নক-আউটে প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। নেশনস কাপের ফাইনাল ম্যাচটি যে অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে সেটি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। কেননা এখন পর্যন্ত কোনো টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্বে খেলা ক্রোয়েশিয়ার ১১ ম্যাচের ভেতর আটটির ফলাফল নিষ্পত্তি হয়েছে অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে। নেশনস কাপের ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কাকে বলে সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল স্পেন আর ক্রোয়েশিয়া। কে পরাশক্তি সেটি আলাদা করা যায়নি ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে। এমনকি ফলাফল নিষ্পত্তি হয়নি অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ও পেনাল্টি শ্যুটআউটের পাঁচ শটে। শ্বাসরুদ্ধকর পেনাল্টি শ্যুটআউটের ষষ্ঠ শটের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় কার হাতে উঠছে নেশনস কাপের শিরোপা।
নেশনস কাপের ফাইনালে ৫-৪ গোলে স্পেন হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। ২০১২ সালের পর এই প্রথম মেজর কোন শিরোপা জিতলো স্প্যানিশরা।
নেদারল্যান্ডসের ডি কুইপ স্টেডিয়ামে ম্যাচ যখন গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, সে সময় থেকেই ক্রোয়েশিয়া স্বপ্ন দেখা শুরু করে প্রথম মেজর কোনো শিরোপা জয়ের। কিন্তু ক্রোয়াটদের সেই স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দেন স্প্যানিশরা। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে নেশনস কাপ। সবগুলো টুর্নামেন্টের শিরোপার খুব কাছে গিয়েও সেটির স্বাদ নেয়া থেকে আরও একবার বঞ্চিত থাকতে হলো লুকা মদ্রিচকে।
টাইব্রেকে এসে প্রথম তিন শটের সবগুলোতেই গোলের দেখা পায় দুই দল। চতুর্থ শট ক্রোয়েশিয়ার লাভ্রো মাজের মিস করলেও স্প্যানিশদের হয়ে গোল ঠিকই বের করে আনেনে মার্কো আসেন্সিও। ক্রোয়েটদের হয়ে পঞ্চম শটে গোল বের করে আনেন ইভান পেরিভিচ। তবে এমেরিক লাপোর্তের শট ঠেকিয়ে রোমাঞ্চ জাগিয়ে তোলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। যার ফলে আরও একটি শট নিতে হয় দুই দলকে।
ষষ্ঠ শটটি ব্রুনো পেতকোভিচ মিস করলেও স্প্যানিশ ডিফেন্ডার দানি কারভাজাল সতীর্থদেরদের ভাসান উল্লাসে। তার গোলে কাটে স্পেনের ২১ বছরের শিরোপাখরা।