হারের শঙ্কা নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ টাইগারদের
সম্ভবত চার বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া আবদুর রাজ্জাকের কথাই ফলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার শেষ টেস্ট ম্যাচটিতে। প্রথম দিন শেষে রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন ম্যাচ পাঁচ দিনের আগেই শেষ হবে। দ্বিতীয় দিন শেষে অন্তত তাই দাড়ালো। ৩১২ রানের বড় লিড ও হাতে দুই উইকেট নিয়ে দিন শেষ করলো লঙ্কানরা।
অর্থাৎ লঙ্কানরা তৃতীয় দিন অন্তত প্রথম সেশন ব্যাটিং করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। পিচের যে অবস্থা তাতে তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফলাফল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদি ব্যাটসম্যানরা ঘুরে না দাড়াতে পারে।
দ্বিতীয় দিন শেষে রোশান ডি সিলভা ৫৮ রানে এবং সুরাঙ্গা লাকমাল ৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ মিসের মাশুল দিয়ে দিন শেষে তিনশ’র মত রানের লিড নেয় তারা। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো শুরুতেই আঘাত হানেন আবদুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিনারের বল ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর পর রিভিউ নিয়েছিলেন। তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।
মেন্ডিসের বিদায়ের পর উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ব্যক্তিগত ২৪ বলে ২৮ রান করে থামে এই ব্যাটসম্যান। তাইজুলের মিডল স্টাম্পে পিচ করা বল ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল লাগে স্টাম্পে।
এরপর গুনাথিলাকাকে সাজঘরে ফিরিয়ে লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের বলের লাইন বুঝতে পারেনি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অফ স্টাম্পে সরে গিয়ে ডিফেন্স করার চেষ্টা করলে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ফলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ১৭ রান করে।
উইকেটে প্রায় থিতু হয়ে যাওয়া দিমুথ করুণারত্নেকে সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩২ রান করে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৫১ রানের একটি জুটি গড়েন দিনেশ চান্দিমাল আর রোশন সিলভা। দারুণ খেলতে থাকা চান্দিমালকেও (৩০) এলবিডব্লিউ করে ফেরান মিরাজ।
এরপর ১০ রান করে তাইজুলের শিকার নিরোশান ডিকভেলা। ৫৬তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত মোস্তাফিজুর রহমানের। ওভারের দ্বিতীয় আর তৃতীয় বলে দিলরুয়ান পেরেরা (৭) আর আকিলা ধনঞ্জয়াকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বাঁহাতি এই কাটার মাস্টার। হ্যাটট্রিক বলটা আটকে দেন সুরাঙ্গা লাকমল।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘মেসিকে নিয়ে বলার কোনো ভাষা নেই’
--------------------------------------------------------
তবে পরের বলেই আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন মোস্তাফিজ। এবার প্রথম স্লিপে সাব্বির রহমান ক্যাচ ফেলে দেন লাকমলের। আঙুলে ব্যথাও পান সাব্বির। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আবারও ফিল্ডিংয়ে দাঁড়ান।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ৩টি, তাইজুল ও মিরাজ ২টি এবং রাজ্জাক ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ১১০ রানে অলআউট হয়।
আরও পড়ুন:
এএ
মন্তব্য করুন