ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবারও ইরানের সামরিক বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বার্তা দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেছেন, ইরানের আকাশের ওপরে পুরো এবং সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
তিনি আরও লিখেছিলেন, আমরা একেবারেই সঠিকভাবে জানি তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি একজন সহজ টার্গেট কিন্তু সেখানে নিরাপদ– আমরা সেখান থেকে তাকে বের করে আনব না (হত্যা!), অন্তত আপাতত নয়।
এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার লেখেন, ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!’
ট্রাম্পের এমন পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিভিন্ন ভাষার অ্যাকাউন্টে ধারাবাহিক পোস্টে খামেনি বলেছেন, ইরান ‘কখনও জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) সাথে আপস করবে না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা জায়নিস্টদের (ইহুদিবাদীদের) কোন দয়া দেখাব না’। পরে অন্য আরেকটি পোস্টে তিনি বলেছেন ‘যুদ্ধ শুরু’।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
সেই থেকে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও এই সহিংস পরিস্থিতি থামাতে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আরটিভি/এস