• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা একটি বিল অনুমোদন করেছে দেশটির সিনেট। বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে। বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এ বিলটি পাস হয়েছিলো। ওই প্যাকেজে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ও ছিল। জানা গেছে, চালুর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য গত শনিবার প্রস্তাব উঠলে তা বড় ধরনের সমর্থন লাভ করে সিনেটে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর প্রস্তাবের পক্ষে আর ১৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। সূত্র: বিবিসি  
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘গোলাপী চাঁদ’
ইন্টারনেটে ধীরগতি, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গত ৪ দিন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, কাটা পড়া সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছেন বিএসসিপিএলসির  মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সি-মি-উই-৫ কেবলটি কাটা পড়ে। তাদের ওখানে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে একটু বেশি সময় নেয়। সব মিলিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজটি হতে পারে। সাইদুর রহমান বলেন, এখনো সব বিকল্পগুলো পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর সক্ষমতা রয়েছে পুরো ব্যন্ডউইডথ বহনের। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। তবে সেটা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলোর কাজ চলছে। জানা গেছে, দেশে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়।  শুক্রবার রাত ১২টায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটি সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে ‘ব্রেক’ করায় এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৫ ঢুকেছে কুয়াকাটা হয়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সি-মি-উই-৫ এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সি-মি-উই-৪ কেবলে শিফটিং করা হচ্ছে। 
মেটার মুখপাত্রকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিলো রাশিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার রুশ কার্যালয়ের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোনকে ছয় বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন রাশিয়ার একটি সামরিক আদালত। তার বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসকে বৈধতা’ দেওয়ার অভিযোগ এনে এ রায় দেওয়া হয়। বর্তমানে রাশিয়ার বাইরে রয়েছেন অ্যান্ডি স্টোন। বিচারক রোমান কিফোরেঙ্কো বলেছেন, তিনি রাশিয়ায় পা রাখা মাত্র রায় কার্যকর হবে। অ্যান্ডি স্টোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রুশ সেনাদের ওপর হামলায় উসকানিদাতাদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। তার এক সপ্তাহ পর মার্চ মাসে ফেসবুকে এক পোস্টে স্টোন বলেছিলেন, ‘যেসব ব্যবহারকারী রুশ বাহিনীর নিন্দা জানিয়ে তাদের সহিংসতার জবাব দেওয়ার জন্য অস্ত্র ধারণের আহ্বান জানাচ্ছেন, তাদের শাস্তি দেবে না ফেসবুক।’ সোমবার (২২ এপ্রিল) আদালত এই রায় ঘোষণার পর এক ফেসবুক পোস্টে আত্মপক্ষ সমর্থন করে অ্যান্ডি স্টোন বলেন, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে যে জনমত গড়ে উঠছিল, তাকে উৎসাহ দিতে ‘সাময়িক’ ভিত্তিতে এই পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। ‘এটি সাময়িক আহ্বান ছিল; আর আমরা কখনও বেসামরিক রুশদের বিরুদ্ধে হামলার উসকানিদাতাদের প্রশ্রয় দিইনি, ভবিষ্যতেও দেবো না,’ ফেসবুক পোস্টে বলেন তিনি। মেটা কোম্পানির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান নিক ক্লেগ বলেন, ‘যে সময়ের পোস্ট নিয়ে অভিযোগ, সেটি করা হয়েছিল একটি বিশেষ সময়ে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে। আর এটা সত্যি যে ফেসবুক যাবতীয় সহিংসতা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। তবে অ্যান্ডি স্টোনের ওই পোস্টটি কেবল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক।’ প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ইস্যুতে আক্রমণাত্মক সমালোচনার ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে মস্কো। অন্যদিকে মেটা বা ফেসবুক শুরু থেকেই এই যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে। এ কারণে যুদ্ধ বাঁধার অল্প কিছুদিনের মধ্যে মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গকে রাশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় মস্কো। পরে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের ওপরও বিধিনিষেধ জারি করে মস্কো। সূত্র : আরব নিউজ
বিঘ্ন হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা
সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর এ সমস্যা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানিয়েছেন, দেশে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়। সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ক্যাবল মেরামত করে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে দুই-তিন দিন লাগবে।  ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আমরা গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছি। তারা ইন্টারনেট সেবার ধীরগতির অভিযোগ করছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদার মধ্যে বিএসসিপিএলসি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মেটায় ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবলস (আইটিসি)।  
আইফোনকে টপকে শীর্ষে স্যামসাং
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে বিশ্বব্যাপী বিক্রি কমেছে আইফোনের। এতে করে স্মার্টফোন বিক্রিতে বাজারের শীর্ষস্থান হারিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। তাদের টপকে বর্তমানে শীর্ষে অবস্থান করছে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।  গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা সেন্টার (আইডিসি) রোববার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী স্যামসাং স্মার্টফোনের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৯৪ লাখে। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক টেক জায়ান্টটির বর্তমান  পরিমাণ । এর আগে ২০২৩ সালের শেষ চার মাসে রীতিমতো সুবাতাস বইছিল আইফোনের ব্যবসায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে স্যামসাংকে হারিয়ে শীর্ষ ফোন বিক্রেতা হয় তারা। শেষ পর্যন্ত চার মাস পর আবার শীর্ষস্থান দখলে নিল স্যামসাং। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে অ্যাপলকে তারা ঠেলে দিয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই মুহূর্তে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অ্যাপল স্মার্টফোনের।  এদিকে বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও একটু শক্ত করে নিয়েছে শাওমি ও হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিগুলো। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মার্কেটে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন চীনের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমি।  ২০২৪ সালের শুরুতে স্যামসাং বাজারে আনে তাদের সবশেষ ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ এস-২৪। একই সময়ের মধ্যে এই সিরিজের ছয় কোটি ফোন বিক্রি হয় বিশ্বজুড়ে। বাজারে আসার প্রথম তিন সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী এস-২৪ সিরিজের বিক্রি তার পূর্বসুরী ২৩ সিরিজের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি ছিল। আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম চতুর্থাংশে অ্যাপল বিক্রি করে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন। অথচ গত বছর একই সময়ে তারা বিশ্বজুড়ে সাড়ে পাঁচ কোটি ইউনিট ফোন সরবরাহ করেছিল। ২০২২-এর শেষ চতুর্থাংশের তুলনায় ২০২৩ সালে চীনে অ্যাপল স্মার্টফোনের সরবরাহ কমে ২.১ শতাংশ। চীন অ্যাপল ফোনের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। কিন্তু কিছু চীনা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। চীনা অ্যাপ ব্যবহারে মার্কিন সরকারের কড়াকড়ি আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় শি জিন পিং প্রশাসন।
নেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য জন্য এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫)। এজন্য ইন্টারনেট ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়বেন গ্রাহকরা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)। এতে বলা হয়, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ক্যাবলটির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ফলে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।   বিএসসিপিএলসি জানায়, তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে (সি-মি-উই-৪) সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাবে সিসিমপুর
ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ থাকতে শেখাতে একসঙ্গে কাজ করেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর। সম্প্রতি বিটিআরসি ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহী করতে একসঙ্গে কাজ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। চুক্তির আওতায় বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হবে।  সিসিমপুরের বাস্তবায়নাধীন ‌‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং সিসেমি ওয়ার্কশপের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম চুক্তিতে সই করেন। ২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে 'সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।  প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবকদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।  
‘ভাইরাল হওয়াই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন মনে করেন বাংলাদেশে এখন ভাইরাল হওয়া সবচেয়ে বড় বিপণন কৌশল হয়ে উঠেছে৷ এক্ষেত্রে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে মানুষ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে মনে করেন শিল্পী আফজাল হোসেন৷ গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ, নতুন পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীদের উত্থানে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বেশি কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে৷ টেলিভিশন, থিয়েটারের বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের যোগাযোগ৷ রুপালি পর্দার বাইরেও তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনুসারীরা৷ তবে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের মনোভাবই রয়েছে৷ অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমার কাছে মনে হয় পরিবর্তন মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আমাদের থাকা উচিত৷ এক টকশো-তে বিনোদনের একাল ও সেকাল, বিনোদনের মান নিয়ে আলোচনায় অতিথি ছিলেন শিল্পী ও নির্মাতা আফজাল হোসেন এবং অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, আমার ফলোয়ার্স অনেক আছে কিন্তু কতজন আমাকে পছন্দ করে বা আমার ভক্ত সেই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই৷ বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটা ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক যা হোক৷ যারা আমাকে আমার কাজের জন্য পছন্দ করে তারা আমি যেমন, যে কাজ করছি সেগুলো দেখেই আমাকে পছন্দ করেন৷ তারা যে সবাই আমার ফলোয়ার্সের মধ্যে আছে বা সবাই আমাকে ফলো করছে সবসময় এমন নয়৷ আমি এই পার্থক্যটা দেখেছি৷ দর্শক নির্বাচন ও সে অনুযায়ী কনটেন্ট নির্মাণের প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, আমরা একটা পজিটিভ সময়ে কাজ করতে পেরেছি৷ কাজ করার আগে যদি ভাবতে হতো, আমাদের অনেক বড় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে হবে, তাহলে অনেকগুলো ভালো কাজ হতো না৷ গণমাধ্যম, নির্মাতাদের দর্শক ধরার প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অনেক টেলিভিশন এলো, তখন আর অনুষ্ঠান থাকলো না৷ অনুষ্ঠান দর্শককে খাওয়ানোর বিষয় তৈরি হলো৷ আজমেরী হক বাঁধনের অভিনীত সিনেমা রেহানা মারিয়াম নূর প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে কান উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো৷ তবে ছবিটি ব্যবসা সফল কিনা সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে বাঁধন বলেন, সুপার ডুপার হিট বলতে যা বুঝায় তা অবশ্যই ছিল না৷ একটি মোবাইক আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া বিপণন কৌশল নিয়ে প্রশ্ন ছিল দুই অতিথির কাছে৷ এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভাইরাল হতে হবে৷ এত কনটেন্ট এত বিজ্ঞাপন, এত খবর, এত কিছু পৃথিবীতে ঘটে যাচ্ছে এখন এটা একটা মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আমরা কীভাবে ভাইরাল করবো একটা কিছু৷ মানুষ চিন্তা করছে তার কাজটা কয়জন দেখছে, কয়টা ক্লিক হচ্ছে, ভিউ হচ্ছে এটার জন্য তারা অস্থির হয়ে যাচ্ছে৷ আফজাল হোসেন মনে করেন, শুধু বিজ্ঞাপন নয় যে যেখানে আছে সেই অবস্থায় যা খুশি তা করতে পারে৷ এক্ষেত্রে প্রশ্ন করার মানুষ নাই৷ যদি প্রশ্ন কেউ করে থাকে, করে ফেলে তাহলে আক্রমণ করার মানুষেরও অভাব হয় না৷ বলেন, কোনটি ন্যায় কোনটি অন্যায় সেটাও আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ তবে ভাইরাল হওয়া দোষের কিছু নয় এমনটা মনে করেন তিনি৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ভাবনায় যদি একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হয় এর মতো অসাধারণ সৃজনশীলতা আর হতে পারে না৷ যখন মানুষ ঐ অসাধারণত্ত্বকে স্পর্শ করতে পারে না তখন খুব সাধারণ বিষয় নিয়ে এসে মানুষ হৈ চৈ ফেলে দেয় এবং এটাকে আমরা ভাইরাল বলি৷ এটা আসলে সাফল্য নয়৷ বরং এই বিষয়গুলো মানুষকে দিনে দিনে নিম্নগামী করে৷