প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সময় করে ইন্টারনেট বন্ধ
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আড়াইঘণ্টা করে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আমিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে সকল ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েকে (আইআইজি) এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট ধীরগতি করার মহড়া দেয়ার জন্য রোববার রাত ১০টা থেকে আধঘণ্টার জন্য আইএসপি, ওয়াইম্যাক্স ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের ইন্টারনেট গতি কমিয়ে রাখা হয়।
বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আইআইজিগুলোকে এএনএস অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেটের ডাউনস্ট্রিম গতি ২৫ কিলোবাইট পার সেকেন্ড (কেবিপিএস) করতে হবে। এই নির্দেশনার ফলে আইএসপি, ওয়াইম্যাক্স ও মোবাইল ইন্টারনেটসহ সব ধরনের ইন্টারনেট ধীরগতি হয়ে যাবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের ৩৫ গ্রামে বিদ্যুৎ নেই: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
--------------------------------------------------------
এর আগে রোববার সকালে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুধু মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। তবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এক ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে বললেও সাড়ে ৯টা থেকে ৩০ মিনিটের জন্য এ সেবা বন্ধ ছিল।
এই সময়ের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় কোনো বিঘ্ন না ঘটলেও পরের নির্দেশনায় সকল ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার দিন সকালে আড়াই ঘণ্টা এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা থেকেও আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে দেশে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর দেড়ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ২২ দিন ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখে সরকার।
ইন্টারনেটের গতি কমানোর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে লার্ন এশিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র পলিসি ফেলো ও টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করে সরকার, ছাপায় সরকার এমনকি সরবরাহ করে সরকার। এখানে বেসরকারি খাতের কারও কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সুতরাং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের। এখানে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো মানে নেই। তাহলে তো সারাদেশে কারফিউ জারি করা উচিত। সান্ধ্য আইন জারি করে সব কিছুই বন্ধ রাখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার নিজের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রযুক্তিকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এটা কখনই সুশাসনের পরিচয় বহন করে না। সরকার কি নিশ্চয়তা দিচ্ছে এই আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখলেই প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হবে?
আরও পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন