মেসি-রোনালদোর শেষের শুরু?
সবশেষ চলতি বছরের ৭ মার্চ মাঠে নেমেছেন লিওনেল মেসি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো খেলতে নেমেছিলেন তার পরের দিন ৮ মার্চ। এর কয়েকদিন পরই স্থগিত হয়ে যায় ফুটবল। দীর্ঘ দুই মাস পরিবারের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব ফুটবলের দুই শাসন কর্তা। আগামী মাসেই আবারও মাঠে গড়াবে বল। শুরু হয়েছে অনুশীলন। এরই মধ্যে দুইজনকে দেখা গেছে নতুন রূপে। ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসে যা মনে করিয়ে দেয় তাদের শুরুর সময়টা।
আগামী ২৪ জুন ৩৩ বছরে পা দিচ্ছেন মেসি। গেল ফেব্রুয়ারিতে ৩৫ বছর পূর্ণ হয়েছে রোনালদোর। ১৫ বছর ধরে দুইজন দুইজনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
ক্যারিয়ারে ১ হাজার ম্যাচ খেলেছেন সিআর সেভেন। গোল করেছে ৯৪৭টি। গোল করতে সহায়তা করেছেন ২২২ বার। ২০০২ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অভিষেকের পর স্পোর্টিং, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে বর্তমানে জুভেন্টাসে খেলছেন পর্তুগালের অধিনায়ক। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩২ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো। ২৫টি গোল করার পাশাপাশি অবদান রেখেছেন চারটি গোলে।
৯৮৯ ম্যাচ খেলে মেসির গোল সংখ্যা ৮৫৬। গোল করিয়েছেন ২৯২ বার। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ২০০৪ সাল থেকে বার্সেলোনার হয়েই মাঠ মাতাচ্ছেন। এবারের মৌসুমে ৩১ ম্যাচে ২৪টি গোল করেন তিনি। এই পর্যন্ত ১৬টি গোল করিয়েছেন।
করোনা পরবর্তী ফুটবলের অনুশীলনে মেসি-রোনালদোকে দেখা গেছে ক্লিন শেভে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবল প্রেমীদের অনেকেই তাদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
এ জেনো এক নতুন শুরু দুইজনের। ব্যক্তিগত সাফল্যের শীর্ষে থাকা দুইজনের কেউই এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ শিরোপায় চুমু দিতে সক্ষম হননি। ক্যারিয়ারে ৬ বার ব্যালন ডি’ অর মেসি জিতেছেন। রোনালদোর ঝুলিতে বিশ্ব সেরা ফুটবলার হওয়ার পুরষ্কার রয়েছে পাঁচবার।
আগামী ৮ জুন থেকে শুরু হচ্ছে স্প্যানিশ লা লিগা। ১৪ জুন পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে ইতালিয়ান সিরি আ’।
বয়স অনুযায়ী ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে এসেও মেসি-রোনালদো এখনও রয়েছেন শীর্ষ ফর্মে। সব ঠিক থাকলে ২০২২ বিশ্বকাপে দেখা যাবে দুই মহাতারকাকে। শেষ পর্যন্ত কে থাকবেন এগিয়ে সেটার দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ফুটবল বিশ্ব।
ওয়াই
মন্তব্য করুন