বাইশ গজের দুই প্রান্তে থাকবেন দুই ভাই নাফিস ইকবাল ও তামিম ইকবাল। মা নুসরাত ইকবালের স্বপ্ন নিশ্চয় এমনই ছিল। দুজনই খেলবেন লাল-সবুজের জার্সিতে বাংলাদেশের হয়ে। সব স্বপ্ন তো আর পূরণ হয় না। তেমনই হয়েছে তামিম-নাফিসের মায়ের। তবে দায়িত্বের খাতিরে দুজন ঠিকই জাতীয় দলের হয়ে গেছেন নিজের শহর চট্টগ্রামে।
আগামীকাল বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তার আগের দিন আজ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তামিম ইকবাল।
এ সময় তামিমের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বড় ভাই নাফিস ইকবাল। অধিনায়ক তামিমের পাশে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা নাফিস ইকবাল হয়তো আফসোস করছিলেন দুই ভাইয়ের একসঙ্গে খেলা হলো না বলে। আফসোস জোক বা না হোক, গর্বটা হবে তারও অনেকগুণ।
সংবাদ সম্মেলনের সময়ও বড় ভাইকে পেশাদারিত্বের চোখে দেখে তামিম বলেছেন, ‘এই জায়গায় আমাদের অনেক পেশাদার হতে হবে। তিনি আমার ভাই, এটা আমাদের সম্পর্ক। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় আমি তাকে ম্যানেজার হিসেবে, আর তিনি আমাকে খেলোয়াড় হিসেবে সম্মান করতে হবে। এটা পেশাদার জায়গা যেখানে পেশাদারিত্বই আগে আসবে, সম্পর্ক পরে।’
নাফিস ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। তার ক্যারিয়ার থেমে যায় ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে খেলে। তবে অংশ হয়ে রয়েছেন ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট জয় ও সিরিজ জয়ে অবদান রেখে। পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলেন ২০১৮ সালে। এরপর থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন দলের ম্যানেজার ও লজিস্টিক ম্যানেজারের। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন নাফিস ইকবাল।
ছোট ভাই তামিম ইকবাল নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে দলের। ২০১৯ সালে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর তামিমের কাঁধে ওঠে দায়িত্ব। তার অধীনে এখন পর্যন্ত ১৫টি ওয়ানডেতে ৮টি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।