বিদায়ের আগে প্রিয় দুই কোচের নাম জানালেন মাশরাফি
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নেতৃত্বে শেষ ম্যাচটি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে ভক্তদের মনে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ২১ বছরের রেকর্ড ভাঙেন। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ২৯২ রান। যেকোনও উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটিটি ছিল ১৯৯৯ সালে শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেনের। শুধু দেশের রেকর্ড নয়, তামিম-লিটনের জুটি উঠে গেছে বিশ্ব ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে। ওয়ানডে ইতিহাসে ওপেনিংয়ে তৃতীয় ও যেকোনও উইকেটে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ জুটি এটি। এদিকে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের ১৩তম অন্যদিকে তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন।
বল হাতেও কম যায়নি টাইগাররা। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন একাই তুলে নেন চারটি উইকেট। তাইজুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট আদায় করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, আফিফ হোসেন। বিদায়ী অধিনায়কও তুলেছেন একটি উইকেট।
সব মিলিয়ে ১২৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মাশরাফির অধিনায়কত্বে ৫০তম জয় ছিল এটি। তিন ম্যাচ সিরিজের সব ম্যাচ জিতে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিদায়ী অধিনায়ক। জানিয়েছেন তার পছন্দের কোচের নাম হচ্ছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা শ্রীলঙ্কান এই কোচকে ‘স্পেশাল’ হিসেবে উল্লেখ করেন মাশরাফি।
‘বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক দল। প্রত্যেক কোচের মধ্যেই সক্ষমতা আছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ স্পেশাল। সেক্ষেত্রে হাথুরুসিংহেকে অবশ্যই আমি প্রথমে রাখব। অনেকেই মনে করেন তার অধীনে আমার টি-টোয়ন্টিতে বিদায় হয়েছে। আসলে তা নয়। তিনিই আসলে বাংলাদেশকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন।’
২০০৮ সালে অনুশীলনের সময় জেমি সিডনসের পাশে মাশরাফি বিন মুর্তজা
এছাড়া ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টাইগারদের দায়িত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ার জেমি সিডনসের প্রশংসাও করেছেন ম্যাশ।
‘আমি জেমি সিডনসের কথা সব সময় বলে আসছি। সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদের তৈরি হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তার। এটা হয়তো বারবার তারাও আপনাদের বলেছে।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন