কুষ্টিয়া-১
আ.লীগের শত্রু আ.লীগ, দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া বিএনপি
কুষ্টিয়া জেলায় নির্বাচনী আসন সংখ্যা চারটি। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-১ আসন। দৌলতপুর উপজেলা ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
আগামী একাদশ জতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত এই আসনে এরইমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। অনেকেই নিজের নামে পোস্টার লাগিয়েছেন। করছেন গণসংযোগ।
এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পান। তবে ওই নির্বাচনে তাকে পরাজিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী নির্বাচিত হন। এবার তিনি দল থেকে মনোনয়ন চান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত
--------------------------------------------------------
সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিনও নৌকার টিকিট প্রত্যাশী। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমন দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন। যে কারণে এই এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতারা তিন নেতার অধীনে তিন দলে বিভক্ত। এই বিরোধ মাঝেমধ্যে সংঘর্ষেরও রূপ নিচ্ছে।
এছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক দৌলতপুরের ছেলে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরোয়ার জাহান বাদশা।
তবে দলীয় কোন্দলের কারণে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা রশিদ-উল আলমকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তবে তৃণমূল নেতারা বলছেন মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক না কেন, কোন্দল না মিটলে এ আসনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়া কঠিন হবে।
এ বিষয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমন বলেন, দলের কোন্দল মূলত মনোনয়ন নিয়ে। তাছাড়া কর্মীরা সব নৌকার সঙ্গে আছে। আমরা দলকে গোছানোর চেষ্টা করছি। তবে যেই নৌকা প্রতীক পাবে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী তার হয়েই কাজ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৌকার বিজয়ের বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
এদিকে আওয়ামী লীগের কোন্দলের সুবিধা নিয়ে বিএনপি তাদের হারানো দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী আহসানুল হক পচা মোল্লা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯৬ সালেও তিনি বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেন।
এসময় তিনি বিএনপি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। তবে ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। পরে উপ-নির্বাচনে তারই ছেলে রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এবার তিনিই বিএনপি থেকে টিকিট পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা অধিকাংশই তার সঙ্গে রয়েছেন। এছাড়া আর তেমন কাউকে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে না। দলীয় একক প্রার্থী হওয়ার সুবাদে এই আসন পুনরুদ্ধারে অনেকটা আশাবাদী বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে সাবেক মন্ত্রী কোরবান আলীর ছেলে শাহরিয়ার জামিল জুয়েল দলীয় মনোনয়ন চান। তিনি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
জেবি/পি
মন্তব্য করুন