• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আর্সেনালকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গী বায়ার্ন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার লড়াই থেকে আগেই পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। এবার ছিটকে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করলেও, দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে জার্মান জায়ান্টরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলতে থাকে দুই দল। আগে রক্ষণভাগ সামলানো পরে গোলের চেষ্টা এই কৌশল নিয়েছিল তারা। তবে আক্রমণে উঠছিল একটু সময় নিয়ে। সেগুলো সহজেই সামাল দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণ। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে দূরপাল্লার আচমকা শটে গোলের চেষ্টা করেন জামাল মুসিয়ালা। সেটা ঝাঁপিয়ে ঠেকান আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া। লক্ষ্যে এটাই ছিল প্রথম শট।   পাঁচ মিনিট পর মার্টিন ওদেগোরের শট একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে দূরের পোস্ট ঘেঁষে একটু বাড়তি বাউন্স করে জালে যাচ্ছিল। তবে সতর্ক মানুয়েল নয়ার ভালোভাবেই সামাল দেন পরিস্থিতি।  ৩১তম মিনিটে ওদেগোরের পাসে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে সরাসরি নয়ার বরাবর শট নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জালের দেখা পেয়ে যাচ্ছিল বায়ার্ন। ৪৭তম মিনিটে লেয়ন গোরেটস্কার জোরাল হেড ফেরে ক্রসবারে লেগে। ফিরতি বলে রাফায়েল গেরেইরোর শট ব্যর্থ হয় রায়ার হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে। ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক বায়ার্ন। লেরয় সানের শট মাথার উপর থেকে হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রায়া। ঠিক মতো পারেননি আর্সেনাল গোলরক্ষক। ছুটে গিয়ে বল ধরে একটু সময় নিয়ে দূরের পোস্টে ক্রস করেন গেরেইরো। দারুণ গতিতে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিকে এড়িয়ে জোরাল হেডে জাল খুঁজে নেন কিমিখ।  ৮৭তম মিনিটে কাছ পোস্ট ঘেঁষে ওদেগোরের চমৎকার শট নয়ারের হাত ছুঁয়ে বাইরে চলে যায়। তবে কর্নার দেননি রেফারি! বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এতে সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদকে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাই ফাইনালে উঠতে হলেও এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ শিরেপাধারীদের কাছে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে জার্মান ক্লাবটিকে।
২৩ ঘণ্টা আগে

ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ঘরের মাঠে গোল হজমের ধাক্কা সামলে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু সময় পর কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখায় পায় স্বাগতিকরা। এতে ম্যাচ গড়াই অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কেউ পেল না জালের দেখা। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে কোণঠাসা হয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ বাজিমাত করলো টাইব্রেকারে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ম্যানসিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয়লাভ করে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে ৩-৩ ড্রয়ের ফলে ৪-৪ ব্যবধানের কারণে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।   এদিন ম্যাচের শুরুটা দারুণ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে ভালভার্দেকে খুঁজে নেন বেলিংহ্যাম। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার থেকে বল নিয়ে রদ্রিগোকে বাড়ান ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম শট এদারসন ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন।   গোল হজম করে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটি। ১৯তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় তারা। ডি ব্রুইনার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন লুনিন। ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেড নেন হালান্ড, যেটি গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি শটে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন বের্নান্দো সিলভা। ২৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারত রিয়াল। তবে ভিনিসিয়ুসের দেওয়া দারুণ পাস ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি ভালভার্দে।   ২৮তম মিনিটে ডি ব্রুইনা নৈপুণ্যে আরও এক দারুণ সুযোগ পায় সিটি। তবে তার দেওয়া ক্রস ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি হালান্ড। ফলে সহজেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন লুনিন। ৩২তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে গ্রিলিসের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন দানি কারভাহাল। এতে ১-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারীরা।  দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আক্রমণ বাড়ায় ম্যানসিটি। তার সুফলও পায় তারা। তবে অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। ৭৬তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতায় ফিরে ইংলিশ ক্লাবটি। বদলি হয়ে নামা দোকু বল টেনে নিয়ে শট নিলে সেটি ঠেকিয়ে দেন রুডিগার। কিন্তু বক্সে থাকা ডি ব্রুইনা ফিরতি বল লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে নির্ধারিত সময়ে গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।   ৯৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ম্যান সিটি। তবে সিলভার দেওয়া ক্রস ফোডেনের পায়ে লেগে লুনিনের কাছে চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা সময়ে রুডিগারের বুলেট গতির ভলি উপর দিয়ে উড়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে সিটি। ডান দিক থেকে আক্রমণে গিয়ে বল টেনে নিয়ে বক্স থেকে শট নেন আলভারেস। যদিও লুনিন সেটি সহজেই ঠেকিয়ে দেন। পরে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।   উত্তেজনার টাইব্রেকারে আলভারেস শুরুতেই স্পট কিকে সফল হন। কিন্তু রিয়ালের প্রথম পেনাল্টি মিস করেন মদ্রিচ। সিটির পরের পেনাল্টি নিতে গিয়ে লুনিনের হাতে বল তুলে দেন সিলভা। তবে রিয়ালের হয়ে এবার সফল কিক নেন বেলিংহ্যাম। তৃতীয় পেনাল্টিতে সিটির কোভাচিচের স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন লুনিন। আর রিয়ালের হয়ে গোল করেন লুকাস ভাসকেস। পরবর্তীতে সিটির ফিল ফোডেন ও এদেরসন গোল পায়। আর রিয়ালের নাচো ও রুডিগারের পেনাল্টি মিস না হলে আনন্দে ভাসে ক্লাবটি।   গত আসরে এই মাঠেই সেমি ফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সিটি। পেপ গার্দিওলার দলের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান থমকে গেল শেষ আটেই। শেষ হয়ে গেল তাদের ট্রেবল জয়ের আশাও।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪

‘রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যান সিটির ম্যাচটি দুর্দান্ত’
ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ৩-৩ গোলে সমতা হওয়ার পরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচটিকে দুর্দান্ত বলছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচ শেষে আনচেলত্তির ভাষ্য, দু’দলের  জন্যই অবিশ্বাস্য একটি ম্যাচ ছিল। মাঠে যে মানের ফুটবল আমরা দেখেছি, তা নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। অসাধারণ দুটি দল সমানভাবে লড়াই করেছে। আমরা যা করেছি, তাতে সন্তুষ্ট। আশা করি ম্যানচেস্টারে পুনরাবৃত্তি হবে। তিনি আরও বলেন, এটি এমন ম্যাচ, যা জয়ের মতো ছিল। কারণ, ২-১ থেকে ৩-১ করার সুযোগ ছিল আমাদের। তবে ৩-২ গেলে পিছিয়ে পড়ার পর আমরা ম্যাচটি হারতেও পারতাম, যদি ফেরার মতো আত্মবিশ্বাস না থাকতো। দু’দল যেমন খেলেছে, সেটির জন্য এটি সঠিক ফল। আমাদের দ্বিতীয় লেগে একইভাবে খেলতে হবে এবং আমরা দেখবো কি হয়। এদিকে ফিরতি লেগে আগামী ১৮ এপ্রিল মুখোমুখি হবে রিয়াল ও ম্যান সিটি। ওই ম্যাচের বিজয়ী দল শেষ চারে খেলবে। এর আগে, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলের হাইভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল বিশ্ব ফুটবলের সেরা দুই ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৩-৩ গোলের ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৯

চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনালের আগেই ফাইনাল!
বর্তমান বিশ্ব ফুটবলের সেরা দুই ক্লাবের নাম জিজ্ঞেস করলে দুটো নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাবে- রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। গেল ১০ বছরের মাঠের পারফম্যান্সেই ফুটবল বোদ্ধাদের বাধ্য করবে এ নাম দুটো নিতে। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে এই সেরা দুই দলের লড়াই স্বভাবতই রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি, পেপ গার্দিওলার হাত ধরে উঠে এসেছে নয়া উচ্চতায়। শিরোপার ক্ষুধা প্রতি মৌসুমে নবায়ন হয় সিটিজেনদের। গেল মৌসুমে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জেতা সিটিজেনরা এবারও রয়েছে একই রেকর্ডের দৌড়ে।  শত্রুর দুর্গ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামার আগে ছন্দে নেই গোলমেশিন আর্লিং হাল্যান্ড। ডিফেন্ডার নাথান আকে ও জাসকো গিভারদিওলকেও এই ম্যাচে পাচ্ছেন না সিটি বস পেপ গার্দিওলা। তবে ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন গোলরক্ষক এডারসন ও ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। এ ছাড়া ডি ব্রুইনে, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশ, রদ্রি ও আলভারেজের মতো তুরুপের তাস রয়েছে ম্যানসিটির ঝোলায়। তাই আরেকটি আধিপত্যময় পারফম্যান্সের অপেক্ষায় সমর্থকরা। চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ সবসময়ই থাকে ফেভারিটের তালিকায়। শিরোপা পুনরুদ্ধারে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে লস-ব্লাঙ্কোসরা। লা লিগার শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় উৎসাহ বেড়েছে মাদ্রিদিস্তাদের। গেল মৌসুমে সেমিফাইনালে সিটির কাছে ৪ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রিয়াল। এ ম্যাচ তাই প্রতিশোধ মিশন ব্লাঙ্কোসদের জন্য। আর এ মিশনে কার্লো আনচেলত্তির বড় অস্ত্র জুড বেলিংহ্যাম। এ ছাড়া ভিনিসিয়ুস, ভালভার্দে, রদ্রিগোর আক্রমণভাগ যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের কারণ। দ্বিতীয় লেগে ইতিহাদে নামার আগে নিজ দুর্গের ফায়দা তোলার বাসনা রিয়াল মাদ্রিদের।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬

চ্যাম্পিয়নস লিগে কঠিন প্রতিপক্ষ পেলো বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বলা হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগকে (ইউসিএল)। চলতি মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আটটি হেভিওয়েট দল। তবে শেষ আটের লড়াইয়ে সব থেকে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়োর্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মিলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস। কারণ, গতবারের ইউসিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদ। আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা খেলবে পিএসজির বিপক্ষে। গত আসরের রানার্সআপ ইন্টার মিলাকে বিদায় করে কোয়ার্টারে পা রাখা অ্যাথলেটিকোও পেয়েছে বড় প্রতিপক্ষ। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের টপকাতে হবে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দেয়াল। এর আগে পিএসভিকে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছিল বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক শক্তিশালী ক্লাব আর্সেনালের প্রতিপক্ষ জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। তার মানে গানারদের সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে সাবেক টটেনহ্যাম তারকা ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গে।  এবার কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে ৯–১০ এপ্রিল, দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দলগুলো মুখোমুখি হবে ১৬–১৭ এপ্রিল। এরপর ৩০ এপ্রিল ও ১ মে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৭–৮ মে দ্বিতীয় লেগের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১ জুন হবে ইউসিএল ফাইনাল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

চার গোলের ম্যাচে সেল্টা ভিগোকে হারালো রিয়াল মাদ্রিদ
চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপা জয়ের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিরানোর থেকে সাত পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে ভিনি-রদ্রিগোরা। সবশেষ সেল্টা ভিগোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। রোববার (১০ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ম্যাচজুড়ে আক্রমণের ঝড় বইয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২১তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কর্নার থেকে রুডিগারের হেড গুয়াইতা পা দিয়ে ঠেকানোর পর কাছ থেকে ভিনিসিয়ুসের প্রথম শটও আটকে দেন তিনি, ফিরতি শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।  ৩৫তম মিনিটে বক্সের বাঁ-দিক থেকে রদ্রিগোর শট পা দিয়ে ঠেকান গুয়াইতা। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে কামাভিঙ্গার আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ৩৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ৫৫তম মিনিটে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভিনিসিয়ুসকে পেছন থেকে জার্সি টেনে ধরে ফেলে দেন অস্কার মিনগেসা। উঠে দাঁড়িয়ে সেল্তার এই ডিফেন্ডারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন ভিনিসিয়ুস। দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৭৪তম মিনিটে প্রথম পরিবর্তন আনেন আনচেলত্তি। রদ্রিগোর জায়গায় নামানো হয় স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হোসেলুকে। এরপরই দুটি আত্মঘাতী গোল করে বসে সেল্টা ভিগো। বাঁ-দিক থেকে ভিনিসিয়ুসের একটি ক্রস সামনে এগিয়ে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় হাত ছোঁয়াতে পারেননি গুয়াইতা। তার পেছনেই থাকা দোমিঙ্গেসের পায়ে লেগে বল যায় জালে। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে দারুণ ফিনিশিংয়ে শেষ গোলটি করেন গিলের। দানি সেবাইয়োসের পাস বক্সে পেয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। তুরস্কের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগার ম্যাচে গোল করলেন গিলের, ১৯ বছর ১৪ দিন।  ২৮ ম্যাচে ২১ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। সমান ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে জিরোনা। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৯

ড্র করেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাইপজিগে ১-০ গোলে ব্যবধারে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে কোনো রকম ড্র করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ঘরের সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে প্রায় পুরোটা সময়ই ভুগেছে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি। পুরো ম্যাচে ১১টি শট নিয়ে মাত্র তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে রিয়াল। যেখানে লাইপজিগ নেয় ২০ শট, লক্ষ্যে ছিল চারটি। ঘরের মাঠে শুরুটা ভালো হয়নি রিয়ালের। অপরদিকে লাইপজিগ ছিল ছন্দে। বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে তারা। তবে ৪১তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত দলটি। জাভি সিমন্সের বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন আন্দ্রে লুনিন।   বিরতির পরও আগের মতো খেলতে থাকে দুই দল। গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৫ মিনিট পর্যন্ত। জুডে বেলিংহ্যামের বাড়ানো বল বক্স থেকে জালে পাঠিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। যদিও সমতায় ফিরতে খুব বেশি দেরি করেনি লাইপজিগ। তিন মিনিট পর সতীর্থের ক্রসে দারুণ হেডে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করেন লাইপজিগ ডিফেন্ডার অরবান। সমতায় ফেরার পর আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয় লাইপজিগ। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে থেকে শেষ আট নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪১

পাঁচ বছরের চুক্তিতে রিয়াল মাদ্রিদে এমবাপ্পে!
চলতি মৌসুম শেষ না হতেই গুঞ্জন উঠেছিল পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পে। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যিতে রূপ নিয়েছে। পাঁচ বছরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করেছে এই ফরাসি তারকা। এই তথ্য জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা। মার্কার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগেই এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তাতে চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন ক্লাবটির সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। জানা গেছে, গেল এক বছর ধরেই পেরেজের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখেছিলেন এমবাপ্পে। গোপনে চুক্তির পরে পিএসজি ছাড়ার বিষয়টি গেল সপ্তাহে সামনে আনেন ফ্রান্সের এই ফুটবলার। রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি হয়ে যাওয়ার পরেই পিএসজিকে এমবাপ্পে বলেছেন বিরক্ত না করার জন্য। লস ব্ল্যাঙ্কোস শিবির থেকে চলতি বছরের শুরুতে ফরাসি তারকার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমবাপ্পে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। এরপরে পিএসজিকে এমবাপ্পে বলেছিলেন, তিনি কোনোভাবেই পিএসজিতে থাকতে চান না। তাকে যেন কোনো প্রস্তাব না দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে জানা গিয়েছে ২০২২ সালে যেসব সুবিধা এবং যেমন অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছিল, এ দফায় তারচেয়ে অনেক কম প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাই রিয়ালের প্রস্তাব নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবছে এমবাপ্পের প্রতিনিধিরা। তবে এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠিকভাবে এখনও কিছুই জানায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। এমবাপ্পে ফ্রি এজেন্ট হলেও তার জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে মাদ্রিদকে। উচ্চ বেতনের পাশাপাশি বড় অঙ্কের সাইনিং বোনাসও চান তিনি। ফরাসি এই ফুটবলারের ইচ্ছে, ইউরোপের সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ফুটবলার হতে। আর এই কারণে মৌসুম প্রতি পাঁচ কোটি ইউরো বেতন দাবি করছেন তিনি। বেতনের পাশাপাশি এমবাপ্পে প্রায় ১২ কোটি ইউরো সাইনিং বোনাসও নিতে চান রিয়ালের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, ইমেজ স্বত্বের জন্যও বোনাস পেতে চান বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। কিন্তু এমবাপ্পের চাওয়ার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের দেয়ার ইচ্ছের মধ্যে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। পাঁচ কোটি ইউরো বেতন দাবি করা এমবাপ্পেকে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বেতন দিতে রাজি স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর ১২ কোটি ইউরো সাইনিং বোনাসের পরিবর্তে ৬ কোটি ইউরো সাইনিং বোনাস দিতে চায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। 
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪২

হোঁচট খেল রিয়াল মাদ্রিদ
গত সপ্তাহেই চলতি মৌসুমের অন্যতম শিরোপাপ্রত্যাশী জিরোনাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার মাত্র ৭ দিন ব্যবধানেই গোল খরার এক ম্যাচ দেখল রিয়াল। তবে পয়েন্ট ভাগাভাগি করলেও স্প্যানিশ লা লিগায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এস্তাদিও ডি ভায়েকাসে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে দ্য হোয়াইটি।  এদিন জুড বেলিংহামকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল রিয়াল। শুরুর একাদশে ছিলেন না টনি ক্রুস-রদ্রিগোরাও। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার জোসেলুর গোলে এগিয়ে যায় আনচেলত্তির বাহিনী। ম্যাচজুড়ে আধিপত্য নিয়ে লড়ে রিয়াল। তবে ম্যাচের ২৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ভায়োকানোকে সমতায় ফেরান রাউল ডি টমাস। বক্সের ভেতরে এডুয়ার্ডো ক্যামাভিঙ্গা হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় ভায়েকানো। এরপর স্পটকিকে দলকে সমতায় ফেরান টমাস। এরপর ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি আনচেলত্তির বাহিনী। ম্যাচে যোগ করা সময়ে দানি কারভাজাল লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল। তবে তাতেও রিয়ালের রক্ষণ দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি স্বাগতিকরা।  এই ড্রয়ে জিরোনার চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলো রিয়াল। ২৫ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট লস ব্লাঙ্কোসদের। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলা জিরোনার পয়েন্ট ৫৬।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫

কোয়ার্টারের পথে রিয়াল মাদ্রিদ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ সিক্সটিনের প্রথম লেগে লাইপজিগকে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেড বুল অ্যারেনায় লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। ব্রাহিম দিয়াজের গোলে পরের লেগের আগে ১ গোলে এগিয়ে থাকল স্প্যানিশ ক্লাবটি। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই সমানে সমান লড়াই করতে থাকে দুই দল। তবে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লাইপজিগ। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে আটকে যায় বেনইয়ামিন সিসকোর লক্ষ্যভেদ। পরের মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তবে তা কাজে আসেনি। এরপর ৯ মিনিটের মাথায় খুব কাছাকাছি গিয়েও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। আর ১ মিনিট ব্যবধানে গোলরক্ষক লুনিনের নৈপুণ্যে রক্ষা পায় তারা। প্রথমার্ধে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে জমে উঠা ম্যাচ গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হয়। বিরতি থেকে ফিরে অবিশ্বাস্য এক গোলে রিয়ালকে এগিয়ে নেন দিয়াজ। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে কারভাহালের পাস থেকে প্রতিপক্ষের তিনজনকে এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই তারকা। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল। দ্বিতীয় লেগে আগামী ৭ মার্চ মুখোমুখি হবে দুই দল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়