• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান মারা গেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান (৬০) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।  জিয়া রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শহীদ মুনীর চৌধুরী ভবনে থাকতেন। রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়।  জিয়া রহমানের মৃত্যুর খবর পেয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আসেন। শনিবার (২৩ মার্চ) বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জিয়া রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান উপাচার্য।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৪

ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। শনিবার (১৬ মার্চ) ভোরে থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ২ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।  পরিবার সূত্র প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, মরদেহ দেশে আসার পরে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তুলেছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর টিপু মারা গেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু আর নেই। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (এডমিন) মোখলেসুর রহমান বাদল। তিনি বলেন, আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিপু সাহেব মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বার্ধক্য ও ঠান্ডাজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। তার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯

মারা গেছেন সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেন তার ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ।  তিনি বলেন, আজও তানপুরা নিয়ে ভাই সংগীত চর্চা করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী ও শিল্পীর পারিবারিক বন্ধু শামীম আরা নীপা বলেন, সাদি মহম্মদের মা মারা যাওয়ার পর থেকেই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান। তিনি মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না। মা হারানোর বেদনা সম্ভবত তিনি নিতে পারেননি। বুধবার রোজা রাখেন এবং ইফতারও করেন সাদি মহম্মদ। এরপরই তিনি নীরবে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করছি। সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসংগীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একজন কিংবদন্তি শিল্পী ও সুরকার। রবীন্দ্রসংগীতে তার মূল পরিচিতি গড়ে উঠলেও আধুনিক গানেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অসংখ্য রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার কণ্ঠে। সঙ্গে আধুনিক গানও। এ ছাড়াও তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১২ সালে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে পেয়েছেন রবীন্দ্র পুরস্কার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তার বাবা সলিমউল্লাহকে হত্যা করে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মহম্মদ বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী।
১৩ মার্চ ২০২৪, ২২:২৫

‘খাইরুন লো’ গানের গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন
শ্রোতাপ্রিয় গান খায়রুন সুন্দরীর গীতিকার ও বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমার অভিনেতা আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধনী অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। এ গীতিকার ও অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে ব্রেন স্ট্রোক করলে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিন দুপুরে আব্দুল ওয়াদুদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিউয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকায় নেয়া হলে শোকের ছায়া নামে। এরপর বাদ আছর নামাজে জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় এ গীতিকারকে। জানা যায়, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত খাইরুন সুন্দরী সিনেমাতে খাইরুন সুন্দরীর ছোটভাই রফিক চরিত্রে সফল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরী ও অগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন একাধিক ছবির নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার। এছাড়া তিনি নাটক ও কবিতাও লিখতেন। সেই সুবাদে শেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন একজন পরিচিত ও প্রতিভাময় মুখ। তার মৃত্যুর খবরে শেরপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

বোনের মৃত্যুর একদিন পরেই মারা গেলেন অভিনেত্রী
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী ডলি সোহি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) মারা গেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪৮। দীর্ঘদিন ধরেই জরায়ুর ক্যানসারে সঙ্গে লড়াই করছিলেন ডলি। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডলির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে একটি পোস্ট দেয় তার পরিবার।   ওই পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের আদরের ডলি আজ অমৃতলোকে পাড়ি দিলো আমাদের ছেড়ে। ওর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আজ দুপুরেই ওর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’   জানা গেছে, ডলির মৃত্যুর একদিন আগেই জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার বোন অমনদীপ সোহি। এর একদিন পার না হতেই চলে গেলেন তার বড় বোন ডলিও।  ভারতীয় সিরিয়াল ‘ঝনক’-এ কাজ শুরু করেছিলেন ডলি। কিন্তু ক্যানসার ধরা পড়ার পর মাঝপথেই ধারাবাহিকটির ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কারণ, কেমোথেরাপির দেওয়ার পর এক টানা শুটিং করতে পারতেন না এই অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, ভারতের ছোট পর্দার পরিচিত মুখ ডলি সোহি। প্রায় দুই দশক ধরে একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে এমিলি নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তার।     সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৭

গাজায় অনাহারে ২০ জনের মৃত্যু, নীরবে মারা যাচ্ছেন আরও অনেকে 
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পাঁচ মাস পার হচ্ছে আজ। হামাস ধ্বংসের নামে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সেখানকার স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা ও হাসপাতালে। অব্যাহত এ হামলা ও অভিযানে ইতোমধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা।  টানা ৫ মাসের নির্বিচার এ আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি, যেখানে এক তৃতীয়াংশই শিশু। এবার এ মৃত্যুর মিছিলে যোগ হতে শুরু করেছে অনাহারে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পানিশূন্যতা এবং পুষ্টিহীনতায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘোষিত এই মৃত্যুর সংখ্যা শুধুমাত্র হাসপাতালে যারা পৌঁছেছেন বা হাসপাতালে যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যুকেই সামনে আনছে। আরও বহু লোক হাসপাতালে না পৌঁছানোর ফলে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন। এদিকে গাজায় পূর্ণমাত্রার দুর্ভিক্ষ এড়াতে আরও বেশি উদ্যোগী হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। এ ছাড়া দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক পলা গাভিরিয়া বেটানকুর বলেছেন, সামরিক অভিযানে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলবে বিশ্বকে এমন কল্পকাহিনীর ওপর বিশ্বাস পরিত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করার পাশাপাশি নৃশংসতার বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে অবিলম্বে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কর্যকর করাই হবে মানবতার স্বার্থে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।   বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে আল-শিফা হাসপাতালে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু এবং উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৭২ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এতে করে অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনের কাছে হার মেনে গাজায় প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে। তবে, এটা কেবল আনুষ্ঠানিক হিসাব। আরও বহু লোক হাসপাতালে না পৌঁছানোর ফলে অনাহারে নীরবেই মারা যাচ্ছেন।  আশরাফ আল-কুদরা বিবৃতিতে আরও বলেন, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য। সামনে হাজার হাজার মানুষ এইভাবে অনাহারে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে আছেন বলেও সতর্ক করেছেন আল-কুদরা। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবিলম্বে মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

‘গাজায় ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে শিশুরা’
গাজার উত্তরাঞ্চলে শিশুরা খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। ডব্লিউএইচওর প্রধান জানান, তাদের কর্মকর্তারা রোববার (৩ মার্চ) আল-আওদা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এসব হাসপাতালের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। খেতে না পেয়ে এখানে সম্প্রতি ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুরা তীব্র অপুষ্টিহীনতায় ভুগছে। আল-আওদা হাসপাতালের একটি ভবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই এর অবস্থা বিশেষভাবে আতঙ্কজনক। গত রোববার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, দক্ষীণাঞ্চলীয় শহর রাফার একটি হাসপাতালে ১৬তম শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর গাজার শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টির শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি, হাসপাতাল ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষ সামান্য খাদ্য এবং পানি পাচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহেই জাতিসংঘ গাজায় দুর্ভিক্ষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিল। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকা জুড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ (জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ) ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী ছয় শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেছেন, আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে চলমান। অপুষ্টির জন্য গাজা উপত্যকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫৩ জনকে গাজায় আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে অভিহিত করেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:০০

‘গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে’
দখলদার ইসরায়েলের হামলায় গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। শিশুরা ভয়াবহ মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। তারা অনাহারে মারা যাচ্ছে।  বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গাজায় স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এমন আগ্রাসনে গাজায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই অমানবিক যে, সেখানে অনাহারে শিশুরা মারা যাচ্ছে। ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় খাবারের অভাবের ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং উত্তর গাজায় শিশুরা ভয়াবহ মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হয়েছে। হাসপাতালগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে, জাতিসংঘ বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য। গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের আগ্রাসনে সাড়ে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সূত্র : বিবিসি
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬

মাওলানা লুৎফুর রহমান মারা গেছেন
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান মারা গছেনে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মারা যান। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার। এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ১০টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নিজবাড়িতে ব্রেনস্ট্রোক করেন মাওলানা লুৎফুর রহমান। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়। প্রখ্যাত এ আলেমে আল্লামা লুৎফর রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি বক্তা। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে দেশে-বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে। ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের পিতা।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়