• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডাকযোগে দেশে আসা কোটি টাকা টাকা মূল্যের গাঁজার চকলেট-কেক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসির মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)। মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, রোববার (২১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক শাখায় খেলনা বাক্সের একটি পার্সেল আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্সেলটি জব্দ করা হয়। পার্সেলের ভেতরে ছয়টি প্যাকেটে ছিল টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ (আমেরিকার তৈরি), যার ওজন এক কেজি ৩০০ গ্রাম। এছাড়াও ছিল আমেরিকায় তৈরি গাঁজার ৯টি চকলেট ও গাঁজার ১০টি কেক। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। পার্সেলে একটি ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। তবে ঠিকানাটা ছিল ভুল। তাই মোবাইল নম্বর ধরে অভিযান চালায় ডিএনসি। পরে সাভারের আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তিনি জানান, পার্সেলে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, পার্সেলটি তিনি ডেলিভারি নেবেন। পরে তার কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা ছিল রমজান মিয়ার। পরে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। এরপর আমতলা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় রাজকে। রমজান ও ইমরান দুজন বন্ধু। মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী জানান, যে প্যাকেটে মাদকগুলো আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিল সেগুলো ছিল বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট। এটা করার কারণ যাতে কেউ বুঝতে না পারে এসব প্যাকেটে মাদক রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদেশ থেকে গাঁজার কেক, কুশ ও চকলেট এনে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। ডিএনসি ডিজি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় এসব মাদক বৈধ কিংবা অবৈধ সেটি বিষয় না। বাংলাদেশে এই মাদক অবৈধ, তাই বাংলাদেশে এই মাদক পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে এটা অবৈধ জেনেই তারা বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেটে মাদক পাঠিয়েছে। এই পার্সেলটি যে কোনো আমেরিকান নাগরিক পাঠিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। ওখানে বসবাসরত অন্য কোনো দেশের নাগরিকও পাঠাতে পারেন।
৪ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি নেই : যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালের বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি সামনে আসে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নির্বিচারে বা বেআইনি হত্যা, জোরপূর্বক গুম, সরকার কর্তৃক নির্যাতন বা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কারাগারের করুণ অবস্থা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি, অন্য দেশে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে দমনপীড়ন, গোপনীয়তার সাথে স্বেচ্ছাচারী বা বেআইনি হস্তক্ষেপ, কারও অভিযুক্ত অপরাধের জন্য তার পরিবারের সদস্যদের শাস্তি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার বা বিচার, সেন্সরশিপ এবং মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইন কার্যকরকরণ বা হুমকির সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট স্বাধীনতার ওপর গুরুতর নিষেধাজ্ঞা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংগঠন করার স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য খবর রয়েছে। এ ছাড়া চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা; রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর এবং অযৌক্তিক বিধিনিষেধ, গুরুতর সরকারি দুর্নীতি, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর সরকারি বিধিনিষেধ বা হয়রানি; ব্যাপক লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা, শিশু, বাল্য, এবং জোরপূর্বক বিবাহ; স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ এবং শিশুশ্রমের সবচেয়ে কদর্য রূপের অস্তিত্ব বাংলাদেশে রয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গুম ও অপহরণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলেও প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য খবর রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পাশাপাশি সরকার বা সরকারি সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিধিবহির্ভূত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও খবর রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মোট কতজন নিহত হয়েছে, সরকার সেই সংখ্যা প্রকাশ করেনি, আবার ঘটনাগুলো তদন্তে স্বচ্ছ পদক্ষেপও নেয়নি। তবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিগত বছরের তুলনায় কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন এ প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আটজনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালে মৃত্যু হওয়ার কথা বলেছে। অন্যদিকে আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন একই সময়ে ১২ জনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার খবর দিয়েছে। রিপোর্টে ২৬ মার্চ র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে

বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বজুড়ে গত বছর সামরিক ব্যয় ৬.৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব ভৌগোলিক অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর ডয়চে ভেলে।  সিপ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ খরচ করে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর দেশটি ৯১৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এরপরে এ তালিকায় রয়েছে চীনের নাম। চীনরে সামরিক ব্যয় ২৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ১২ শতাংশ। রাশিয়ার সামরিক বয় ১০৯ বিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ। এরপরে রয়েছে ভারত (৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার, ৩.৪ শতাংশ) এবং সৌদি আরব (৭৫.৮ বিলিয়ন ডলার, ৩.১ শতাংশ)। এছাড়া একই সময়ে যুক্তরাজ্য ব্যয় করেছে ৭৪.৯ বিলিয়ন, জার্মানি ৬৬.৮ বিলিয়ন, ইউক্রেন ৬৪.৮ বিলিয়ন, ফ্রান্স ৬১.৩ বিলিয়ন, জাপান ৫০.২ বিলিয়ন, ইসরায়েল ২৭.৫ বিলিয়ন ও পাকিস্তান ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, ওশেনিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ সব অঞ্চলেই সামরিক ব্যয় বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সামরিক ব্যয় বেড়েছে ডিআর কঙ্গোতে (১০৫ শতাংশ)। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়ছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সিপ্রির গবেষক চিয়াও লিয়াং বলেন, মেক্সিকো ও এল সালভেদরে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গ্যাং সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইকুয়েডর ও ব্রাজিলেও একই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে বলেও জানান এই গবেষেক। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ : ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ৬৪.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ইউক্রেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। তবে দেশটি ২০২৩ সালে  সামরিক সহায়তা পেয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে সবমিলিয়ে ইউক্রেন গত বছর সামরিক খাতে খরচ করেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ১০৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে রাশিয়া। তবে জিডিপির হিসেবে দেখা যায়, জিডিপির ৩৭ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ইউক্রেন। সেই তুলনায় রাশিয়ার ব্যয় হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। ফলে ‘যুদ্ধটা রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনের ওপর বেশি বোঝা হয়ে উঠেছে, বলে মন্তব্য করেন লিয়াং। চীন-তাইওয়ান সংকট : দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার কারণে ২০২৩ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে চীনে। চীন তার খরচ আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২৯৬ বিলিয়ন ডলার করেছে। এশিয়া ও ওশেনিয়া এলাকার মোট সামরিক ব্যয়ের অর্ধেক করেছে চীন। সিপ্রির গবেষক লিয়াং বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে চীন। এছাড়া চীন সামরিক ব্যয় বাড়ানোয় জাপান, তাইওয়ান ও ভারতও সামরিক বাজেট বাড়িয়েছে বলে মনে করেন এই গবেষক। সামরিক বাজেট ১১ শতাংশ বাড়িয়েছে জাপান (৫০.২ বিলিয়ন ডলার) ও তাইওয়ান (১৬.৬ বিলিয়ন ডলার)। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নিকলাস শ্যোরনিগ বলেন, আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যখন সামরিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং নিরাপত্তা ইস্যুটি সামরিক কাঠামোর ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। সেই অর্থে সংখ্যাগুলো ওই মানসিকতার প্রতিফলন মাত্র। ইউক্রেন যুদ্ধ, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলা, ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। যেখানে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সেকেলে বা আর কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে হামলা চালানোর চেয়ে প্রতিরক্ষার বিষয়টি বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। 
১৫ ঘণ্টা আগে

ইসরাইলি গণহত্যাকে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : হামাস
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। রোববার (২১ এপ্রিল) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বলে গত শনিবার জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভেটো কার্যকরভাবে তেল আবিবের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করছে।  আনাদোলুর সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়াহ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রতারণামূলক, যদিও দেশটি বলে, তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না, তবে এটি তাদের একটি কৌশল। মার্কিন অস্ত্র, মার্কিন রকেট, মার্কিন রাজনৈতিক সুরক্ষায় গাজায় হাজার হাজার শহিদ ও বেসামরিক সকল নাগরিক নিহত হয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে ইসরায়েল
গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে; সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা অঞ্চলটিতে। সবশেষ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  এরই মধ্যে সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরালের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের আরেকটি স্বাক্ষর রাখলো বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘ ও শান্তিকামী বিশ্বের সব আহ্বানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।  ইতোমধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে এসব সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য একটি প্রস্তাব কংগ্রেসনাল কমিটির সামনে এনেছে। এর আগে ইসরায়েলকে সহায়তায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আরেকটি প্রস্তাব আনা হয় ওই কমিটির সামনে। এদিকে সিএনএনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব তোলে পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদেশ আলজেরিয়া। কিন্তু ভেটো ক্ষমতার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি নস্যাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটির বিষফোঁড়া হয়ে ওঠা দখলদার রাষ্ট্রটি তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় তাদের মার্কিন মিত্রের কাছ থেকে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।  ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের পথ প্রশস্ত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) বহুল সমর্থিত একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের এক ঘণ্টাব্যাপী অধিবেশনে ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় এবং অন্য দুটি দেশ ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত থাকে। খবর আল জাজিরার। প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপ-দূত রবার্ট উড বলেছেন, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনা ছাড়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আর কোনো পথ নেই। উড বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করে আসছি যে, নিউইয়র্কে অকাল পদক্ষেপ নেওয়া, এমনকি সর্বোত্তম উদ্দেশ্য নিয়েও, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করবে না। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী এবং এটি পাসের বিরোধিতা করায় প্রস্তাবটি ব্যর্থ হবে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের ছয় মাসেরও বেশি সময় পরে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়, ইসরায়েল ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং গাজাকে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে নিমজ্জিত করেছে। আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো এটাই প্রমাণ করে যে, ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ‌‘মাই ওয়ে অর দ্য হাইওয়ে’ নীতি রয়েছে। বিশারা বলেন, ফিলিস্তিন কেবল তখনই একটি দেশ হতে পারে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র এটিকে দেখে বা ইসরায়েল এটিকে দেখে, কেবল তখনই যখন এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভূ-রাজনীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক স্বার্থের মধ্যে উপযুক্ত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের অহংকারী ও সংকীর্ণ স্বার্থের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা বিসর্জন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক নয়। কিন্তু জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য একটি আবেদনপত্র নিরাপত্তা পরিষদ এবং পরে সাধারণ পরিষদের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন নিতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোটাভুটির আগে ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি জিয়াদ আবু আমর সমর্থনের আবেদন জানান। আবু আমর পরিষদকে বলেন, আমরা এখনও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও শান্তিতে বসবাসের অধিকার অনুশীলন করতে চাই। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা এই লক্ষ্য অর্জনে মহান ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং অব্যাহত রেখেছে। আবু আমর এই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন যে এই প্রস্তাবটি রাজনৈতিক আলোচনা এবং শান্তির সম্ভাবনাকে বিপন্ন করবে। তিনি বলেন, যারা বলেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হবে আলোচনার মাধ্যমে, জাতিসংঘের প্রস্তাবের মাধ্যমে নয়, তাদের আমরা বলি: ইসরায়েল রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? সেটা কি জাতিসংঘের রেজুলেশনের মাধ্যমে হয়নি, যা ছিল রেজুলেশন ১৮১?  এই প্রস্তাব আলোচনা ও অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের বিকল্প হবে না। এই আশা বিলীন হয়ে যাওয়ার পর এটি ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আশা জোগাবে। আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনে কাজ করে যাওয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ার সুযোগ আপনি আমাদের দেবেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে সংস্থাটিকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এই প্রস্তাবকে ৭ অক্টোবর গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলায় জড়িত ‘সন্ত্রাসীদের পুরস্কার’ হিসেবেও বর্ণনা করেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪২

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি। বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে। জো বাইডেন বলেন, যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪৯

যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে বাংলাদেশের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে ‍তুলেছিল বাংলাদেশ; যা আইসিসি কোনো আসরে প্রথম অর্জন টাইগারদের। এই সাফল্যের পেছনের অন্যতম নায়ক ছিলেন হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল। এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোচ হিসেবে ল-এর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের এই সাবেক কোচের প্রথম প্রতিপক্ষও টাইগাররাই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্র। সেটিই যুক্তরাষ্ট্রের কোচ হিসেবে স্টুয়ার্ট ল-এর প্রথম সিরিজ। এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ল। ছিলেন ২০১২ পর্যন্ত, তার অধীনে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এর বাইরে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের কোচ হিসেবেও অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করেছেন।  ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গেও। এ ছাড়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তার অধীনেই এসেছিল যুব এশিয়া কাপের শিরোপা।  সবশেষ কাজ করেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ হিসেবে। কিন্তু যুব বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তার সঙ্গে আর চুক্তি বৃদ্ধি করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিয়ে ৫৫ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটে যোগ দিতে পারা রোমাঞ্চকর ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম শক্তিশালী সহযোগী দেশ।  ‘আমি বিশ্বাস করি, সামনে আমরা একটা ভয়ংকর দল গঠন করতে পারব। বাংলাদেশ সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই হবে প্রথম কাজ, এরপর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে, যেটা অনেক বড় বিষয়।’ আগামী ২১ মে শুরু হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৩ ও ২৫ মে। সিরিজের সব কটি ম্যাচই হবে টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৪

ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেবে ইসরায়েল, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল দেশটিতে ‘সীমিত আকারে’ হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর সিএনএনের।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ভূখণ্ডে ছোট ও সীমিত আকারে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে ইসরায়েল। দেশটি মনে করছে, ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের একধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেই জবাব দেওয়া দরকার। বাইডেন প্রশাসনের ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবশ্য এও বলেছেন, নিজেদের পরিকল্পনা কী এবং সেটি কখন ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এখনো কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েল। সঙ্গে যোগ করেন, ‘তবে, আমরা আশা করব, তারা (ইসরায়েল) আমাদের একধরনের সতর্কবার্তা দেবে; যাতে আমাদের সেনাদের সুরক্ষায় আমরা প্রস্তুত থাকি। এটি শুধু সামরিক বিষয়েই নয়; বরং পুরো অঞ্চলে আমাদের কূটনৈতিক মিশনের জন্যও জরুরী।’ অবশ্য ইরানে হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল যে তাদের মিত্রদেরকে অবগত করবেই সে নিশ্চয়তা নেই বলেও জানিয়েছেন মার্কিন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েল যে আমাদের আগাম বার্তা দেবে এ নিশ্চয়তা নেই। কখন আমাদের তারা বার্তা দেবে কিংবা আদৌ দেবে কি না, তা শুধু তারাই জানে। তবে ইসরায়েল যা করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সম্ভবত আবারও আমাদের আপত্তির কথা জানাব।’ মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালায়, উত্তেজনা কমে আসবে এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে  বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এই মুহূর্তে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে যেকোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ অন্যান্য পাল্টাপাল্টি ঘটনার দুয়ার খুলে দেবে; যার কয়েকটি খুবই ভয়ংকর।’ প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশ'র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখন্ডে এর আগে আর কখনও সরাসরি হামলা চালায় নি দেশটি।  ইতিমধ্যে ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে কোথায় ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি তারা। আজ বুধবার এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বসবে মন্ত্রিসভা। দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নতুন করে। ইরানে পাল্টা হামলা না করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও। এদিকে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। আর দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানি বলেছেন, ইসরায়েল হামলা চালালে এবার জবাব দিতে আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না তেহরান। সেকেন্ডের মধ্যে পাল্টা আঘাত করবে তারা।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৭

সোলসের গানে মাতলো যুক্তরাষ্ট্র
দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডদল সোলস এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি বৈশাখী মেলায় পারফর্ম করেছে। বাংলাদেশ কালচার অর্গানাইজেশন অব মায়ামির বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সোলস প্রায় তিন ঘন্টা গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন। এ সময় দর্শকের অনুরোধের পাশাপাশি এ এমন পরিচয়, ব্যস্ততা দেয় না আমাকে অবসর, নিঃসঙ্গতাসহ বেশকিছু গান পরিবেশন করে সোলস। মিয়ামি বৈশাখী মেলায় পারফর্ম করা প্রসঙ্গে সোলস ব্যান্ডের প্রধান গায়ক পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘মিয়ামিতে বৈশাখী মেলায় এসে মনে হয়নি দেশের বাইরে আছি। এখানকার দর্শকরা দারুণ সঙ্গীতপ্রেমী। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিদেশের মাটিতে বসে দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করছেন। বর্ষবরণের আয়োজন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আয়োজকদেরও ধন্যবাদ জানাই, তারা সোলসের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছেন।’ অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনে ছিল দেশী মিউজিক। বর্ষবরণের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কনসার্ট শুরু করেছে। জানা গেছে, আগামী ২০ এপ্রিল ভার্জিনিয়ায় ঈদ আনন্দ মেলায় পারফর্ম করবে সোলস।  আর আগে গত ১১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছায় সোলস। এবারের সফরে রয়েছেন পার্থ বড়ুয়া, মীর মাসুম, আহসানুর রহমান আশিক, মারুফ তালুকদার রিয়েল ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শামীম আহমেদ।   এদিকে, শিগগিরই ভক্তদের জন্য নতুন গান প্রকাশ করতে যাচ্ছে সোলস।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়