• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘এ মাসেই জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ উদ্ধার সম্ভব হবে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি ২৩ জন নাবিকসহ জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ চলতি মাসেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করতে পারিনি সেটা ব্যর্থ হয়েছে। তবে আশা করছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা আশা করি এই মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই জিনিসটার সমাধান করার চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজখবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলছি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব অপহৃত নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা না, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। তবে আমরা বলতে পারি, সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা আশা করছি, আমরা নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তিনি আরও বলেন, নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌ-অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। তবে বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’   নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নৌ-অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। তবে বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এরআগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে গেলো, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম। এমভি আব্দুল্লাহ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ ন্যাটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮

হালান্ডের সমালোচনা করায় কিনকে এক হাত নিলেন গার্দিওলা
চলতি মৌসুমে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না আর্লিং হালান্ড। গত ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ম্যানচেস্টার সিটি। এরপরই হালান্ডকে নিম্নমানের খেলোয়াড় বলে সমালোচনা করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রয় কিন। এর জবাকে কিনকে এক হাত নিলেন ম্যানসিটির কোচ পেপ গার্দিওলা। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে ম্যান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, আমি তার (রয় কিন) সঙ্গে একমত নই। কোনোভাবেই নয়। হালান্ড বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, হালান্ড গত মৌসুমে আমাদের সাফল্যে বড় অবদান রেখেছে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ট্রেবল জেতে ম্যানচেস্টার সিটি।  ২০২২-২৩ মৌসুমে বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ম্যান সিটির আর্লিং ব্রট হালান্দ। গোটা মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৫২ গোল করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। প্রিমিয়ার লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার সঙ্গে ভাঙেন একাধিক রেকর্ড। চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে সবমিলিয়ে ৩৫ ম্যাচে ২৯ গোল করা এই স্ট্রাইকার অ্যাসিস্ট করেছেন ৬টি। আর্সেনাল-সিটি ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রয় কিন বলেছিলেন, তার (হালান্ড) মাঠের খেলা খুবই নিম্নমানের। এটা শুধু আজকের কথা নয়, আমি সাধারণভাবেই এমনটা মনে করি। গোল মেশিন হালান্ডের প্রশংসা করলেও ফুটবলার হিসেবে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের উন্নতি দরকার বলে মনে করেন রয় কিন। তিনি বলেন, গোলমুখে সে বিশ্বসেরা। কিন্তু একজন খেলোয়াড় হিসেবে তার সাধারণ খেলা খুবই নিম্নমানের। বয় কিন আরও বলেন, তাকে খেলার উন্নতি করতে হবে। সে অনেকটা দ্বিতীয় স্তরে খেলা ফুটবলারের মতো। তাকে আমি এভাবেই দেখি। মাঠের সাধারণ খেলায় তাকে উন্নতি করতে হবে এবং এটা কয়েক বছরের মধ্যে হবে। সে অসাধারণ একজন স্ট্রাইকার। কিন্তু তাকে তার সামগ্রিক খেলায় আরও উন্নতি করতে হবে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

বস্তায় হাত দিতেই ছোবল, প্রাণ গেল ৩ সন্তানের জননীর
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিষধর সাপের কামড়ে নুরুন নাহার (৫২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হাজিগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের কৈয়ারপুল গ্রামের তালুকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নুরুন নাহার ওই বাড়ির মৃত আবুল বাসারের স্ত্রী। তিনি ৩ পুত্রসন্তানের জননী। নিহতের ভাতিজি পারভিন আক্তার বলেন, দুপুরে চাচির ডাকচিৎকারে বাড়ির সবাই দৌড়ে তার ঘরে যাই। নিজের ঘরে রাখা বস্তায় হাত দিতেই হাতের আঙুলে কামড় দেয় বিষধর সাপ। পরে তার হাত বেঁধে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু সেখানে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।  হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের ভ্যাকসিন রাখা হয় না। তাই রোগীকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপতালে রেফার্ড করা হয়। হাজিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, সাপের কামড়ে গৃহবধূ নুরুন নাহারের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

ম্যাচ হারের জন্য হার্দিককে এক হাত নিলেন ইরফান
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেক সুখের হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। প্ৰথম ম্যাচেই নিজের পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটান্সের কাছে ৬ রানে হেরেছে হার্দিকের দল। তবে সব কিছু ছাড়িয়েও আলোচনায় ম্যাচের আরও একটি মুহূর্ত। রোববার (২৪ মার্চ) গুজরাট টাইটান্সের ইনিংসের শেষ ওভারে রোহিত শর্মা বৃত্তের মধ্যে চলে এসেছিলেন। হার্দিক তখন ভর্ৎসনা করে হিটম্যানকে ডিপে পাঠিয়ে দেন। সেই সময় বল করছিলেন জেরাল্ড কোয়েটজি। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে টানা ছয় বছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সাধারণত বৃত্তের মধ্যেই ফিল্ডিং করে থাকেন রোহিত। অথচ তাকে বাউন্ডারি লাইনের ধারে ফিল্ডিং করতে পাঠান পান্ডিয়া। মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হয়ে মাঠেই রোহিতের সঙ্গে এমন আচরণ ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা।  এ ছাড়াও হার্দিকের এমন আচরণ এবং তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে গুজরাট। রান তাড়ায় রোহিত শর্মার ৪৩ ও ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ৪৬ রানের ইনিংসের পরও ৬ রানে হেরে যায় মুম্বাই। শেষ দিকে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তের জন্য হার্দিককে এক হাত নিয়েছেন ইরফান। ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ইরফান বলেন, চেজ করার সময় টিম ডেভিডকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করা হলো। তাও যখন রশিদ খানের এক ওভার বাকি রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর হার্দিক সম্ভবত রশিদ খানকে ফেস করতে চায়নি।  ‘একজন ভারতীয় ব্যাটার ড্রেসিংরুমে রয়েছে। তার সত্ত্বেও রশিদকে ফেস করার জন্য একজন বিদেশিকে পাঠানো হলো, এই বিষয়ে আমি মোটেই একমত হবো না।’ অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ে নেমে নতুন বলে বুমরাহকে না এনে নিজেই বোলিংয়ে আসেন হার্দিস। আর নিজের প্রথম দুই ওভারেই ২০ রান খরচ করেন তিনি। হার্দিক এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঠান বলেন, বড় ভুল করেছে হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ার প্লেতে ও নিজেই দুই ওভার বল করলো। এটাই তো খুবই বড় ভুল। বুমরাকে আক্রমণে আনতে দেরি করেছে।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১৬

যার হাত ধরে নীল ছবির জগতে নাম লিখিয়েছিলেন সানি লিওন
বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন। বলিউডে পা রাখার আগে একটা সময় পর্ন দুনিয়ার রানি ছিলেন তিনি। তবে এখন তিনি সেই নীল ছবির জগতে থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এবার জানা গেলে পর্ন জগতে তার আসারে গল্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।  পর্নোগ্রাফিতে পা রাখার আগে সানি লিওন একটি বেকারিতে কাজ করতেন। পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছিলেন একটি ট্যাক্স অ্যান্ড রিটায়ারমেন্ট ফার্মেও। নার্স হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সানি। রোগীর শুশ্রূষা করার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু ভাগ্য তাকে নিয়ে যায় অন্য পথে।  সানি পেন্টহাউজ়় ম্যাগাজ়িনের অংশ হয়ে ওঠেন হঠাৎ করেই। পেন্টহাউজ়ের মালিক ছিলেন বব গুচিওন তার হাত ধরেই সাহসী হয়ে উঠেছিলেন করণজিৎ অর্থাৎ সানি লিওন। ২০০৩ সালে ‘পেন্টহাউজ় পেট অফ দ্যা ইয়ার’ হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে ভিভিড এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে তিন বছরের কনট্র্যাক্ট সই করেন সানি। সেই প্রথম পর্নোগ্রাফি জগতে প্রথম পা রাখা।  সানির তার প্রথম পর্নোগ্রাফি ছবির নাম ‘সানি’। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় সেটি। পরের ব্লু ফিল্মটির নাম ‘ভার্চুয়াল ভিভিড গার্ল সানি লিওনি’। প্রথমে শর্ত দিয়েছিলেন কেবল লেসবিয়ান ছবিতেই অন্তরঙ্গতা দেখাবেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তৎকালীন হবু স্বামী ম্যাট এরিকসনের সঙ্গে পর্নোগ্রাফি ছবি শুট করেন।  আজকাল নীল ছবি থেকে অনেক দূরে সানি। ব্যস্ত বলিউডে। শুরুটা হয়েছিল ‘জিসম-২’ ছবির মাধ্যমে। তারপর থেকেই নিয়মিত কাজ করছেন বি-টাউনে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৬

‘আমার স্বামীকে জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করুন’
‘আমাদের জাহাজে অ্যাটাক হইছে। জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের সবাইকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদেরকে মারধর করেনি। আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত ভালো আছি, দোয়া কইরো।’ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সর্বশেষ স্ত্রী মেহরিমা সাফরিন জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে এসব কথা বলেন।  বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে একটি ভয়েস রেকর্ড বার্তা আসে মেহরিমার মুঠোফোনে। সেই বার্তায় একজনের কণ্ঠ শোনা যায়। তিনি জানান, ‘স্যার ভালো আছেন। সেহরি করে স্যার এখন ঘুমাচ্ছেন। কোনো মেসেজ থাকলে এই নাম্বারে এসএমএস পাঠাবেন।’   স্বামীকে নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকায় মেহরিমা সাফরিন বলেন, জাহাজের কাজ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় গভীর সমুদ্রে গেলে ১৫-২০ দিন ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ থাকে না। তখন চিন্তা হতো। নেটওয়ার্কের মধ্যে আসলেই তার সঙ্গে আবার যোগাযোগ হতো। কিন্তু এবারের বিষয়টি অনেক উদ্বেগের। তারা জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। খবরে দেখতেছি, মুক্তিপণ না পেলে তাদেরকে নাকি একে একে মেরে ফেলবে। এ অবস্থায় আমি চরম উৎকণ্ঠায় সময় অতিবাহিত করছি। এক বছরের কন্যা সন্তান আর অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে সাহায্যের জন্য কোথাও যেতে পারছি না। সরকার ও জাহাজ কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুতি, যেভাবেই হোক আমার স্বামীকে জলদস্যুদের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। বুধবার দুপুরে নওগাঁ শহরের আরজি নওগাঁ এলাকায় প্রকৌশলী সাইদুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ছাড়াও তার বাবা সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম ও মা কহিনুর বেগমের সঙ্গে কথা হয়। নওগাঁর সাপাহার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমার ছেলের নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোন করে জানায়, তাদের জাহাজে জলদস্যুরা অ্যাটাক করেছে। জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর গতকাল রাতে ও আজ সকালে অন্য নাম্বার থেকে ভয়েস এসএমএস পাঠিয়েছে। ভয়েস এসএমএসে জানিয়েছে, সে ভালো আছে। দস্যুরা কোনো মারধর করেনি। একটি ঘরে তাদের সবাইকে আটকে রাখা হয়েছে। জাহাজে খাবার পানির সংকট থাকায় তাদেরকে খুব পরিমাণে পানি খেতে দেওয়া হচ্ছে। আব্দুল কাইয়ুম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাহাজ কোম্পানির গাফিলতির কারণেই জাহাজটিতে জলদস্যুতের আক্রমণ হইছে। কোটি কোটি টাকার মালামাল বহন করে অথচ সেই জাহাজে কোনো কোস্ট গার্ড নিয়োগ দেওয়া নেই। কোস্ট গার্ড থাকলে জলদুস্যরা এত সহজে আক্রমণ করতে পারতো না। এর আগেও ওই কোম্পানির জাহাজে জলদস্যুতের আক্রমণ হইছে। সাইদুজ্জামান ২০ বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির জাহাজে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন জাহাজে কাজ করছে। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজ এস আর শিপিং লিমিটেড কোম্পানির একটি জাহাজ। মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:১৫

মেসির নাম বলে অপহরণকারীর হাত থেকে রক্ষা পেলেন বৃদ্ধা
গত অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামলার পাশাপাশি দুই শতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণও করে তারা। এ সময় মেসির নাম বলে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পান ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ইস্টার কুনিও। সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন কুনিও। জানা গেছে, সেদিন কিব্বুতজ শহরে নিজের বাসায় ছিলেন কুনিও। হঠাৎ করে তার বাসায় হামলা চালায় হামাসের সদস্যরা। তারা কুনিও ও তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে ফিলিস্তিনে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করেছিল। তখন মেসির নাম বলায় বেঁচে যান ৯০ বছরের ওই বৃদ্ধা। ফুয়েন্তে ল্যাটিনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুনিও বলেন, আমি তাকে বললাম আমার সাথে কথা না বলতে কারণ আমি তাদের ভাষা বুঝি না। আমি তখন স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলি, যা আর্জেন্টিনারও ভাষা। তখন সে আমাকে জিজ্ঞেস করে আর্জেন্টিনা কি? তখন আমি বলি, তুমি কি ফুটবল দেখো? ‘সে জানায় ফুটবল দেখতে পছন্দ করে, তখন আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি মেসির দেশ থেকে এসেছি। এটা শুনে সে  অবাক হলো কিছুটা, আমাকে বলে সে মেসিকে ভালোবাসে।  এরপর সে অস্ত্রটা আমাদের কাঁধে রাখে এবং তার বন্দুক আমাকে দেয়। এরপর আমাকে শান্তির চিহ্ন দেখাতে বলে এবং আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’  যুদ্ধের মাঝে কুনিওর পরিবারের কয়েকজন ছাড়া পেলেও এখনও আটকে আছে তার নাতিরা । নাতিদের উদ্ধারে মেসির কাছে সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন ইস্টার, এখন আমার আকুতি, মেসি এটা যদি দেখে এবং কোনোভাবে সে যদি জানে যে তার কারণে আমার জীবন বেঁচেছে।  ‘আমি তাকে বলবো, সে যেন আমার নাতিদের উদ্ধারে সাহায্য করে, তারা এখনো অপহৃত। তারা ভালো ছেলে। তাদের নাম ডেভিড ও এরিয়েল।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪১

শরীরটা পুরুষের, হাত দুটো শুধু নারীর
পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী, রঙ-তুলিই ছিল তার জীবন। ছবি এঁকেই উপার্জন করতেন অর্থ। আর সেই দুই হাতই ট্রেন দুর্ঘটনায় কাটা পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন। আয়-রোজগার নেই, সংসারও চালাতে হয় বহু কষ্টে। আর এমন অবস্থাতেই এক নারীর দান করা দুটি হাত জোড়া লাগল ওই ব্যক্তির কাটা পড়া হাতের সঙ্গে। মূলত ব্রেথ ডেড এক নারীর দান করা হাতই জোড়া লেগেছে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন চলার পর দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন এই দুই হাত পেলেন ওই চিত্রশিল্পী। বুধবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়ে আর কোনওদিন রঙ-তুলি ধরতে পারবেন না ভেবেই অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। কিন্তু জীবন তাকে নতুন সুযোগ দিলো। চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন দুই হাত পেয়েছেন তিনি। আর এতে করে আবারও তিনি ধরতে পারবেন রঙ-তুলি। সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লিতে এই প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের অপারেশন হলো। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ব্রেন-ডেথ রোগীর দুই হাত নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ওই চিত্রশিল্পীর কেটে বাদ দেওয়া দুই হাতের জায়গায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাতার থেকে নেওয়া হাতের শিরা-ধমনী, হাড়-মজ্জা-মাংস সব নিখুঁতভাবে জোড়া লেগেছে গ্রহীতার হাতের সঙ্গে। দাতার থেকে নেওয়া হাত চিত্রশিল্পীর শরীরে মিলেও গেছে। নতুন দুই হাত দিয়ে এখন সব কাজই করতে পারবেন এই শিল্পী। এর আগে ২০২০ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিলেন ওই চিত্রশিল্পী। তিনি বলছেন, দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে হাত প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন। শুধু দাতার খোঁজ করতে হবে। সে সুযোগও এসে যায়। মীনা মেহতা নামে ব্রেন-ডেথ এক রোগীর দুই হাত নিয়েই প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসকরা। দক্ষিণ দিল্লির একটি স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন মীনা। তিনি লিখিতভাবেই তার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই মীনার লিভার, কিডনি, হার্ট নেওয়ার পাশাপাশি দুই হাতও প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবেন ডাক্তাররা। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অপারেশনে নিখুঁতভাবে মীনার দুই হাত চিত্রশিল্পীর কাটা হাতের জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনের মতোই হাত প্রতিস্থাপনও খুবই জটিল প্রক্রিয়া। দাতার হাত গ্রহীতার শরীর গ্রহণ করবে কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। অনেক সময় দেখা যায়, হাড়-মাংস বা ধমনী জুড়লেও শরীরে সেই হাত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না বা নতুন বসানো হাতে রক্ত সরবরাহ হচ্ছে না। তখন বিপদ বাড়তে পারে। মূলত এই ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে শিরা, ধমনী, স্নায়ু ও টেন্ডন (শক্ত ও মোটা তন্তু) সব ঠিকঠাক ভাবে জুড়তে হয়। প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিক, নেফ্রোলজি-সহ অনেকগুলো বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দরকার হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই প্রতিস্থাপনের পরবর্তী অধ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রহীতার শরীর কতটা সেই অঙ্গ গ্রহণ করবে, সে দিকে খুব সতর্ক ভাবে নজর রাখতে হয়। শরীর যাতে ওই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে, সে জন্য গ্রহীতাকে সারা বছর ইমিউনো থেরাপি নিতে হবে যেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ৪৫ বছর বয়সী ওই চিত্রশিল্পীকে আগামীকাল স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সূত্র : এনডিটিভি
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১০

বাঙালির সব অর্জন আ.লীগের হাত ধরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী
বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বুকে আমরা যে পরিচয়টা পেয়েছি, সেটা দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, আমরা যে স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি সেটা তার হাত ধরেই এসেছে। সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর একটি বিজাতিও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। মুজিব একটি জাতির রুপকার, এই সিনেমা দেখলেও কিন্তু ইতিহাসের অনেক কিছু জানার সুযোগ রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীর বক্তব্য ছিল তিনি (বঙ্গবন্ধু) আবার ভাষা আন্দোলেন কী ভূমিকা রেখেছিলেন। দেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার জেলে গেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত সমস্যা। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। কোনো ভালো কাজই তাদের পছন্দ হয় না। জাতির পিতার অবদানকে খাঁটো করার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কারণ, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৩

হালান্ডের সমালোচকদের এক হাত নিলেন গার্দিওলা
গত ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে  নয় বার চেষ্টা করে একটিও গোল করতে পারেননি  ম্যানসিটির প্রাণভোমরা আর্লিং হালান্ড। এতে  ১-১ গোলে ড্র করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। যার ফলে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হতে হয়। তবে পরের ম্যাচে দুর্দান্ত এক গোল করে দল জিতিয়েছেন হালান্ড। এমন নৈপুণ্যের পরই সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন যে, সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন হালান্ড। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের এক মাত্র গোলে ভর করে ১-০ ব্যবধানের দারুণ এক জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। ব্রেন্টফোর্ডকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে সিটি। ২৫ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট দলটির। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে লিভারপুল। এই জয়ের পর সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা পাল্টা তোপ দাগলেন হলান্ডের সমালোচকদের দিকে। স্প্যানিশ কোচ হালান্ডের সমালোচনার আগে দুবার ভাবতে বললেন সবাইকে। সাংবাদিকদেরও একহাত নিয়েছেন গার্দিওলা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কোচ গার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, আমি তো সাংবাদিক ছিলাম না, তবু আমার এক বন্ধু বলেছিল। বড় মাপের স্ট্রাইকাররা অনেক অনেক গোল করে। বেশি সমালোচনা করো না, সে তোমাকে মুখ বন্ধ করতে বাধ্য করবে। তিনি বলেন, আমি জানতাম আজ হোক, কাল হোক, সে নিজেকে ফিরে পাবেই। (গোল করার জন্য) আপনি যদি আমাকে একজন খেলোয়াড়কে বেছে নিতে বলেন, তবে আমি ওকেই নেব। চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে খারাপ খেলার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গার্দিওলা জানালেন হলান্ডের দাদির মৃত্যুর খবর, সে গত দুই মাস চোটের কারণে বাইরে ছিল। শারীরিকভাবে নিজেকে পুরোপুরি ফিরেও পায়নি সে। আর তার জন্য খুবই কঠিন গেছে সপ্তাহটা, তার দাদি মারা গেছে। একজন মানুষের জন্য খুব সহজ নয় বিষয়টা। কেন সাংবাদিক হওয়ার চেষ্টা করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যানসিটি কোচ, আমি তো ম্যানেজার (কোচ)। আমার জীবন তো আপনাদের চেয়ে উন্নত। আপনাদের সঙ্গে কিন্তু আমার ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়