ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছে পরিবার
ভাস্কর ও মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আর্থিক সহায়তা চাইলেন তার পরিবার।
বুধবার বিকেলে ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী এ সহায়তা কামনা করেন।
এদিকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর চিকিৎসায় সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর তার সন্তানরা একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। রোববার প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কাজী তূর্য আবেদনটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
রিহেবিলিটেশনে রাখতে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসারত মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে আজ-কালের মধ্যে বাসায় পাঠানো হবে। বাসায় চলবে তার চিকিৎসা। মঙ্গলবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে অধ্যাপক রফিকুল আমিন, অধ্যাপক আমিনুর রশিদ, অধ্যাপক সমিরণ কুমার সাহা এবং ডা. বারীন চক্রবর্তীর চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বসে। সেখানে প্রিয়ভাষিণীর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হবে।
ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েড রোগে ভুগছেন। এছাড়াও তার বাম পায়ের গোড়ালিতে ভাঙাজনিত সমস্যা রয়েছে।
১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। এর আগে ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান।
২০১৪ সালে একুশের বইমেলায় তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয়।
এমসি/জেএইচ
আরও পড়ুন
- যে কারণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরের কর্মসূচি পরিবর্তন
- মুসল্লিদের বিক্ষোভে তীব্র যানজট বিমানবন্দর সড়কে
- ডিএনসিসির মনোনয়নপত্র শনিবার থেকে
- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার কাজ এখনো বাকি : ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন