হবে৷ এরপর সদস্য রাষ্ট্রগুলো তিন বছরের মধ্যে সেটিকে নিজ দেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১

ভালো শুরুর পরও পুঁজি বড় করতে ব্যর্থ দুর্দান্ত ঢাকা
চলমান বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। তবে পরের ম্যাচ থেকে হারের ধারা বজায় অব্যাহত রেখেছে রাজধানীর দলটি। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও সিলেট স্ট্রাইকার্সকে মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ঢাকা। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দুর্দান্ত ঢাকার। ৪ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির হোসেন। তৃতীয় উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ ও সাইফ হোসেন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।  ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হন সাইফ হাসান। বেনি হাওয়েলের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এরপর পিচে টিকতে পারেননি নাঈমও। ২৯ বলে ৩৬ রান করে সামিত প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যালেক্স রোস। ৫ রান করে আউট হন এই অজি ব্যাটার। ১৩ বলে ১০ রান করে আউট হন সাইম আইয়ুব। ১০ বলে ৮ রান করে ফেরেন ইরফান শুক্কুরও। ভালো শুরুর পর শেষ পর্যন্ত লাসিথ ক্রসপুলের ১২ রান এবং তাসকিন আহমেদের ৬ রানে ভর করে ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দুর্দান্ত ঢাকা। সিলেট স্ট্রাইকার্সে হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রেজাউর রহমান রাজা। সামিত প্যাটেল নেন দুই উইকেট। এ ছাড়াও নাইম হাসান ও বেনি হাওয়েল একটি উইকেট শিকার করেন।  
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়