কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাবেন খালেদা
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এক বছরের বেশি সাজা হলে কারাগারে যেতে হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তবে দুই বছরের নিচে থাকলে নির্বাচনে অযোগ্য হবেন না। আইন বিশেষজ্ঞরা এমন মত দিয়ে বললেন, সাজা যাই হোক, কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পাবেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
অভিযোগ গঠন থেকে দীর্ঘ শুনানি আর যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে বিচার শেষ হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। চলছে, রায় ঘোষণার ক্ষণ গণনা। সময় ঘনিয়ে আসায়, মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, নানা প্রশ্ন। খালাস নাকি সাজা, কী হবে বেগম জিয়ার? সাজা হলে অংশ নিতে পারবেন কি আগামী নির্বাচনে?
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় আ. লীগের সংবাদ সম্মেলন
--------------------------------------------------------
মামলার রায় ঘোষণা করবেন পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫’র বিচারক ডক্টর আখতারুজ্জামান। বেগম জিয়াকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিলে, ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুযায়ী সে বিচারকই উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করার সময় পর্যন্ত জামিন দিতে পারবেন। তবে এক বছরের বেশি সাজায় কারাগারে যেতেই হবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে। আর সে ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকতে হবে জেলেই।
কারাগারে যদি বেগম জিয়াকে নেয়া হয়, তাহলে তিনি সেখানে কোন অবস্থায় থাকবেন? কিংবা তাকে জেলে রাখা হবে নাকি সাব-জেলে? কারাবিধি অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া প্রথম শ্রেণী অর্থাৎ ডিভিশনের মর্যাদা ভোগ করবেন। সরকার চাইলে কোনো স্থাপনাকে সাব-জেল ঘোষণা করে সেখানেও রাখতে পারেন তাকে। তবে বেগম জিয়ার বাসভবন অর্থাৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে সাব-জেল ঘোষণা করার নজির নেই বলে জানালেন বিষেশজ্ঞরা।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলছেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারী অপরাধের কারণে কমপক্ষে দুই বছর দণ্ডিত হলে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বেগম খালেদা জিয়া। তবে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে কেটে যেতে পারে ভোটে অংশ নেয়ার বাধা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি হয়, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায়, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-৫’র ২ ধারাও যোগ করা হয়েছে মামলায়। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর জেল।
আরও পড়ুন:
এসজে
মন্তব্য করুন