বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে করা দুর্নীতির মামলা চলবে। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে চলমান মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার পৃথক দুটি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদ নিজে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
এদিন অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার মওদুদের রিট খারিজ করে দেন আদালত। ফলে এ মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে চলমান ওই মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আবেদন আমলে নিয়ে আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মামলাটি আসছে ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে মওদুদ আহমদ ব্যক্তিগত, পেশাগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যয় উল্লেখ করেননি। কিন্তু তার পক্ষে থেকে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে এসব ব্যয়ের উল্লেখের বিধান নেই। তাই অভিযোগ গঠনের আগে ব্যয়ের খাত উল্লেখের বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করে তিনি। গেলো ৫ এপ্রিল সে আবেদন খারিজ হয়।
পরে সেই আদেশের বিরুদ্ধে গেলো মে মাসে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনে ওই মামলার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়। সে আবেদনটি ১২ জুলাই হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়।
গেলো ২১ জুন মওদুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করেন ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ ইমরুল কায়েসের আদালত। হাইকোর্টে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে একটি এবং ওই আদালত পরিবর্তন চেয়ে আরেকটি আবেদন করেন মওদুদ।
এইচটি/সি