• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে গজারিয়ায় বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঝুট ব্যবসার দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের ভিটিকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রহমান শফিক ও ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিক শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতরা হলেন- ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিক শিকদার (৪৫), তার ছেলে ফাহিম শিকদার (২৬), তিন ভাতিজা দস্তগির প্রধান (৪৮), অন্তর (২৬) ও আল আমিন সিকদার (৪৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ভিটিকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। আহতরা সবাই অধ্যাপক শফিক শিকদারের সমর্থক বলে জানা গেছে। হামলায় আহত অধ্যাপক শফিক শিকদার বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমি ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ থাকার কারণে আমাকে অনেকবার হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে। সম্প্রতি ভিটিকান্দি এলাকার সুপারস্টার ইন্ডাস্ট্রির ওয়েস্টেজ মালামাল বিক্রির কার্যাদেশ পাই। কোম্পানিটির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ আমাকে ফোন করে সেখানে যেতে বলেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার ছেলে এবং তিন ভাতিজা সঙ্গে ছিল। আমি সেখানে যাওয়ার পর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রহমান শফিকের নেতৃত্বে শাওন, মিজানুর রহমানসহ অন্তত ৭০-৮০ জন আমাদের ওপর হামলা চালান।’ গজারিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুর রহমান শফিক বলেন, ‘একসময় কাজটি আমি করতাম। সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শফিক শিকদার জোরপূর্বক কাজ করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আহত হন। মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সাময়িকভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও এখন পরিস্থিতি শান্ত। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আরটিভি/এমকে
৫ ঘণ্টা আগে

মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের দিলা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- হারুন অর রশিদ (৩৫), রনি (৩৪), আক্তার (৪০), মুক্তার (৪২), আনন্দ (২৫), হাসিব (২২) শাহিনূর বেগম(৫৫), শাহ পরান গ্রুপের রিয়াদ হোসেন (২৪), আক্তার হোসেন (৪০) ও জাকির হোসেন (৩৫)। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহ পরান গ্রুপের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদ গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শাহ পরান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর পক্ষে অবস্থান নেন। অন্যদিকে হারুন অর রশিদ গ্রুপের লোকজন অবস্থান নেন আমিরুল ইসলামের পক্ষে।  ওই নির্বাচনে মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ জয়ী হওয়ায় চাপে ছিল হারুন গ্রুপের লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে সোমবার গোয়ালগাঁও গ্রামের দিলা মিয়ার মুদি দোকানের সামনে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি হারুন অর রশিদসহ তার সমর্থক রনি (৩৪), আক্তার (৪০), মুক্তার (৪২), আনন্দ(২৫) এবং হাসিব (২২) গুলিবিদ্ধ হন।  হামলার খবর শুনে হারুনের চাচী শাহিনূর আক্তার তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। অপরদিকে শাহ পরান গ্রুপের রিয়াদ আক্তার এবং জাকির হোসেন নামে দুজন আহত হন। গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি না আপাতত বলতে পারছি না। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
২৫ জুন ২০২৪, ০০:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়