• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।    বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নং ক্লাস্টার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারের মৃত মো. আব্দুল আলীর ছেলে।   ভাসানচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নং ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নং ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার তার ছেলে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বাবাকে সকালের নাশতা দিয়ে যান। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে একই স্থানে তার ছেলে বাবার জন্য দুপুরের ভাত নিয়ে যান। ভাত নিয়ে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তখন ছেলে তার বাবাকে ১১৬ নং ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে সে তার বাবার গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।   এসআই নুর হোসেন আরও বলেন, পিছনের দিক থেকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উৎঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে

‘নাসিরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন পরীমণি’
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যা করতে গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এমনটাই জানিয়েছেন বোটক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। আইনজীবী বলেন, ঘটনার দিন রাতে পরীমণি মদ্যপ ছিলেন। ফ্রিতে মদ না পেয়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর করেন নায়িকা পরীমণি। নাসিরকে মেরে ফেলতে ভাঙা গ্লাস ছুড়ে মেরেছিলেন পরীমণি। এ বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়ে আমাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছিল। মানুষ এখন জানবে আমি নিরপরাধ ছিলাম। হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভালো লাগত। এদিন পরীমণির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন বাদীপক্ষ। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। গত ১৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার পিবিআই পরিদর্শক মো. মনির হোসেন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে পরীমণিসহ জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মেলেনি। বুধবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।  এদিকে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, ২০২১ সালের ৮ জুন রাতে আসামি পরীমণি অসৎ উদ্দেশে বাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে ফাঁদে ফেলে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে ঢাকা বোট ক্লাবের নিয়ম উপেক্ষা করে ফ্রিতে তিন লিটারের ব্লু লেবেল মদ পার্সেল নিতে না পেরে বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করেন। পরীমণি ইচ্ছাপূর্বকভাবে বাদীর দিকে এসট্রে ছুড়ে মেরে তার ডান কানের ওপরে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এ ছাড়া আসামিদের ছোড়া ভাঙা গ্লাসের টুকরায় বাদীর বুকে লাল চিহ্নিত স্ক্র্যাচ মার্কযুক্ত জখম করে ও ক্লাবের বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস, কাচের বোতল এসট্রে ইত্যাদি ছুড়ে ফেলে তাণ্ডব করে। যার ফলে আসামি পরীমণির বিরুদ্ধে বাদীর আনা ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বারের ভেতরে তাণ্ডব করতে থাকলে সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকীকে বাদী নাসির আসামিদের নিয়ে বার থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তখন আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি তেড়ে এসে বাদী নাসির মাহমুদকে গালমন্দ করতে করতে এবং হুমকি প্রদর্শনপূর্বক ২/৩টা কিল-ঘুষি মারেন। এতে আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগ মতে ৩২৩/৫০৬ ধারার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।  আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ঘটনার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বাদীর আনা কোনো অভিযোগের সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।  এর আগে, ২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে একই বছরের ১৮ জুলাই এ মামলাটি গ্রহণ করে আদালত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন দামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।  ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।  একপর্যায়ে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন।  এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মামলায় আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
১৯ ঘণ্টা আগে

মেলার চাঁদা নিয়ে বিরোধ, মাদরাসাছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নোয়াখালীর সেনবাগের সেবারহাট বাজারে বৈশাখী মেলার চাঁদা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মাজহারুল ইসলাম শাওন নামে এক মাদরাসাছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পিয়াসকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।  বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার সেবারহাট বাজারে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার এ মেলার আয়োজন করেন। বুধবার রাতে মেলার প্রাঙ্গণে ১৫ থেকে ২০টি স্টল চালু হলে সেখানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিতে দু’পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। জসিম কনট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের নেতৃত্বে কিশোরগ্যাং সদস্যরা হামলা চালিয়ে শাওন ও পিয়াসকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পিয়াসকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়। নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, ঘটনার পরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কীভাবে মেলা বসানো হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
২০ ঘণ্টা আগে

নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাজমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নান্দাইল বাইপাস রোডের পশ্চিম পাশে বড়বড়িয়া নামক স্থানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নাজমা আক্তার চারিআনিপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, ৪ সন্তানের জননী ওই নারী ও স্বামী আব্দুল মন্নান শ্রমিকের কাজ করতেন। অভাব অনটনের সংসার ছিলো তাদের। বুধবার রাতে স্বামী-স্ত্রী বিলেরপাড় দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যার পর ধানক্ষেতে ফেলে যায়। পরে  খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ. মজিদ। তিনি জানান, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩১

জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
 রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা পারুল বেগম।  মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।  মামলাসূত্রে জানা গেছে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে ১২ বছর ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার আসামিরা পাভেলের পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় আসামিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন।  পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার  প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর  স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। ডিএমপির পল্লবী জোনের এসি শাহিদ বলেন, পাভেল ও মামলার আসামিরা সবাই বাড্ডা এলাকার হলেও ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামি হাবিবসহ অন্যরা আমাদের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে হত্যা করল আরেক বাংলাদেশি
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যায় আশরাফুল মিয়া নামে আরেক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা। জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল মালয়েশিয়ার গেন্টিং হাইল্যান্ডসের এক নির্মাণস্থলে নজরুল মোল্লা (৪৪) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ৩১ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এতে বাংলাদেশি প্রবাসী আশরাফুল মিয়া ও পালাতক আরেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) আদালতের বিচারক নাদরতুন নাঈম জয়নানের সামনে ওই হত্যার অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তবে মামলাটি হাইকোর্টের এখতিয়ারে থাকায় কোনো আবেদন রেকর্ড করা হয়নি। এরপর আদালত ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের জন্য ১৫ মে দিন ধার্য করেন।  দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এ মামলায় আসামির কোনো প্রতিনিধি ছিলনা। তাই মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর মুহম্মদ জামহারির মুহম্মদ জুহিদ।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

নরসিংদীতে প্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে হত্যা 
নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এক ইউপি সদস্যকে গুলি ও গলা কেটে  হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  নিহত মো. রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি বৈয়ূম গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নিহত রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল দুপুরে পাকুরিয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় প্রাইভেটকারে করে একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপরে বসে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।   এ দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপি সদস্যের হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে শত শত মানুষ ভিড় করেন। হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এলাকাবাসীর একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গতবার আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিহত রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল। ওই সময় দু’প্রার্থীর মধ্যে একাধিকবার হামলা, মামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়ে নিহত রুবেল বিজয়ী হন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও চরমে পৌঁছে।  এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা।   হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

ডেকে এনে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, লাশ ফেলা হলো পুকুরে
রাজধানীর বাড্ডা থেকে কৌশলে পল্লবী এলাকায় ডেকে এনে পাভেল খান নামে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রেববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লবী সুখনগরে একটি পুকুর থেকে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাভেল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার শায়েস্তা খানের ছেলে। তিনি বাড্ডার পাঁচতলাবাজার এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন বাসচালকের সহকারী হিসেবে। তার নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, খুন করার জন্যই পাভেলকে কৌশলে বাড্ডা থেকে পল্লবী এলাকায় ডেকে আনা হয়। পরে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।  এ ঘটনায় পল্লবী থানা একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১০

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়