প্রশ্নফাঁসের পরীক্ষা বাতিলে সিদ্ধান্ত আগামী রোববার
প্রশ্নফাঁস মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের তথ্য পাওয়া গেছে। এখন পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেবেন শিক্ষামন্ত্রী। কমিটির কাজ সবকিছু তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করা। আমরা সেটিই করবো।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রশ্নফাঁস মূল্যায়ন কমিটির জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। সভায় পুলিশ, র্যাবের সদস্যসহ কমিটির ১১ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সচিব মো. আলমগীর বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে মিডিয়ায় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেসব তথ্য এসেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার আবারও সভায় বসবে প্রশ্নফাঁস মূল্যায়ন কমিটি। এরপর চূড়ান্ত সুপারিশ করবে কমিটি।
তিনি আরও বলেন, আজ কমিটির প্রথম সভায় প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেয়া হয়েছে। আসলেই ফাঁস হয়েছে কিনা, কতক্ষণ আগে ফাঁস হয়েছে, তার প্রভাবটা কী, কতজন ছাত্র-ছাত্রী এটির মধ্য দিয়ে প্রভাবিত হয়েছে, পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না, বাতিল করা হলে কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
সচিব বলেন, অনেকে পরীক্ষার ৫-১০ মিনিট আগে প্রশ্ন পেয়েছে। ওই প্রশ্ন পেয়ে তো বেশি প্রভাবের সুযোগ নেই। আবার দেখা গেছে, বেশ আগে ফাঁস হলেও ৫ বা ১০ হাজার ছেলে মেয়ে পেয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে ২০ লাখ। এমন বিষয়গুলো হিসাব-নিকাশ করে প্রতিবেদন দেয়া হবে। আমাদের দায়িত্ব ফাঁস হওয়ার যে অভিযোগ এসেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করা।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০০ টেলিফোন নম্বর চিহ্নিত করে কমিটির সদস্যদের বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। এই নম্বরধারীর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী, যারা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েন এবং এদের অভিভাবকরাও আছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. আলমগীর বলেন, পরীক্ষা আইন ও সাইবার অপরাধের আইনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনও হতে পারে তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সেখানে থেকে তাদের বহিষ্কার করাও হতে পারে। যেসব ফেসবুক লিঙ্ক, টেলিফোন নম্বরসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন আদান-প্রদান হয়েছে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় চলে এসেছে। দ্রুত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন:
এসএইচ/পি
মন্তব্য করুন