ডিআইজি মিজানকে প্রত্যাহার
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিজানুর রহমানের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এটার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমরা তাকে ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করেছি।
পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর মিজানের বিষয়ে তদন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অস্ত্রের মুখে এক নারীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে এবং পরে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ছিল ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। তার অপরাধ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ওই নারী একটি সংবাদপত্রকে বলেন, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। সেখান থেকে কৌশলে গত বছরের জুলাই মাসে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন ইতোপূর্বে বিবাহিত মিজান।
এই নারীর অভিযোগ, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেইসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষিপ্ত হন মিজান। ভাঙচুরের ‘মিথ্যা’ একটি মামলা দিয়ে তাকে গেলো ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলা করানো হয়।
তবে মিজানুর রহমান দাবি করে আসছিলেন ওই নারী প্রতারক।
এসএস
মন্তব্য করুন