যুদ্ধ বাঁধাতে চেয়েছিল মিয়ানমার: বিজিবির ডিজি
বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধিয়ে পরিবেশ অশান্ত করতে চেয়েছিল মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যু সৃষ্টির পর মিয়ানমার ১৮ বার সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ বাঁধিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করা। ওই সময় আমরা উত্তেজিত হলে যে কোনো সময় যুদ্ধ বেধে যেত।
বলেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। বিজিবির সদর দপ্তরে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার বর্ডারে আমাদের দু’টি প্রতিবেশী দেশ রয়েছে। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বন্ধুত্বের নীতি গ্রহণ করেছি। দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে থাকতে হবে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছিটমহল বিনিময় করে। সীমান্তে এখন কোনো সমস্যা নেই। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে চলার জন্য যতকিছু প্রয়োজন এর সবই সরকারের কাছ থেকে আমরা পাচ্ছি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ‘কেউ নির্বাচনে যেতে না পারলে তার দায়ভার সরকারের নয়’
--------------------------------------------------------
তিনি আরও বলেন, ‘ইকুইপমেন্টের (সরঞ্জাম) মাধ্যমেই বর্ডার সমস্যার সমাধান করা যায়। সীমান্তের ৫১১ কিলোমিটার পর্যায়ক্রমে আমরা রাডার ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসব। সরকার আমাদের টাকাও দিয়েছে। তখন আমরা সদর দপ্তরে বসেই সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। সরকার নারী-শিশু পাচার, চোরাচালান বন্ধ করতে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা সেটা সঠিকভাবে পালন করছি।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা ১০ লাখ রোহিঙ্গার সুন্দর ব্যবস্থাপনা করেছি। এজন্য আমাদের ফোর্সের মধ্যে কুইক রিয়েকশন ফোর্স চালু করতে চাচ্ছি। আমাদের ৫৩৯ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত ছিল। পর্যায়ক্রমে আরও ২০টি বিওপি করলে পুরো কভার করবো।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ একটি বাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়। এটা পরিবারসহ সমাজের সবার দায়িত্ব। ইয়াবা মিয়ানমারে তৈরি হয়। ওখানে সবাই এর সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে রোহিঙ্গারাও জড়িত থাকে। এছাড়া আমাদের দেশের কিছু ব্যক্তিও জড়িত। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করি।’
আরও পড়ুন:
- খালেদা জিয়ার মর্যাদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- তালাত মাহমুদ দিদারের ‘শেকল ভাঙার গান’
পি
মন্তব্য করুন