সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ইনজুরির কারণে এ সফরে আসছেন না অজি পেস আক্রমণের দুই অস্ত্র মিচেল স্টার্ক ও জেমস প্যাটিনসন। এতে দলটির পেস আক্রমণের মূল দায়িত্ব কাঁধে পড়ছে জশ হ্যাজেলউডের। এ মুহূর্তে ডারউইনে দলের প্রস্তুতি ক্যাম্পে নিজেকে শানিয়ে নিতে ব্যস্ত তিনি। এরই ফাঁকে বাংলাদেশ সফর ঘিরে জানালেন নিজের লক্ষ্যের কথা। পাশাপাশি টাইগারদের সম্পর্কে নিজের অবস্থানও তুলে ধরলেন।
জশ হ্যাজেলউড বললেন, আমাদের প্রস্তুতিটা খুবই কম হচ্ছে। ইনজুরির কারণে দলের সঙ্গে সেরা পেসাররা বাংলাদেশে যেতে পারছেন না। কন্ডিশনের কথা ভেবে বাড়তি স্পিনার ভেড়ানেো হয়েছে দলে। এতে পেস আক্রমণের মূল দায়িত্ব আমার কাঁধেই পড়বে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। আশা করি, ভালো কিছুই হবে।
তিনি বলেন, এ দলে নিজেকে নেতা হিসেবেই দেখছি। আমি যখন প্রথম আসি, তারপর দলের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমি ধীরে ধীরে জুনিয়র থেকে সিনিয়রে পরিণত হয়েছি। তাই সামন থেকেই নেতৃত্ব দিতে চেষ্টা করবো।
ভারত সফরে পায়ে চোট পান মিচেল স্টার্ক। আশা করা হচ্ছিল, বাংলাদেশ সফরের সময় আসতে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সেরে উঠেননি বাঁহাতি পেসার। অন্যদিকে, হঠাৎই পিঠের ব্যথায় অজি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন জেমস প্যাটিনসন। দুইজন না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই পেস আক্রমণের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ছে হ্যাজেলউডের। একসময় বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারাতো অস্ট্রেলিয়া। তবে এখন তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এ ডানহাতি পেসার।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর সহজ হবে না। টাইগাররা এখন বিশ্বমানের দল। তাদের দলে বেশ কয়েকজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার রয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা নিজেকে প্রমাণ করেছে। হোম গ্রাউন্ডে টেস্ট ক্রিকেটেও দলটি ভালো করছে। সবশেষ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। সর্বোপরি তাদের হালকা করে নেয়ার কোনো উপায় নেই। এটিই সত্য।
দু’টেস্ট সিরিজ খেলতে ১৮ আগস্ট বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। ২২ আগস্ট ফতুল্লায় দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে সফর শুরু করবে অজিরা। ২৭ আগস্ট মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে।
ডিএইচ