রশিদ খানের দাপটে দিশেহারা জিম্বাবুয়ে
দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে অনেক ভুগিয়েছেন স্পিনের নতুন আবিষ্কার রশিদ খান। এবার ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়েকে ভোগাতে শুরু করেছেন রশিদ খান। তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেছে। আইপিএলের নিলামে তাকে দলভুক্ত করতে রীতিমত কুরুক্ষেত্র তৈরি করে ফেলেছিল ক্লাবগুলো।
টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশের পর এবার প্রথম ওয়ানডেতেও জিম্বাবুয়েকে ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে আফগানরা।
অভিজ্ঞতার বিচারে জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানের মধ্যে রয়েছে যোজন-যোজন দূরত্ব। তবে মাঠের লড়াই অভিজ্ঞ দল জিম্বাবুয়েকে লজ্জা উপহার দিয়ে চলছে বিশ্ব ক্রিকেটে অপেক্ষাকৃত নবীন দল আফগানিস্তান।
শুক্রবার আরব আমিরাতের শারজাতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রহমত শাহের সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৩৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পথ হারিয়ে মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ১৭৯ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা
--------------------------------------------------------
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ইহশানুল্লাহ। দুইজনে মিলে গড়েন ৯০ রানের জুটি। ইহশানুল্লাহ তুলে নেন ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি। ৫৩ বলে ৯ চারে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।
ইহশানুল্লাহর বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি শাহজাদ। ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর এক প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন রহমত শাহ। তবে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন আসগার। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরে যান এই অধিনায়ক।
দ্রুত ফিরে যান নাসির জামালও (৩১)। তবে পঞ্চম উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি।
ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ১১৪ রান। জাদরান ৫টি করে চার-ছয়ে ৫১ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকলে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দলটি।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে অধিনায়ক ক্রেমার ৩টি, জারভিস ও সিকান্দার রাজা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
আফগানদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং। দলটির হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংসটি খেলেন সোলেমান মিরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ক্রেইগ আরভিন। এছাড়া সিকান্দার রাজা ২৫ ও কাইল জারভিস ২০ রান করেন, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ব্রেন্ডন টেলর সমান ১৬ রান করে আউট হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারায় ১৭৯ রানেই থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
আফগানদের পক্ষে রশিদ খান ৪টি, মুজিবুর রহমান ২টি, দৌলত জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নবী ও রহমত শাহ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
অনবদ্য সেঞ্চুরির জন্য আফগানিস্তানের রহমত শাহ প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
শারজায় এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডেতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। একই ভেন্যুতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে আফগানরা।
আরও পড়ুন:
এএ
মন্তব্য করুন